কে কী ভাবছেন by রাইম ইমতিয়াম
ঢাকা দু'ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। এই নিয়ে নানা জনের মাঝে ছিল নানা জল্পনা-কল্পনা! অনেকে এই বিষয়ে অনেক মত প্রকাশ করেছেন! সেই মতামতগুলোই এখানে সেঁটে দেওয়া হলো!সরকারি দল : ঢাকা দু'ভাগ হয়ে ভালোই হয়েছে! এখন থেকে একটা মেয়রের ঘাড়ে আর সব দোষ পড়বে না! দোষও ভাগ হয়ে যাবে! যেমন উত্তর ঢাকার মশা কামড়ালে দক্ষিণ ঢাকার মেয়র রিলাক্স থাকতে পারবেন! এর ফলে তারা তাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের দিকে নজর
দিতে পারবেন! যার কারণে দেশের রাজনীতিতে সুবাতাস বইবে!বিরোধী দল : দুই ভাগ না ছাই! সব দু'নম্বরী চিন্তা! একজনে টাকা-পয়সা মেরে পেট ভরছিল না! তাই এখন আরেকজনের সুযোগ করে দেওয়া! আমরা কি কিছু বুঝি না! আফটার অল আমরাও তো ক্ষমতায় ছিলাম! দু'জনে মিলে ঢাকাটা লুটেপুটে খাবে! তাদের আর কোনো জারিজুরিই ঢাকা থাকল না!
শিশু : ঢাকা ভাগ করলে আমার কী! আমার আইসক্রিম, চকোলেট, টেডিবিয়ার কেউ ভাগ না করলেই হইল! যদি কেউ ভাগ করতে আসে তাইলে আমি তারে খামচা দিমু! তাতেও কাজ না হইলে কইষ্যা কামড় দিমু! নয়তো কলে উইঠা ইয়ে কইরা দিমু!
আঁতেল : দেখুন, ঢাকা দু'ভাগ কী ওইটা বোঝার আগে আমাদের বুঝতে হবে ভাগ কী জিনিস! আসলে ভাগ এমন একটা জিনিস যে, সেটাকে দু-তিন চার এমনি আরও নানা ভাগে ভাগ করা যায়! আর ভাগ কখনও গাছে ধরে না! ভাগের কোনো প্রাণ নেই! কিন্তু তারপরও ভাগ বড়-ছোট অভয়ই হতে পারে! তো ইয়ে মানে আপনার প্রশ্নটা যেন কী ছিল! আসলে ভাগ নিয়ে গভীর থটে যাওয়ায় আপনার প্রশ্নটা অনেক ভাগে ভাগ হয়ে আমার মনের কোনো এক ভাগে হারিয়ে গেছে!
অর্থনীতিবিদ : দেশের অর্থনীতির বিরাট এক ক্ষতি হইয়া গেল! এখন দু'দিক থেকেই অর্থ লুটপাট হবে! এর ফলে বেশি টাকা কালো বাজারে চলে যাবে। যা দেশের কোনো উপকারে আসবে না! ফলে দেশের অর্থনীতি গোতলান খেয়ে যাবে! এছাড়া মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়বে! মানুষ সেই দুর্ভোগ কাটাতে টাকা বেশি খরচ করবে! এতে ব্যক্তিগত সঞ্চয় কমবে! এর ফলে ব্যাষ্টিক অর্থনীতি চরমভাবে হোঁচট খাবে! আর ব্যাষ্টিক অর্থনীতির এই হাল দেখে আমাদের বিদেশি সাহায্য কমে যাবে! আমরা গরিব হয়ে যাব!
সবজি বিক্রেতা : ঢাকা ভাগ হওয়ায় ভালোই হইছে! এখন আমাদের হাতে অজুহাতের পরিমাণ আরও বাড়ল! ক্রেতাগো কমু ওই ঢাকায় দাম বেশি! তাই এখানেও বেশি! আবার কমু ওই ঢাকা থেকে মাল আনতে হয়! তাই খরচ বেশি পড়ে! তাই সব কিছুর দাম বেশি! তো আমি এই ঢাকা ভাগকে একটা লাভজনক কার্যক্রম বলে দেখছি!
পেটুক : ঢাকা দু'ভাগে ভাগকরণটা মোটেও ঠিক হয় নাই! কারণ এই ভাগ জিনিসটাই খারাপ! যেমন এবার ভাগে কোরবানি দিছিলাম! তো আমার ভাগীদার চামে নিজে সব শিনার গুছ রাইখা আমার ভাগে গরুর পশ্চাৎদেশের গুছ দিছিল! বাপরে! ওই গুছ কী শক্ত! চাবাইতে গিয়া তো আমার সামনের দাঁত দু'ভাগে ভাগ হইয়া গেল! আর আমিও বুঝলাম ভাগ জিনিসটা অতি খারাপ! এই যে ঢাকা ভাগ হইল! দেখবেন সবতে এর দাঁত ভাঙা জবাব পাইব!
রূপ সচেতন তরুণী : ওয়াও! ঢাকা ভাগ হয়ে গেছে নাকি! এবার তাহলে আমি দুই ঢাকায় ঘুরে আমার রূপ সবাইকে দেখাতে পারব! ওফ নো! তার মানে এখন থেকে আমাকে ডবল সাজ দিতে হবে! আগে ছিল একটা ঢাকা আর এখন দুটা ঢাকা! ইস, কখন কী যে করি! কখন সাজব! ওই মিয়া সামনে খাম্বার মতো খাড়ায়া আছেন কেন! কুইক সাইড লন!
