সিমুতাংয়ে গ্যাস উত্তোলন শুরু by আবদুস সাত্তার,
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ও খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি সীমান্তবর্তী কালাপানি এলাকায় সিমুতাং গ্যাসফিল্ডে গতকাল রবিবার থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছে। এখানে শুরুতে দৈনিক ৮ থেকে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে। তবে এটা অস্থায়ী। প্রসেসিং প্লান্টের মাধ্যমে পুরোদমে উত্তোলন শুরু হবে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে। তখন দৈনিক ১৫ থেকে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে। আবিষ্কারের দীর্ঘ ৫০ বছর পর এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন শুরু হলো।
অবসান হলো দীর্ঘদিনের অনিশ্চয়তার।গতকাল সরেজমিনে কালাপানি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই গ্যাসক্ষেত্র চালুর তোড়জোড় শুরু হয়। কিন্তু সরবরাহ সুইচ চালুর সঙ্গে সঙ্গেই ত্রুটি ধরা পড়ে। ত্রুটি সারিয়ে উৎপাদন শুরু হতে সন্ধ্যা পার হয়ে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত গ্যাসক্ষেত্র চালু করতে পারায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। তাঁরা শুকরিয়া আদায় করে মোনাজাত করেন।
বাপেঙ্ কর্মকর্তারা জানান, সিমুতাং গ্যাসক্ষেত্রের ৫ নম্বর কূপে ১৫০ বিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে। এই কূপ থেকে দৈনিক ১৫-১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। এর আগে গ্যাসক্ষেত্রের এই কূপেই পরীক্ষামূলকভাবে উত্তোলিত গ্যাসের শিখা প্রজ্বালন করা হয়। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এঙ্প্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কম্পানি (বাপেঙ্) সরাসরি এ কাজ তত্ত্বাবধান করছে।
এর আগে জানানো হয়েছিল, দেশে বিরাজমান গ্যাস সংকট নিরসনে সিমুতাং গ্যাসক্ষেত্র থেকে ডিসেম্বরে পুরোদমে গ্যাস উত্তোলন শুরু হবে। শেষ পর্যন্ত তা আর সম্ভব হচ্ছে না। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেড গ্যাসক্ষেত্র থেকে চট্টগ্রাম শহর পর্যন্ত পাইপলাইন বসানোর কাজ শেষ করলেও বাপেঙ্ গ্যাস উত্তোলনের প্রসেসিং প্ল্যান্ট বসানোর কাজ শেষ করতে পারেনি। এ জন্য বর্তমানে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে অস্থায়ীভাবে।
জি-কম ইকুইপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান প্রসেসিং প্লান্ট বসানোর কাজ করছে। এ কাজ শেষ হবে ফেব্রুয়ারি মাসে। এই প্লান্ট ন্যাচারাল গ্যাসকে পরিশোধন করে কনডেনসেট আলাদা করবে।
বাপেঙ্ কর্মকর্তারা জানান, সিমুতাং গ্যাসক্ষেত্র থেকে দৈনিক হাফ ব্যারেল কনডেনসেট পাওয়া যাবে। এটা পরিশোধন করলে পাওয়া যাবে কেরোসিন, ডিজেল ও পেট্রল।
জি-কম ইকুইপমেন্টের জেনারেল ম্যানেজার (জি এম) ড. সালিম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'গ্যাসক্ষেত্রের প্রসেসিং প্লান্ট বসানো এটি একটি শৈল্পিক কাজ। এটা যেনতেনভাবে করা যায় না। আমরা এখানে ত্রুটিমুক্তভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আর কাজ শেষ করতে আমাদের সঙ্গে বাপেঙ্রে চুক্তি রয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।'
বাপেঙ্ কর্মকর্তারা জানান, সিমুতাং গ্যাসক্ষেত্রের ৫ নম্বর কূপে ১৫০ বিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে। এই কূপ থেকে দৈনিক ১৫-১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। এর আগে গ্যাসক্ষেত্রের এই কূপেই পরীক্ষামূলকভাবে উত্তোলিত গ্যাসের শিখা প্রজ্বালন করা হয়। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এঙ্প্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কম্পানি (বাপেঙ্) সরাসরি এ কাজ তত্ত্বাবধান করছে।
এর আগে জানানো হয়েছিল, দেশে বিরাজমান গ্যাস সংকট নিরসনে সিমুতাং গ্যাসক্ষেত্র থেকে ডিসেম্বরে পুরোদমে গ্যাস উত্তোলন শুরু হবে। শেষ পর্যন্ত তা আর সম্ভব হচ্ছে না। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেড গ্যাসক্ষেত্র থেকে চট্টগ্রাম শহর পর্যন্ত পাইপলাইন বসানোর কাজ শেষ করলেও বাপেঙ্ গ্যাস উত্তোলনের প্রসেসিং প্ল্যান্ট বসানোর কাজ শেষ করতে পারেনি। এ জন্য বর্তমানে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে অস্থায়ীভাবে।
জি-কম ইকুইপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান প্রসেসিং প্লান্ট বসানোর কাজ করছে। এ কাজ শেষ হবে ফেব্রুয়ারি মাসে। এই প্লান্ট ন্যাচারাল গ্যাসকে পরিশোধন করে কনডেনসেট আলাদা করবে।
বাপেঙ্ কর্মকর্তারা জানান, সিমুতাং গ্যাসক্ষেত্র থেকে দৈনিক হাফ ব্যারেল কনডেনসেট পাওয়া যাবে। এটা পরিশোধন করলে পাওয়া যাবে কেরোসিন, ডিজেল ও পেট্রল।
জি-কম ইকুইপমেন্টের জেনারেল ম্যানেজার (জি এম) ড. সালিম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'গ্যাসক্ষেত্রের প্রসেসিং প্লান্ট বসানো এটি একটি শৈল্পিক কাজ। এটা যেনতেনভাবে করা যায় না। আমরা এখানে ত্রুটিমুক্তভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আর কাজ শেষ করতে আমাদের সঙ্গে বাপেঙ্রে চুক্তি রয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।'
No comments