ইসরায়েলকে আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতা কমাতে হবে: লিওন প্যানেট্টা
প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করে এবং ফিলিস্তিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করে নিজেদের আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতা কমাতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেট্টা।
গত শুক্রবার ওয়াশিংটনে এক ভাষণে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘দুঃখজনক হলো গত বছর থেকে আমরা দেখেছি, ইসরায়েল তাদের নিরাপত্তা-সহযোগীদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে এবং মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা থমকে আছে।’
প্যানেট্টা আরও বলেন, ‘ইসরায়েলের উদ্বেগের বিষয়টি আমরা বুঝি। আরব বিশ্বে গণ-অভ্যুত্থানে তাদের নিরাপত্তা-সহযোগী মিসরসহ অনেকগুলো দেশের দীর্ঘদিনের শাসকদের পতন ঘটেছে। কিন্তু তার পরও ওই সব দেশে নেতৃত্বের পরিবর্তন আসায় ইসরায়েলের জন্য আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার করার সুযোগ এসেছে। যেমন আঞ্চলিক নিরাপত্তার দিকে অভিন্ন স্বার্থ আছে—এমন দেশের সঙ্গে তারা সম্পর্ক জোরদার করতে পারে। তুরস্ক, মিসর ও জর্ডানের মতো দেশের সঙ্গে এটা করা ইসরায়েলের জন্য জরুরি।’
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ইরানকে তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরির সুযোগ দেবে না।
ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসন ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের বিষয়টিও নাকচ করে দেয়নি বলে জানান পেন্টাগন-প্রধান। তবে তিনি বলেন, এতে খুব বেশি কাজ হবে না। ইরান হয়তো পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে দুই-এক বছর পিছিয়ে পড়তে পারে। তার থেকে ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি পরিহারে রাজি করানোর চেষ্টা করা উচিত। তা যদি সম্ভব হয়, তাহলে তো ভালো। আর না হলে শেষ পদক্ষেপ হিসেবে সামরিক হামলা তো থাকছেই।
প্যানেট্টা বলেন, ইসরায়েল-তুরস্কের সম্পর্কের বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি উদ্বিগ্ন এবং সম্পর্ক আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে উভয় দেশের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মিসরের বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, সিনাই উপত্যকার নিরাপত্তা এবং সম্প্রতি কায়রোয় ইসরায়েলি দূতাবাসের হামলার ঘটনায় ইসরায়েলের উদ্বেগের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র অনুধাবন করতে পারে। তার পরও মিসরের থেকে দূরে সরে না গিয়ে ইসরায়েলের উচিত, কায়রোর সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা।
এ ছাড়া ফিলিস্তিনের সঙ্গে শান্তি স্থাপনে ইসরায়েলের উচিত, আলোচনার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া।
ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্রুকিং ইনস্টিটিউশনস সাবান সেন্টার ফর দ্য মিডলইস্ট আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে বক্তৃতার পর উপস্থিত দর্শকদের প্রশ্নের জবাব দেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ফিলিস্তিনের সঙ্গে আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার জন্য ইসরায়েল সুনির্দিষ্ট কী পদক্ষেপ নিতে পারে?
জবাবে প্যানেট্টা বলেন, ‘আলোচনার টেবিলে বসতে হবে। দর-কষাকষি চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু এই মুহূর্তে সমস্যা হলো, আমরা আলোচনার টেবিলেই বসতে পারছি না।’
গত শুক্রবার ওয়াশিংটনে এক ভাষণে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘দুঃখজনক হলো গত বছর থেকে আমরা দেখেছি, ইসরায়েল তাদের নিরাপত্তা-সহযোগীদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে এবং মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা থমকে আছে।’
প্যানেট্টা আরও বলেন, ‘ইসরায়েলের উদ্বেগের বিষয়টি আমরা বুঝি। আরব বিশ্বে গণ-অভ্যুত্থানে তাদের নিরাপত্তা-সহযোগী মিসরসহ অনেকগুলো দেশের দীর্ঘদিনের শাসকদের পতন ঘটেছে। কিন্তু তার পরও ওই সব দেশে নেতৃত্বের পরিবর্তন আসায় ইসরায়েলের জন্য আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার করার সুযোগ এসেছে। যেমন আঞ্চলিক নিরাপত্তার দিকে অভিন্ন স্বার্থ আছে—এমন দেশের সঙ্গে তারা সম্পর্ক জোরদার করতে পারে। তুরস্ক, মিসর ও জর্ডানের মতো দেশের সঙ্গে এটা করা ইসরায়েলের জন্য জরুরি।’
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ইরানকে তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরির সুযোগ দেবে না।
ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসন ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের বিষয়টিও নাকচ করে দেয়নি বলে জানান পেন্টাগন-প্রধান। তবে তিনি বলেন, এতে খুব বেশি কাজ হবে না। ইরান হয়তো পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে দুই-এক বছর পিছিয়ে পড়তে পারে। তার থেকে ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি পরিহারে রাজি করানোর চেষ্টা করা উচিত। তা যদি সম্ভব হয়, তাহলে তো ভালো। আর না হলে শেষ পদক্ষেপ হিসেবে সামরিক হামলা তো থাকছেই।
প্যানেট্টা বলেন, ইসরায়েল-তুরস্কের সম্পর্কের বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি উদ্বিগ্ন এবং সম্পর্ক আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে উভয় দেশের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মিসরের বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, সিনাই উপত্যকার নিরাপত্তা এবং সম্প্রতি কায়রোয় ইসরায়েলি দূতাবাসের হামলার ঘটনায় ইসরায়েলের উদ্বেগের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র অনুধাবন করতে পারে। তার পরও মিসরের থেকে দূরে সরে না গিয়ে ইসরায়েলের উচিত, কায়রোর সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা।
এ ছাড়া ফিলিস্তিনের সঙ্গে শান্তি স্থাপনে ইসরায়েলের উচিত, আলোচনার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া।
ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্রুকিং ইনস্টিটিউশনস সাবান সেন্টার ফর দ্য মিডলইস্ট আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে বক্তৃতার পর উপস্থিত দর্শকদের প্রশ্নের জবাব দেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ফিলিস্তিনের সঙ্গে আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার জন্য ইসরায়েল সুনির্দিষ্ট কী পদক্ষেপ নিতে পারে?
জবাবে প্যানেট্টা বলেন, ‘আলোচনার টেবিলে বসতে হবে। দর-কষাকষি চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু এই মুহূর্তে সমস্যা হলো, আমরা আলোচনার টেবিলেই বসতে পারছি না।’
No comments