পাগল : আমার সামনে থেকে ভাগ কইতেছি! আমার ব্রেন ঠাণ্ডা হইলে তোর খবর আছে! মেয়ে পক্ষ দেখতে এসে আমারে দুই আর দুই ভাগ করলে কত হয় ওইটা জিগাইছিল! আমি পারি নাই! তাই বিয়া ভাইঙা গেছিল! হের পর থাইক্কা আমি পাগল! আর এখন তুই কি-না আমারে ঢাকা দুই ভাগ হইছে এইটা লইয়া মতামত দিতে কস! আইজকা তোর পিঠে আমি এই মুলি বাম্বো ভাইঙ্গা তোরে যদি আমি দুই ভাগ না করছি তো আমার নাম দুই ভাগ পাগলা না!
শিশু : ঢাকা ভাগ করলে আমার কী! আমার আইসক্রিম, চকোলেট, টেডিবিয়ার কেউ ভাগ না করলেই হইল! যদি কেউ ভাগ করতে আসে তাইলে আমি তারে খামচা দিমু! তাতেও কাজ না হইলে কইষ্যা কামড় দিমু! নয়তো কলে উইঠা ইয়ে কইরা দিমু!
আঁতেল : দেখুন, ঢাকা দু'ভাগ কী ওইটা বোঝার আগে আমাদের বুঝতে হবে ভাগ কী জিনিস! আসলে ভাগ এমন একটা জিনিস যে, সেটাকে দু-তিন চার এমনি আরও নানা ভাগে ভাগ করা যায়! আর ভাগ কখনও গাছে ধরে না! ভাগের কোনো প্রাণ নেই! কিন্তু তারপরও ভাগ বড়-ছোট অভয়ই হতে পারে! তো ইয়ে মানে আপনার প্রশ্নটা যেন কী ছিল! আসলে ভাগ নিয়ে গভীর থটে যাওয়ায় আপনার প্রশ্নটা অনেক ভাগে ভাগ হয়ে আমার মনের কোনো এক ভাগে হারিয়ে গেছে!
অর্থনীতিবিদ : দেশের অর্থনীতির বিরাট এক ক্ষতি হইয়া গেল! এখন দু'দিক থেকেই অর্থ লুটপাট হবে! এর ফলে বেশি টাকা কালো বাজারে চলে যাবে। যা দেশের কোনো উপকারে আসবে না! ফলে দেশের অর্থনীতি গোতলান খেয়ে যাবে! এছাড়া মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়বে! মানুষ সেই দুর্ভোগ কাটাতে টাকা বেশি খরচ করবে! এতে ব্যক্তিগত সঞ্চয় কমবে! এর ফলে ব্যাষ্টিক অর্থনীতি চরমভাবে হোঁচট খাবে! আর ব্যাষ্টিক অর্থনীতির এই হাল দেখে আমাদের বিদেশি সাহায্য কমে যাবে! আমরা গরিব হয়ে যাব!
সবজি বিক্রেতা : ঢাকা ভাগ হওয়ায় ভালোই হইছে! এখন আমাদের হাতে অজুহাতের পরিমাণ আরও বাড়ল! ক্রেতাগো কমু ওই ঢাকায় দাম বেশি! তাই এখানেও বেশি! আবার কমু ওই ঢাকা থেকে মাল আনতে হয়! তাই খরচ বেশি পড়ে! তাই সব কিছুর দাম বেশি! তো আমি এই ঢাকা ভাগকে একটা লাভজনক কার্যক্রম বলে দেখছি!
পেটুক : ঢাকা দু'ভাগে ভাগকরণটা মোটেও ঠিক হয় নাই! কারণ এই ভাগ জিনিসটাই খারাপ! যেমন এবার ভাগে কোরবানি দিছিলাম! তো আমার ভাগীদার চামে নিজে সব শিনার গুছ রাইখা আমার ভাগে গরুর পশ্চাৎদেশের গুছ দিছিল! বাপরে! ওই গুছ কী শক্ত! চাবাইতে গিয়া তো আমার সামনের দাঁত দু'ভাগে ভাগ হইয়া গেল! আর আমিও বুঝলাম ভাগ জিনিসটা অতি খারাপ! এই যে ঢাকা ভাগ হইল! দেখবেন সবতে এর দাঁত ভাঙা জবাব পাইব!
রূপ সচেতন তরুণী : ওয়াও! ঢাকা ভাগ হয়ে গেছে নাকি! এবার তাহলে আমি দুই ঢাকায় ঘুরে আমার রূপ সবাইকে দেখাতে পারব! ওফ নো! তার মানে এখন থেকে আমাকে ডবল সাজ দিতে হবে! আগে ছিল একটা ঢাকা আর এখন দুটা ঢাকা! ইস, কখন কী যে করি! কখন সাজব! ওই মিয়া সামনে খাম্বার মতো খাড়ায়া আছেন কেন! কুইক সাইড লন!
পাগল : আমার সামনে থেকে ভাগ কইতেছি! আমার ব্রেন ঠাণ্ডা হইলে তোর খবর আছে! মেয়ে পক্ষ দেখতে এসে আমারে দুই আর দুই ভাগ করলে কত হয় ওইটা জিগাইছিল! আমি পারি নাই! তাই বিয়া ভাইঙা গেছিল! হের পর থাইক্কা আমি পাগল! আর এখন তুই কি-না আমারে ঢাকা দুই ভাগ হইছে এইটা লইয়া মতামত দিতে কস! আইজকা তোর পিঠে আমি এই মুলি বাম্বো ভাইঙ্গা তোরে যদি আমি দুই ভাগ না করছি তো আমার নাম দুই ভাগ পাগলা না!
No comments