গলছে হিমালয়ের হিমবাহ-জাতিসংঘের নতুন প্রতিবেদন
হিমালয়ের হিমবাহগুলো ক্রমে গলে যাচ্ছে। সম্প্রতি নতুন এক গবেষণার বরাত দিয়ে এ দাবি করেছে জাতিসংঘ। এর আগে এ-সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করায় দুঃখ প্রকাশ করতে হয়েছিল জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আন্তরাষ্ট্রীয় প্যানেলকে (আইপিসিসি)।সে সময় আইপিসিসি গবেষণার ভিত্তিতে দাবি করেছিল, ২০৩৫ সালের মধ্যে হিমালয়ের হিমবাহগুলো গলে যাবে। ২০০৯ সালের এ ঘটনাটি 'হিমালয়াগেট' নামে পরিচিত।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেই হিমবাহগুলো গলে যাচ্ছে বলে জাতিসংঘের একদল বিজ্ঞানী সতর্ক করেছিলেন তখন।সেই অস্বস্তিকর অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটতে চলেছে নতুন গবেষণা প্রতিবেদনের মাধ্যমে। আইপিসিসির চেয়ারম্যান ড. রাজেন্দ্র পাচৌরি বলেছেন, ১০টি হিমবাহের ওপর গবেষণা করে সেগুলোর গলে যাওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে হিমালয়ে মোট ৫৪ হাজার হিমবাহ রয়েছে। এ জন্য এ ব্যাপারে আরো ব্যাপক গবেষণার দরকার রয়েছে বলেও ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে চলমান জলবায়ুবিষয়ক সম্মেলনে কাঠমাণ্ডুভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেইন ডেভেলপমেন্টের (আইসিআইএমওডি) সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেছে জাতিসংঘ।
২০০২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, হিমালয়ের ১০টি হিমবাহের আকার কমে আসছে। সুইডেনের অর্থায়নে ওই গবেষণাটি সম্পন্ন হয়েছে। অন্য আরেকটি গবেষণাও দেখা গেছে, হিমালয় অঞ্চলের বিস্তৃত বরফের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমছে। গত ১০ বছরের পর্যবেক্ষণে এ ফলাফল পাওয়া গেছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, হিমালয়ের হিমবাহগুলো গলে যাওয়ার প্রভাব মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনতে পারে। সে ক্ষেত্রে এ অঞ্চলের মানুষ ও পশুপাখি উভয়েই এর ক্ষতির শিকার হবে। এ অঞ্চলের প্রায় ১৩০ কোটি মানুষ হিমালয়ের পানির উৎসের ওপর নির্ভরশীল।
পাচৌরি সতর্ক করে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন পাহাড়ি অঞ্চলে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি বলেন, 'নতুন এ গবেষণাগুলো আমাদের নতুন ভিত্তি গড়ে দেয় এবং স্থানিক তথ্য সরবরাহ করে, যা আমাদের বুঝতে সহায়তা করে যে, জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিবেশ।' পাচৌরি বলেন, 'গবেষণাগুলো এ অঞ্চলসহ বিশ্বের সব পাহাড়ি অঞ্চলের ব্যাপারে আমাদের উল্লেখযোগ্য মনোযোগ দাবি করে। পাশাপাশি, এ ব্যাপারে আমাদের বোঝার ঘাটতি দূর করে এবং দরকারি পদক্ষেপ নেওয়ার তাগাদা দেয়। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জকে আমাদের বৈশ্বিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে এবং এর প্রভাবের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি স্থানীয়ভাবে কমিয়ে আনতে হবে।' সূত্র : টেলিগ্রাফ।
দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে চলমান জলবায়ুবিষয়ক সম্মেলনে কাঠমাণ্ডুভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেইন ডেভেলপমেন্টের (আইসিআইএমওডি) সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেছে জাতিসংঘ।
২০০২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, হিমালয়ের ১০টি হিমবাহের আকার কমে আসছে। সুইডেনের অর্থায়নে ওই গবেষণাটি সম্পন্ন হয়েছে। অন্য আরেকটি গবেষণাও দেখা গেছে, হিমালয় অঞ্চলের বিস্তৃত বরফের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমছে। গত ১০ বছরের পর্যবেক্ষণে এ ফলাফল পাওয়া গেছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, হিমালয়ের হিমবাহগুলো গলে যাওয়ার প্রভাব মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনতে পারে। সে ক্ষেত্রে এ অঞ্চলের মানুষ ও পশুপাখি উভয়েই এর ক্ষতির শিকার হবে। এ অঞ্চলের প্রায় ১৩০ কোটি মানুষ হিমালয়ের পানির উৎসের ওপর নির্ভরশীল।
পাচৌরি সতর্ক করে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন পাহাড়ি অঞ্চলে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি বলেন, 'নতুন এ গবেষণাগুলো আমাদের নতুন ভিত্তি গড়ে দেয় এবং স্থানিক তথ্য সরবরাহ করে, যা আমাদের বুঝতে সহায়তা করে যে, জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিবেশ।' পাচৌরি বলেন, 'গবেষণাগুলো এ অঞ্চলসহ বিশ্বের সব পাহাড়ি অঞ্চলের ব্যাপারে আমাদের উল্লেখযোগ্য মনোযোগ দাবি করে। পাশাপাশি, এ ব্যাপারে আমাদের বোঝার ঘাটতি দূর করে এবং দরকারি পদক্ষেপ নেওয়ার তাগাদা দেয়। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জকে আমাদের বৈশ্বিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে এবং এর প্রভাবের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি স্থানীয়ভাবে কমিয়ে আনতে হবে।' সূত্র : টেলিগ্রাফ।
No comments