প্রজাপতি মেলা by জাহিদ সুলতান লিখন
ব্যাপক উৎসাহ আর বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে গত শুক্রবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল প্রজাপতি মেলা ২০১১। মেলা উপলক্ষে ক্যাম্পাসকে সাজানো হয়েছিল বর্ণিল সাজে। বিভিন্ন পয়েন্টে লাগানো হয়েছিল ব্যানার, ফেস্টুন আর বেলুন। মেলার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ছাদে ও বিভাগের সামনের বাগানে পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়েছিল 'প্রজাপতি ঘর'। এ প্রজাপতি ঘরে কৃত্রিমভাবে প্রজাপতির প্রজনন ঘটিয়ে ক্যাম্পাসে
অবমুক্ত করা হয়েছিল। ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি করা হয়েছিল। 'উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি'_ এ স্লোগানকে ধারণ করে সকাল ১০টায় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান। প্রজাপতি মেলায় শিশুদের মনস্তাত্তি্বক বিকাশ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রজাপতির ভূমিকা তুলে ধরার জন্য আয়োজন করা হয়ে ছিল শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত দুটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন স্কুলের ২৪ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় গ্রুপ 'এ' থেকে ১৭ প্রতিযোগীর মধ্যে প্রথম হয়েছে কলতান বিদ্যা নিকেতনের একুশ আজাদ, দ্বিতীয় হয়েছে কলতান বিদ্যা নিকেতনের স্পর্শ ও তৃতীয় হয়েছে জাবি স্কুল ও কলেজের সৌমিত্র সাহা। প্রতিযোগিতায় গ্রুপ 'বি' থেকে ৭ প্রতিযোগীর মধ্যে প্রথম হয়েছে রেডিও কলোনি স্কুলের ইমা ফাতিমা, দ্বিতীয় হয়েছে জাবি স্কুল ও কলেজের রকিব হাসান রাবি্ব ও তৃতীয় হয়েছে জাবি স্কুল ও কলেজের হাসিবুল হাসান শিহাব। জীবন্ত প্রজাপতির ওড়াওড়ি নিজ চোখে দেখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনে আয়োজন করা হয়েছিল 'প্রজাপতির ঘর'। নেট কাপড় দিয়ে ঘেরা এ প্রজাপতি ঘরের ভেতরে জীবন্ত প্রজাপতির জীবন-আচরণ দেখা যায়। প্রজাপতি মেলার অন্যতম আকর্ষণ ছিল প্রজাপতির আঙ্গিকে বানানো ঘুড়ি উড়ানো।
মেলায় আসা দর্শনার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ ঘুড়ি উড়ান। এবারের মেলায় প্রজাপতির পরিচিতি বাড়ানোর জন্য ফটোগ্রাফিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। আয়োজন করা হয়েছিল প্রজাপতির ওপর আলোকচিত্র প্রর্দশনী। এ প্রদর্শনীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শনাক্তকৃত ১১০টি ও বাইরের ৫০টি প্রজাপতির আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়। বিকেলে মেলায় 'প্রকৃতি ও প্রজাপতি' বিষয়ের ওপর অনুষ্ঠিত হয় বারোয়ারি বিতর্ক প্রতিযোগিতা। বারোয়ারি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ১৫ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শাহীনুর সেলিম সুজন, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী একেএম জাকারিয়া ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সারোয়ার।
মেলায় আসা দর্শনার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ ঘুড়ি উড়ান। এবারের মেলায় প্রজাপতির পরিচিতি বাড়ানোর জন্য ফটোগ্রাফিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। আয়োজন করা হয়েছিল প্রজাপতির ওপর আলোকচিত্র প্রর্দশনী। এ প্রদর্শনীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শনাক্তকৃত ১১০টি ও বাইরের ৫০টি প্রজাপতির আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়। বিকেলে মেলায় 'প্রকৃতি ও প্রজাপতি' বিষয়ের ওপর অনুষ্ঠিত হয় বারোয়ারি বিতর্ক প্রতিযোগিতা। বারোয়ারি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ১৫ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শাহীনুর সেলিম সুজন, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী একেএম জাকারিয়া ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সারোয়ার।
No comments