আরেকটি কয়লা ক্ষেত্রের সন্ধান by অরুণ কর্মকার ও সুজন হাজারী
দেশে আরেকটি নতুন কয়লাক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)। জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলায় সম্ভাব্য এই খনির অবস্থান। জিএসবির সূত্র জানায়, ভূপদার্থিক জরিপের মাধ্যমে উপজেলা সদরের পাঁচ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে আয়মা রসুলপুর ইউনিয়নের আগাইর মৌজায় ওই কয়লাক্ষেত্রের কেন্দ্রস্থল চিহ্নিত করা
হয়েছে। প্রায় ১২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ ক্ষেত্রটিতে মাটির কত গভীরে কী ধরনের কয়লা রয়েছে এবং অন্য কোনো শিলা বা খনিজ সম্পদ আছে কি না, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সেখানে কূপ খননের কাজ চলছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে জিএসবির মহাপরিচালক মুনিরা আখতার চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা স্বপ্ন দেখছি আরও কিছু খনিজ সম্পদ আবিষ্কারের। প্রাথমিক সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ফলাফলের ভিত্তিতে অনুসন্ধান কূপ খননের কাজ চলছে। শিগগিরই আমরা সেখানকার খনিজ সম্পদ সম্পর্কে নিশ্চিত ধারণা পাব।’
দেশে এর আগে মোট পাঁচটি কয়লাখনি আবিষ্কৃত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে বড়পুকুরিয়া, ফুলবাড়ী, খালাসপীর, দীঘিনালা ও জামালগঞ্জ। এর মধ্যে ফুলবাড়ী ছাড়া বাকি চারটিই আবিষ্কার করেছে জিএসবি। এ পাঁচটি খনিতে মোট প্রায় ৩০০ কোটি মেট্রিক টন অতি উন্নত মানের কয়লা মজুদ রয়েছে। জ্বালানি হিসেবে এটি প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) গ্যাসের সমান।
গতকাল রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আগাইর গ্রামের নৃপেন্দ্রনাথ রায় নামের এক ব্যবসায়ীর জমিতে কূপ খননের রিগ (খননযন্ত্র) স্থাপন করা হচ্ছে। নির্ধারিত স্থানে যাতায়াতের জন্য রাস্তাঘাট ও যন্ত্রপাতি সংরক্ষণের জন্য চালাঘর তৈরির কাজ শেষ হয়েছে।
অনুসন্ধান দলের প্রধান জিএসবির সহকারী পরিচালক মাহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গত ডিসেম্বর মাসে ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের ভূপদার্থিক জরিপ বিভাগের উপপরিচালক সাইফুর রহমান ও সহকারী পরিচালক মো. সেলিম রেজার নেতৃত্বে একটি দল এই এলাকায় জরিপ চালিয়ে ভূগর্ভে একটি বেসিন চিহ্নিত করেছে। বেসিনটির বিস্তৃতি ১০ থেকে ১২ বর্গকিলোমিটার। এর কেন্দ্রস্থলে প্রায় তিন হাজার ফুট গভীর কূপ খননের জন্য রিগ স্থাপন করা হচ্ছে।
পাঁচবিবির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল আলম বলেন, দুই মাস আগে জিএসবির উপপরিচালক ভূপদার্থবিদ সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে জরিপ দলের প্রাথমিক অনুসন্ধানে এখানে খনিজ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর ভিত্তিতে কূপ খননের জন্য একটি দল এখানে এসেছে।
স্থানীয় কয়েকজন প্রবীণ, আগাইর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নজরুল ইসলাম (৬০), আগাইর গ্রামের নাজিমুদ্দিন মণ্ডল ও ধলাহার গ্রামের আ. সামাদ (৮১) বলেন, পাকিস্তান আমলে এখানে অনুসন্ধান করে কয়লার সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল বলে তাঁরা তখন শুনেছিলেন।
কূপ খননস্থলে প্রতিদিন শত শত উৎসাহী লোক আসছে। ইতিমধ্যে সেখানে কিছু দোকানপাটও বসেছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে জিএসবির মহাপরিচালক মুনিরা আখতার চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা স্বপ্ন দেখছি আরও কিছু খনিজ সম্পদ আবিষ্কারের। প্রাথমিক সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ফলাফলের ভিত্তিতে অনুসন্ধান কূপ খননের কাজ চলছে। শিগগিরই আমরা সেখানকার খনিজ সম্পদ সম্পর্কে নিশ্চিত ধারণা পাব।’
দেশে এর আগে মোট পাঁচটি কয়লাখনি আবিষ্কৃত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে বড়পুকুরিয়া, ফুলবাড়ী, খালাসপীর, দীঘিনালা ও জামালগঞ্জ। এর মধ্যে ফুলবাড়ী ছাড়া বাকি চারটিই আবিষ্কার করেছে জিএসবি। এ পাঁচটি খনিতে মোট প্রায় ৩০০ কোটি মেট্রিক টন অতি উন্নত মানের কয়লা মজুদ রয়েছে। জ্বালানি হিসেবে এটি প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) গ্যাসের সমান।
গতকাল রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আগাইর গ্রামের নৃপেন্দ্রনাথ রায় নামের এক ব্যবসায়ীর জমিতে কূপ খননের রিগ (খননযন্ত্র) স্থাপন করা হচ্ছে। নির্ধারিত স্থানে যাতায়াতের জন্য রাস্তাঘাট ও যন্ত্রপাতি সংরক্ষণের জন্য চালাঘর তৈরির কাজ শেষ হয়েছে।
অনুসন্ধান দলের প্রধান জিএসবির সহকারী পরিচালক মাহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গত ডিসেম্বর মাসে ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের ভূপদার্থিক জরিপ বিভাগের উপপরিচালক সাইফুর রহমান ও সহকারী পরিচালক মো. সেলিম রেজার নেতৃত্বে একটি দল এই এলাকায় জরিপ চালিয়ে ভূগর্ভে একটি বেসিন চিহ্নিত করেছে। বেসিনটির বিস্তৃতি ১০ থেকে ১২ বর্গকিলোমিটার। এর কেন্দ্রস্থলে প্রায় তিন হাজার ফুট গভীর কূপ খননের জন্য রিগ স্থাপন করা হচ্ছে।
পাঁচবিবির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল আলম বলেন, দুই মাস আগে জিএসবির উপপরিচালক ভূপদার্থবিদ সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে জরিপ দলের প্রাথমিক অনুসন্ধানে এখানে খনিজ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর ভিত্তিতে কূপ খননের জন্য একটি দল এখানে এসেছে।
স্থানীয় কয়েকজন প্রবীণ, আগাইর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নজরুল ইসলাম (৬০), আগাইর গ্রামের নাজিমুদ্দিন মণ্ডল ও ধলাহার গ্রামের আ. সামাদ (৮১) বলেন, পাকিস্তান আমলে এখানে অনুসন্ধান করে কয়লার সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল বলে তাঁরা তখন শুনেছিলেন।
কূপ খননস্থলে প্রতিদিন শত শত উৎসাহী লোক আসছে। ইতিমধ্যে সেখানে কিছু দোকানপাটও বসেছে।
No comments