সাফল্য-ভিন্ন স্বাদের 'ডাব্বুইর ভাইয়ুন' দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও by জাহেদুল আলম,
স্বাদে ভিন্নতার কারণে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ডাবুয়ার বেগুন বেশ প্রসিদ্ধ। স্থানীয় ভাষায় এটিকে বলা হয়ে থাকে 'ডাব্বুইর ভাইয়ুন'। অন্য যেকোনো বেগুনের চেয়ে এই বেগুনের কদর এতই বেশি যে দেশের বাইরেও তা পাঠানো হয়। শুষ্ক মৌসুমে ডাবুয়া খালে পানি না থাকায় চাহিদা অনুযায়ী এই বেগুনের চাষ করা সম্ভব হয় না বলে জানালেন একাধিক কৃষক। আরেক কৃষক অভিযোগ করেন, স্থানীয় কৃষি অফিসের কেউ কোনো দিন তাঁদের খবর নিতে
আসেনি।ডাবুয়ার বেগুন চাষ করেন এমন একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুধু রাউজানে নয়, উত্তর চট্টগ্রাম তথা চট্টগ্রাম নগরীতে যারা বসবাস করেন, তাঁদের কাছে ডাবুয়ার বেগুনের কদর আলাদা। বিদেশে থাকা আত্মীয়স্বজনের কাছে অনেকে এই বেগুন পাঠিয়ে থাকেন। তাই রাউজানের হাট-বাজারে ডাবুয়ার বেগুনের চাহিদা অনেক বেশি। চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন করা সম্ভব হয় না। তবে যেটুকু জমিতে এই বেগুন চাষ হয়, তাতে প্রতিবছর তাঁরা লাভের মুখ দেখেন।
উপজেলার ডাবুয়া খালের পাড়ে ডাবুয়া ও হলদিয়া ইউনিয়নের কয়েক কিলোমিটারজুড়ে চাষ হয় ডাবুয়া বেগুন নামে পরিচিত এই গোল বেগুনের। শতাধিক কৃষক প্রতিবছর শ্রাবণ মাসে এই বেগুনের চাষ শুরু করেন। আশ্বিন মাস থেকে বেগুন ধরতে শুরু করে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এই বেগুন বিক্রি হয় পাশের হাটহাজারী উপজেলাতেও। পাইকারি কিনে খুচরা বিক্রেতারা নিয়ে যান চট্টগ্রাম ও অন্য জেলাগুলোয়।
অন্যান্য কৃষকের তুলনায় ডাবুয়ার বেগুনের চাষ বেশি করেন ডাবুয়া খালের পূর্ব পাড়ের হলদিয়ার আলীখিল এলাকার মো. আনোয়ার। তিনি এ বছর দেড় কানি (৩০ গণ্ডা, প্রতি গণ্ডা সমান দুই শতক) জমিতে এই বেগুনের চাষ করেছেন।
আনোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি এবং আমার পরিবারের সবাই শ্রম দিয়ে এই বেগুনের চাষ করে থাকি।
দেড় কানি জমিতে আমার খরচ হয়েছে মাত্র সাত-আট হাজার টাকা। বেগুন এখন ধরতে শুরু করেছে। প্রতিদিন পাইকারদের কাছে চার-পাঁচ মণ বিক্রি করছি। আর কিছু দিন পর আরো বেশি বিক্রি করতে পারব।' ডাবুয়ার বেগুন চাষ করে তাঁর এ বছর কমপক্ষে দেড় লাখ টাকা লাভ হবে বলে জানান তিনি। স্থানীয় কৃষকরা জানান, ডাবুয়া ও হলদিয়া থেকে প্রতিবছরের মতো এবারও কোটি টাকার বেগুন বিক্রি হবে।
স্থানীয় জিয়াউদ্দিন বাবলু বলেন, 'এখানে ডাবুয়া বেগুনের চাষ হলেও শুষ্ক মৌসুমে ডাবুয়া খালে পানি পাওয়া যায় না, এ কারণে অনেকে উদ্যোগী হয়েও পরে পিছু হটতে বাধ্য হয়।'
