বন ও বন্য প্রাণী রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়া জরুরি-ভোলার বনাঞ্চল
গলায় দড়ি বেঁধে রিকশায় করে প্রাণীটিকে যেভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা গৃহপালিত প্রাণীর ক্ষেত্রে আমাদের নিয়মিতই চোখে পড়ে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবারের প্রথম আলোয় ছাপা হওয়া প্রাণীটি মনপুরার কলাতলী বন থেকে লোকালয়ে চলে আসা একটি হরিণের। এক প্রভাবশালী ব্যক্তি হরিণটিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়ে বনকর্মীদের হাতে।
আমাদের দেশে বন্য প্রাণী মানেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে পিটিয়ে মেরে ফেলা, আর হরিণের মতো প্রাণী হলে রসনাবিলাসের কাজে লাগানো। সচেতনতার অভাব, আইনের যথাযথ প্রয়োগ না করা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দায়িত্বহীনতা—সবকিছু মিলিয়েই আমাদের দেশের বন্য প্রাণীর দশা খুবই করুণ।
ভোলার বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় এক লাখ ৩৬ হাজার একর বনাঞ্চল রয়েছে। বন বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, এই বনগুলোতে বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। এর মধ্যে হরিণের সংখ্যা হাজার দশেক। মিঠা পানির অভাব, খাবারের অভাব, জোয়ার বা বর্ষার সময় বন ডুবে যাওয়া—এসব কারণে হরিণগুলো অনেক সময় চলে আসে লোকালয়ে। এ ছাড়া রয়েছে চোরা শিকারিদের উৎপাত। জ্যান্ত হরিণ বন থেকে সরিয়ে নেওয়া যখন কঠিন, তখন হরিণ ধরে ট্রলারেই সারা হয় জবাইয়ের কাজ। এর মাংস-চামড়া চলে যায় প্রভাবশালীদের কাছে।
এ ক্ষেত্রে কি কিছুই করণীয় নেই? প্রাণীর জীবনধারণের জন্য মিঠা পানির দরকার, প্রাকৃতিকভাবে এই বিষয়টি নিশ্চিত করা না গেলে বনগুলোতে কিছু মিঠা পানির সংরক্ষণাগার তৈরির বিকল্প নেই। এগুলো এমনভাবে তৈরি করা উচিত, যাতে জোয়ারে লোনা পানিতে ডুবে না যায়। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন বেশ কিছু উঁচু জায়গা তৈরি করা, যাতে এ ধরনের পরিস্থিতিতে প্রাণীরা আশ্রয় নিতে পারে। ভোলার বনাঞ্চলের জন্য এই উদ্যোগগুলো নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
বনের আশপাশে লোকালয় থাকা বন বা বন্য প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর। এই বনগুলোর আশপাশেও রয়েছে অনেক লোকালয়। এই লোকালয়গুলো যদি সরিয়ে নেওয়া সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে করণীয় হচ্ছে, এই জনগোষ্ঠীকে বন ও বন্য প্রাণী সম্পর্কে সচেতন করে তোলা, যাতে তারা সেই পরিবেশ ও পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, বন যেন অরক্ষিত না থাকে, তা নিশ্চিত করা। ভোলার বন্য প্রাণীর অনিরাপদ দশার কথা স্বীকার করে উপকূলীয় বন কর্মকর্তা বলেছেন, বন্য প্রাণী ও বন রক্ষার জন্য যথেষ্ট বনপ্রহরী ও অস্ত্র দরকার। কিন্তু সরকার বনপ্রহরী নিয়োগ দিচ্ছে না।
আমরা পুরো বিষয়টির প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মনোযোগ ও দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ভোলার বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় এক লাখ ৩৬ হাজার একর বনাঞ্চল রয়েছে। বন বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, এই বনগুলোতে বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। এর মধ্যে হরিণের সংখ্যা হাজার দশেক। মিঠা পানির অভাব, খাবারের অভাব, জোয়ার বা বর্ষার সময় বন ডুবে যাওয়া—এসব কারণে হরিণগুলো অনেক সময় চলে আসে লোকালয়ে। এ ছাড়া রয়েছে চোরা শিকারিদের উৎপাত। জ্যান্ত হরিণ বন থেকে সরিয়ে নেওয়া যখন কঠিন, তখন হরিণ ধরে ট্রলারেই সারা হয় জবাইয়ের কাজ। এর মাংস-চামড়া চলে যায় প্রভাবশালীদের কাছে।
এ ক্ষেত্রে কি কিছুই করণীয় নেই? প্রাণীর জীবনধারণের জন্য মিঠা পানির দরকার, প্রাকৃতিকভাবে এই বিষয়টি নিশ্চিত করা না গেলে বনগুলোতে কিছু মিঠা পানির সংরক্ষণাগার তৈরির বিকল্প নেই। এগুলো এমনভাবে তৈরি করা উচিত, যাতে জোয়ারে লোনা পানিতে ডুবে না যায়। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন বেশ কিছু উঁচু জায়গা তৈরি করা, যাতে এ ধরনের পরিস্থিতিতে প্রাণীরা আশ্রয় নিতে পারে। ভোলার বনাঞ্চলের জন্য এই উদ্যোগগুলো নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
বনের আশপাশে লোকালয় থাকা বন বা বন্য প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর। এই বনগুলোর আশপাশেও রয়েছে অনেক লোকালয়। এই লোকালয়গুলো যদি সরিয়ে নেওয়া সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে করণীয় হচ্ছে, এই জনগোষ্ঠীকে বন ও বন্য প্রাণী সম্পর্কে সচেতন করে তোলা, যাতে তারা সেই পরিবেশ ও পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, বন যেন অরক্ষিত না থাকে, তা নিশ্চিত করা। ভোলার বন্য প্রাণীর অনিরাপদ দশার কথা স্বীকার করে উপকূলীয় বন কর্মকর্তা বলেছেন, বন্য প্রাণী ও বন রক্ষার জন্য যথেষ্ট বনপ্রহরী ও অস্ত্র দরকার। কিন্তু সরকার বনপ্রহরী নিয়োগ দিচ্ছে না।
আমরা পুরো বিষয়টির প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মনোযোগ ও দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
No comments