চট্টগ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সভা পণ্ড
চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জেলা ইউনিটের সাধারণ সভা পণ্ড হয়ে গেছে। দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।গতকাল রবিবার সকালে নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়।
ভাঙচুর করা হয় সভামঞ্চ ও চেয়ার। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। আহতদের মধ্যে ডা. নরেন কুমার দাশ নামের একজন শিশু বিশেষজ্ঞকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দুপুরে উভয় পক্ষ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অবস্থান করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল পৌনে ১০টায় পাঁচলাইশের একটি কমিউনিটি সেন্টারে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের ৩৯তম সাধারণ সভা শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কেন্দ্রীয় বোর্ড সদস্য নূর নবী চৌধুরী। সভা শুরুর আগে-পরে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ডা. শেখ শফিউল আজম এবং স্বাচিপের একপক্ষের নেতা ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমানের অনুসারীরা অনুষ্ঠানস্থলে জড়ো হতে থাকে। ডা. শফিউল চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ডা. মিনহাজুর রহমান দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক। সভা শুরুর আধা ঘণ্টা পর জসিম উদ্দিন নামে এক আজীবন সদস্য বক্তব্য দিতে চান। ওই সময় তাঁদের পক্ষ থেকে ডা. মিনহাজুর রহমানকে বক্তব্যের সুযোগ দেওয়া হয়। প্রায় ১০ মিনিট ধরে বক্তব্য রাখার সময় তিনি জেলা রেড ক্রিসেন্টের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও কমিটির নেতাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন।
এ নিয়ে একপর্যায়ে হট্টগোল শুরু হয়। এ সময় শফিউল আজম ও মিনহাজুর রহমানের সমর্থক বিএমএ ও স্বাচিপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও হাতাহাতি শুরু হয়। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলে। এ সময় ঢাকা থেকে যাওয়া অতিথিরা ঘটনাস্থল থেকে সরে যান। অবশ্য পরে তাঁরা আবার সভায় যোগ দেন বলে দাবি করেছেন ডা. শফিউল আজম।
তবে দুপুর ১২টার দিকে গিয়ে এক ঘণ্টা অবস্থান করে সভাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। সেখানে ভাঙচুর করা চেয়ার-টেবিল পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শফিউল আজম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'প্রথম অধিবেশন শেষে দ্বিতীয় অধিবেশনে নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হয়। তখন একটি গ্রুপ বিশৃঙ্খলা শুরু করে। এ সময় তাদের কয়েকজনকে অনুষ্ঠান থেকে বের করে দেওয়া হয়।'
অনুষ্ঠান পণ্ড হয়নি দাবি করে এই নেতা বলেন, কিছুক্ষণ সভার কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পরে সবার উপস্থিতিতে আগামী তিন বছরের জন্য সাত সদস্যের কমিটি নির্বাচিত করা হয়। এতে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান এবং মোহাম্মদ আলী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। জেলা ইউনিটে চেয়ারম্যানের পদ নেই। ভাইস চেয়ারম্যানই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জানা গেছে, সভা পণ্ড হওয়ার পর মুরাদপুরের মির্জাপোল এলাকায় শফিউল আজমের বাসায় বসে কমিটি করা হয়। শফিউল আজম জানান, তাঁর বাসায় খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। তবে তিনি বাসায় কমিটি করার কথা অস্বীকার করেন।
ডা. মিনহাজুর রহমান বলেন, 'পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে চুপিসারে রেড ক্রিসেন্টের বর্তমান কমিটি সভা ও নির্বাচন করছিল। আমরা খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হই। আজীবন সদস্যদের পক্ষে আমি বক্তব্য রাখার সময় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান-সাধারণ সম্পাদকসহ বর্তমান কমিটির বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরলে এসময় কয়েকজন আমাকে ধাক্কা দিয়ে মঞ্চ থেকে ফেলে দেয়।'
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল পৌনে ১০টায় পাঁচলাইশের একটি কমিউনিটি সেন্টারে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের ৩৯তম সাধারণ সভা শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কেন্দ্রীয় বোর্ড সদস্য নূর নবী চৌধুরী। সভা শুরুর আগে-পরে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ডা. শেখ শফিউল আজম এবং স্বাচিপের একপক্ষের নেতা ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমানের অনুসারীরা অনুষ্ঠানস্থলে জড়ো হতে থাকে। ডা. শফিউল চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ডা. মিনহাজুর রহমান দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক। সভা শুরুর আধা ঘণ্টা পর জসিম উদ্দিন নামে এক আজীবন সদস্য বক্তব্য দিতে চান। ওই সময় তাঁদের পক্ষ থেকে ডা. মিনহাজুর রহমানকে বক্তব্যের সুযোগ দেওয়া হয়। প্রায় ১০ মিনিট ধরে বক্তব্য রাখার সময় তিনি জেলা রেড ক্রিসেন্টের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও কমিটির নেতাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন।
এ নিয়ে একপর্যায়ে হট্টগোল শুরু হয়। এ সময় শফিউল আজম ও মিনহাজুর রহমানের সমর্থক বিএমএ ও স্বাচিপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও হাতাহাতি শুরু হয়। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলে। এ সময় ঢাকা থেকে যাওয়া অতিথিরা ঘটনাস্থল থেকে সরে যান। অবশ্য পরে তাঁরা আবার সভায় যোগ দেন বলে দাবি করেছেন ডা. শফিউল আজম।
তবে দুপুর ১২টার দিকে গিয়ে এক ঘণ্টা অবস্থান করে সভাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। সেখানে ভাঙচুর করা চেয়ার-টেবিল পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শফিউল আজম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'প্রথম অধিবেশন শেষে দ্বিতীয় অধিবেশনে নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হয়। তখন একটি গ্রুপ বিশৃঙ্খলা শুরু করে। এ সময় তাদের কয়েকজনকে অনুষ্ঠান থেকে বের করে দেওয়া হয়।'
অনুষ্ঠান পণ্ড হয়নি দাবি করে এই নেতা বলেন, কিছুক্ষণ সভার কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পরে সবার উপস্থিতিতে আগামী তিন বছরের জন্য সাত সদস্যের কমিটি নির্বাচিত করা হয়। এতে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান এবং মোহাম্মদ আলী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। জেলা ইউনিটে চেয়ারম্যানের পদ নেই। ভাইস চেয়ারম্যানই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জানা গেছে, সভা পণ্ড হওয়ার পর মুরাদপুরের মির্জাপোল এলাকায় শফিউল আজমের বাসায় বসে কমিটি করা হয়। শফিউল আজম জানান, তাঁর বাসায় খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। তবে তিনি বাসায় কমিটি করার কথা অস্বীকার করেন।
ডা. মিনহাজুর রহমান বলেন, 'পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে চুপিসারে রেড ক্রিসেন্টের বর্তমান কমিটি সভা ও নির্বাচন করছিল। আমরা খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হই। আজীবন সদস্যদের পক্ষে আমি বক্তব্য রাখার সময় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান-সাধারণ সম্পাদকসহ বর্তমান কমিটির বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরলে এসময় কয়েকজন আমাকে ধাক্কা দিয়ে মঞ্চ থেকে ফেলে দেয়।'
No comments