কৃষক হাসান অভিযোগ করে বলেন, 'আনোয়ারের মতো বড় চাষিসহ অনেক কৃষক এখানে থাকলেও স্থানীয় কৃষি অফিসের কেউ কোনো সময় আমাদের খবর নিতে আসেনি।'
তবে উপজেলা কৃষি অফিসার শাহ আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'চাহিদার কথা ভেবে কৃষকদের ডাবুয়ার বেগুন সম্পর্কে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। কৃষকরা কী পদ্ধতিতে চাষ করলে ফলন বেশি পাবেন, তাও তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়।' তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে কোনো চাষি সহযোগিতা চাইলে সব রকম সহযোগিতা করা হবে।'
উপজেলার ডাবুয়া খালের পাড়ে ডাবুয়া ও হলদিয়া ইউনিয়নের কয়েক কিলোমিটারজুড়ে চাষ হয় ডাবুয়া বেগুন নামে পরিচিত এই গোল বেগুনের। শতাধিক কৃষক প্রতিবছর শ্রাবণ মাসে এই বেগুনের চাষ শুরু করেন। আশ্বিন মাস থেকে বেগুন ধরতে শুরু করে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এই বেগুন বিক্রি হয় পাশের হাটহাজারী উপজেলাতেও। পাইকারি কিনে খুচরা বিক্রেতারা নিয়ে যান চট্টগ্রাম ও অন্য জেলাগুলোয়।
অন্যান্য কৃষকের তুলনায় ডাবুয়ার বেগুনের চাষ বেশি করেন ডাবুয়া খালের পূর্ব পাড়ের হলদিয়ার আলীখিল এলাকার মো. আনোয়ার। তিনি এ বছর দেড় কানি (৩০ গণ্ডা, প্রতি গণ্ডা সমান দুই শতক) জমিতে এই বেগুনের চাষ করেছেন।
আনোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি এবং আমার পরিবারের সবাই শ্রম দিয়ে এই বেগুনের চাষ করে থাকি।
দেড় কানি জমিতে আমার খরচ হয়েছে মাত্র সাত-আট হাজার টাকা। বেগুন এখন ধরতে শুরু করেছে। প্রতিদিন পাইকারদের কাছে চার-পাঁচ মণ বিক্রি করছি। আর কিছু দিন পর আরো বেশি বিক্রি করতে পারব।' ডাবুয়ার বেগুন চাষ করে তাঁর এ বছর কমপক্ষে দেড় লাখ টাকা লাভ হবে বলে জানান তিনি। স্থানীয় কৃষকরা জানান, ডাবুয়া ও হলদিয়া থেকে প্রতিবছরের মতো এবারও কোটি টাকার বেগুন বিক্রি হবে।
স্থানীয় জিয়াউদ্দিন বাবলু বলেন, 'এখানে ডাবুয়া বেগুনের চাষ হলেও শুষ্ক মৌসুমে ডাবুয়া খালে পানি পাওয়া যায় না, এ কারণে অনেকে উদ্যোগী হয়েও পরে পিছু হটতে বাধ্য হয়।'
কৃষক হাসান অভিযোগ করে বলেন, 'আনোয়ারের মতো বড় চাষিসহ অনেক কৃষক এখানে থাকলেও স্থানীয় কৃষি অফিসের কেউ কোনো সময় আমাদের খবর নিতে আসেনি।'
তবে উপজেলা কৃষি অফিসার শাহ আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'চাহিদার কথা ভেবে কৃষকদের ডাবুয়ার বেগুন সম্পর্কে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। কৃষকরা কী পদ্ধতিতে চাষ করলে ফলন বেশি পাবেন, তাও তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়।' তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে কোনো চাষি সহযোগিতা চাইলে সব রকম সহযোগিতা করা হবে।'
No comments