পদ্মা সেতু নির্মাণে আগ্রহী কোম্পানির সংখ্যা বাড়ছে by আনোয়ার হোসেন
পদ্মা সেতু প্রকল্প অর্থায়নে মালয়েশিয়ার বাইরে চীনসহ দেশি-বিদেশি আরও চার প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে। নির্মাণ পরিচালনা ও মালিকানা হস্তান্তর (বিওওটি) পদ্ধতিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য চারটি প্রতিষ্ঠান আনুষ্ঠানিক চিঠিও দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত মালয়েশিয়া সরকারিভাবে প্রস্তাব দেওয়ায় সেটাকেই এগিয়ে রাখছে সরকার।
নতুন যে চারটি প্রতিষ্ঠান পদ্মা সেতু করার জন্য চিঠি দিয়েছে সেগুলো হচ্ছে: কানাডাভিত্তিক আনজা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েটস, হংকংভিত্তিক হংকং কেআরডি ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপ লিমিটেড, বাংলাদেশের যমুনা এবং সিকদার গ্রুপ।
এদিকে, মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভা গত শুক্রবার পদ্মা সেতুতে অর্থায়নসংক্রান্ত খসড়া সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুমোদন করেছে। বিষয়টি জানিয়ে সেতু বিভাগেও চিঠি দিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। তবে অনুমোদন করা এমওইউর কপি এখনো সেতু বিভাগ পায়নি। কপি পেলেই অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা কমিটিতে তোলা হবে বলে সেতু বিভাগ সূত্র জানিয়েছে।
অবশ্য গত রোববার অর্থমন্ত্রী তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের আবারও বলেছেন, মালয়েশিয়া বা অন্য কারও সঙ্গে চুক্তি করার আগে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে করা চুক্তির বিষয়টি সুরাহা করতে হবে। অর্থমন্ত্রী সমপ্রতি আরও বলেছিলেন, মালয়েশিয়ার বাইরে চীনসহ নানা দেশ থেকে পদ্মা সেতু করার প্রস্তাব এসেছে। সেগুলোও বিবেচনা করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল সোমবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, বিকল্প অর্থায়ন হিসেবে মালয়েশিয়া সবার চেয়ে এগিয়ে আছে। তবে মালয়েশিয়ার বাইরের কারও সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যায়নি। বিকল্প যেকোনো ব্যবস্থা করার আগে বিশ্বব্যাংকসহ দাতাদের সঙ্গে সুরাহা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘মালয়েশিয়া সরকার খসড়া এমওইউ অনুমোদন করেছে। কপি পাওয়ার পর আমাদেরও মন্ত্রিসভায় তা উপস্থাপন করা হবে।’
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে পদ্মা সেতুর জন্য করা চুক্তি বাতিল বা সমঝোতার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। আগামী মাসে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফর করার কথা রয়েছে বলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে। এ অবস্থায় বহুল আলোচিত এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে কারা অর্থায়ন করবে এবং কবে কাজ শুরু হবে, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।
আরও প্রস্তাব: দেশি-বিদেশি নতুন চারটি প্রতিষ্ঠান পদ্মা সেতু করার বিষয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে সেতু বিভাগে প্রস্তাব দেয়। হংকং কেআরডি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, প্রতিষ্ঠানটি অন্য কোনো উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ না করেই নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু করার ক্ষমতা রাখে। সরকার চাইলে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেবে এবং তিন মাসের মধ্যে নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারবে।
আনজা অ্যাসোসিয়েটস তাদের চিঠিতে বলেছে, পদ্মা সেতুর পাশাপাশি তারা দ্বিতীয় পদ্মা, জাহাঙ্গীরগেট থেকে আগারগাঁও এবং কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ করতে আগ্রহী। সব কটি প্রকল্পই সেতু বিভাগের অধীনে নেওয়া হয়েছে।
দেশীয় প্রতিষ্ঠান যমুনা গ্রুপ তাদের চিঠিতে বলেছে, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ৪০ বছর তাদেরকে মালিকানা দিতে হবে। এ ছাড়া আয় নির্বিঘ্ন রাখা, করসুবিধাসহ ছয় ধরনের শর্ত দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সিকদার গ্রুপও বিওওটি পদ্ধতি বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে পদ্মা সেতু করার প্রস্তাব দিয়েছিল।
সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজ নিজ দেশের সরকারের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের প্রস্তাব পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপনের কথা বলা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার প্রস্তাব: মালয়েশিয়া বিওওটিতে পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রস্তাব করে গত বছরের অক্টোবর মাসে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত দাতো সামি ভেলু কয়েক দফা সফর করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়সহ সেতু বিভাগে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয়। গত ২১ ফেব্রুয়ারি এমওইউ সই করার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাংকসহ দাতাদের সঙ্গে চুক্তি বহাল রেখে অন্য কারও সঙ্গে চুক্তি করার সুযোগ আছে কি না, সে বিষয়ে প্রশ্ন দেখা দেওয়ায় তা আটকে যায়।
সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, গত মাসে সেতু বিভাগ খসড়া এমওইউ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় পাঠায়। এর আগে মালয়েশিয়া সেতু বিভাগকে প্রায় ১০ পৃষ্ঠার একটি খসড়া এমওইউ পাঠিয়েছিল।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, সমপ্রতি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই আমন্ত্রণের উদ্দেশ্য হচ্ছে অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় বিষয়ের পাশাপাশি মালয়েশিয়া সরকারের উপস্থিতিতে পদ্মা সেতুর এমওইউ সই করা। তবে এমওইউ সইয়ের সময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আসবেন, নাকি চূড়ান্ত চুক্তির সময় থাকবেন, সেটি পরিষ্কার নয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মালয়েশিয়া সরকার চায় মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধিদের দিয়ে এমওইউ সই করাতে। চূড়ান্ত চুক্তি সই কিংবা নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের উপস্থিতিতে করার পক্ষে মালয়েশিয়া।
