বাস্তবায়নের সক্ষমতা বাড়াতে হবে-আরও বড় এডিপি
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) জন্য বরাদ্দ অর্থ যথাসময়ে যথাযথভাবে ব্যয় করার সক্ষমতা না বাড়লেও প্রতিবছর এডিপির আকার বাড়ানো হয়। আগামী অর্থবছরের জন্যও তাই করা হলো: আগের অর্থবছরের চেয়ে ২৮ শতাংশ বরাদ্দ বাড়িয়ে ২০১১-১২ অর্থবছরের জন্য ৪৬ হাজার কোটি টাকার এডিপি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে অনুমোদিত হয়েছে গত রোববার।
এডিপি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনেক বছর ধরে যে প্রবণতা চলে আসছে, তা হলো এই: প্রথমে বড় আকারের কর্মসূচি নেওয়া হয়, প্রথম সাত মাসে প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অসম্ভব ধীরগতি লক্ষ করে বরাদ্দ কমিয়ে সংশোধিত এডিপি ঘোষণা করা হয়, কিন্তু অর্থবছরের শেষ তিন মাসেও এডিপির পুরো অর্থের সদ্ব্যবহার ঘটে না। তা ছাড়া, শেষের দিকে তড়িঘড়ি করে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে গিয়ে কাজের গুণগত মান নিশ্চিত হয় না। চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের মূল এডিপির আয়তন ছিল ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা; প্রথম সাত মাসে বাস্তবায়নের হার সন্তোষজনক না হওয়ায় ফেব্রুয়ারিতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা কমিয়ে সংশোধিত এডিপির বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। কিন্তু সংশোধিত এডিপি বাস্তবায়নেও তেমন কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি বলে সরকারের ১৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ইতিমধ্যে সংশোধিত এডিপি থেকে ৬২৯ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে।
প্রয়োজনের বিবেচনায় নতুন এডিপির আকার হয়তো অতিরিক্ত বড় নয়, কিন্তু বাস্তবায়নের সক্ষমতার বিবেচনায় এটি নিশ্চয়ই অনেক বড়। বড় এডিপি গ্রহণের মধ্যে রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রকল্প গ্রহণের সুযোগ থাকে, যেখানে জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজন-অপ্রয়োজনের বিবেচনা স্থান পায় না। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণেও এর কিছু প্রভাব পড়ে এবং এ ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলে বাজেট ঘাটতি বেড়ে যায়, সেই ঘাটতি পূরণ করতে সরকারকে ঋণ নিতে হয়।
এডিপি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোর কয়েকটি এমন: যথাসময়ে বাস্তবসম্মত ক্রয়-পরিকল্পনা ও কর্মপরিকল্পনা করা হয় না, হলেও ঠিকভাবে কর্মপরিকল্পনা অনুসৃত হয় না। দরপত্র আহ্বান, কার্যাদেশ দেওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক রকমের বিলম্বও ঘটে যায়। বরাদ্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় পর্যায়ের প্রশাসনিক সক্ষমতা ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের অভিজ্ঞতার অভাবও একটি বড় সমস্যা। প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ, বদলি ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনিময় রয়েছে; যোগ্যতা যাচাইয়ের বিষয়টি কম গুরুত্ব পায়, এসব ক্ষেত্রে ঘন ঘন বদলি কাজের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করে। সব মিলিয়ে, অর্থবছরের শেষাংশে এসে তড়িঘড়ি করে বরাদ্দ ব্যয় করার ফলে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর গুণগত মান নিশ্চিত হয় না।
এই সমস্যাগুলোর সমাধান করে এডিপি বাস্তবায়নে সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ অবশ্যই নিতে হবে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুরো অর্থনীতিতে যে কর্মচাঞ্চল্য প্রত্যাশা করা হয়, তার মধ্য দিয়ে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় এবং আয় বাড়ে। সুতরাং এ ক্ষেত্রে চিরাচরিত শ্লথগতি থেকে বেরিয়ে এসে যথাসময়ে বরাদ্দ অর্থের সদ্ব্যবহার কীভাবে করা যায়, সেদিকে আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত।
প্রয়োজনের বিবেচনায় নতুন এডিপির আকার হয়তো অতিরিক্ত বড় নয়, কিন্তু বাস্তবায়নের সক্ষমতার বিবেচনায় এটি নিশ্চয়ই অনেক বড়। বড় এডিপি গ্রহণের মধ্যে রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রকল্প গ্রহণের সুযোগ থাকে, যেখানে জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজন-অপ্রয়োজনের বিবেচনা স্থান পায় না। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণেও এর কিছু প্রভাব পড়ে এবং এ ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলে বাজেট ঘাটতি বেড়ে যায়, সেই ঘাটতি পূরণ করতে সরকারকে ঋণ নিতে হয়।
এডিপি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোর কয়েকটি এমন: যথাসময়ে বাস্তবসম্মত ক্রয়-পরিকল্পনা ও কর্মপরিকল্পনা করা হয় না, হলেও ঠিকভাবে কর্মপরিকল্পনা অনুসৃত হয় না। দরপত্র আহ্বান, কার্যাদেশ দেওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক রকমের বিলম্বও ঘটে যায়। বরাদ্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় পর্যায়ের প্রশাসনিক সক্ষমতা ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের অভিজ্ঞতার অভাবও একটি বড় সমস্যা। প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ, বদলি ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনিময় রয়েছে; যোগ্যতা যাচাইয়ের বিষয়টি কম গুরুত্ব পায়, এসব ক্ষেত্রে ঘন ঘন বদলি কাজের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করে। সব মিলিয়ে, অর্থবছরের শেষাংশে এসে তড়িঘড়ি করে বরাদ্দ ব্যয় করার ফলে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর গুণগত মান নিশ্চিত হয় না।
এই সমস্যাগুলোর সমাধান করে এডিপি বাস্তবায়নে সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ অবশ্যই নিতে হবে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুরো অর্থনীতিতে যে কর্মচাঞ্চল্য প্রত্যাশা করা হয়, তার মধ্য দিয়ে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় এবং আয় বাড়ে। সুতরাং এ ক্ষেত্রে চিরাচরিত শ্লথগতি থেকে বেরিয়ে এসে যথাসময়ে বরাদ্দ অর্থের সদ্ব্যবহার কীভাবে করা যায়, সেদিকে আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত।
No comments