এদিকে, মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভা গত শুক্রবার পদ্মা সেতুতে অর্থায়নসংক্রান্ত খসড়া সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুমোদন করেছে। বিষয়টি জানিয়ে সেতু বিভাগেও চিঠি দিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। তবে অনুমোদন করা এমওইউর কপি এখনো সেতু বিভাগ পায়নি। কপি পেলেই অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা কমিটিতে তোলা হবে বলে সেতু বিভাগ সূত্র জানিয়েছে।
অবশ্য গত রোববার অর্থমন্ত্রী তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের আবারও বলেছেন, মালয়েশিয়া বা অন্য কারও সঙ্গে চুক্তি করার আগে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে করা চুক্তির বিষয়টি সুরাহা করতে হবে। অর্থমন্ত্রী সমপ্রতি আরও বলেছিলেন, মালয়েশিয়ার বাইরে চীনসহ নানা দেশ থেকে পদ্মা সেতু করার প্রস্তাব এসেছে। সেগুলোও বিবেচনা করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল সোমবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, বিকল্প অর্থায়ন হিসেবে মালয়েশিয়া সবার চেয়ে এগিয়ে আছে। তবে মালয়েশিয়ার বাইরের কারও সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যায়নি। বিকল্প যেকোনো ব্যবস্থা করার আগে বিশ্বব্যাংকসহ দাতাদের সঙ্গে সুরাহা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘মালয়েশিয়া সরকার খসড়া এমওইউ অনুমোদন করেছে। কপি পাওয়ার পর আমাদেরও মন্ত্রিসভায় তা উপস্থাপন করা হবে।’
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে পদ্মা সেতুর জন্য করা চুক্তি বাতিল বা সমঝোতার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। আগামী মাসে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফর করার কথা রয়েছে বলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে। এ অবস্থায় বহুল আলোচিত এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে কারা অর্থায়ন করবে এবং কবে কাজ শুরু হবে, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।
আরও প্রস্তাব: দেশি-বিদেশি নতুন চারটি প্রতিষ্ঠান পদ্মা সেতু করার বিষয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে সেতু বিভাগে প্রস্তাব দেয়। হংকং কেআরডি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, প্রতিষ্ঠানটি অন্য কোনো উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ না করেই নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু করার ক্ষমতা রাখে। সরকার চাইলে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেবে এবং তিন মাসের মধ্যে নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারবে।
আনজা অ্যাসোসিয়েটস তাদের চিঠিতে বলেছে, পদ্মা সেতুর পাশাপাশি তারা দ্বিতীয় পদ্মা, জাহাঙ্গীরগেট থেকে আগারগাঁও এবং কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ করতে আগ্রহী। সব কটি প্রকল্পই সেতু বিভাগের অধীনে নেওয়া হয়েছে।
দেশীয় প্রতিষ্ঠান যমুনা গ্রুপ তাদের চিঠিতে বলেছে, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ৪০ বছর তাদেরকে মালিকানা দিতে হবে। এ ছাড়া আয় নির্বিঘ্ন রাখা, করসুবিধাসহ ছয় ধরনের শর্ত দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সিকদার গ্রুপও বিওওটি পদ্ধতি বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে পদ্মা সেতু করার প্রস্তাব দিয়েছিল।
সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজ নিজ দেশের সরকারের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের প্রস্তাব পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপনের কথা বলা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার প্রস্তাব: মালয়েশিয়া বিওওটিতে পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রস্তাব করে গত বছরের অক্টোবর মাসে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত দাতো সামি ভেলু কয়েক দফা সফর করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়সহ সেতু বিভাগে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয়। গত ২১ ফেব্রুয়ারি এমওইউ সই করার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাংকসহ দাতাদের সঙ্গে চুক্তি বহাল রেখে অন্য কারও সঙ্গে চুক্তি করার সুযোগ আছে কি না, সে বিষয়ে প্রশ্ন দেখা দেওয়ায় তা আটকে যায়।
সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, গত মাসে সেতু বিভাগ খসড়া এমওইউ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় পাঠায়। এর আগে মালয়েশিয়া সেতু বিভাগকে প্রায় ১০ পৃষ্ঠার একটি খসড়া এমওইউ পাঠিয়েছিল।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, সমপ্রতি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই আমন্ত্রণের উদ্দেশ্য হচ্ছে অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় বিষয়ের পাশাপাশি মালয়েশিয়া সরকারের উপস্থিতিতে পদ্মা সেতুর এমওইউ সই করা। তবে এমওইউ সইয়ের সময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আসবেন, নাকি চূড়ান্ত চুক্তির সময় থাকবেন, সেটি পরিষ্কার নয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মালয়েশিয়া সরকার চায় মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধিদের দিয়ে এমওইউ সই করাতে। চূড়ান্ত চুক্তি সই কিংবা নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের উপস্থিতিতে করার পক্ষে মালয়েশিয়া।
No comments