আফগান মানবাধিকার পরিস্থিতি পাল্টায়নি-তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় বাধা পাকিস্তান :কারজাই
তালেবান পতনের ১০ বছর পার হলেও আফগানিস্তানের মানবাধিকার পিরিস্থিতি এখনও পাল্টায়নি বলে অভিযোগ করেছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। গতকাল রোববার গ্রুপটি এক রিপোর্টে বলেছে, কাবুল এবং পশ্চিমারা দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নতি করতে ব্যর্থ হয়েছে। জার্মানির বনে আফগান সম্মেলনের একদিন আগে তারা এ রিপোর্ট প্রকাশ করল। এদিকে, তালেবানের সঙ্গে সব ধরনের আলোচনায় বাধা দিচ্ছে পাকিস্তান।
এমন অভিযোগ করেছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই।যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এ মানবাধিকার গ্রুপটি জানায়, মার্কিন আগ্রাসনে তালেবান পতনের পর আফগান সরকার মানবাধিকারে উন্নতি ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছে। আফগান নাগরিকরা এখনও তাদের মৌলিক মানবাধিকার এবং স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত। দেশটির বিচার ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে বলা হয়, সেখানে এখনও সাবেকি বিচার ব্যবস্থা কায়েম রয়েছে যাতে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।
এশিয়ায় গ্রুপটির পরিচালক ব্রাড এডামস বলেন, এখনও আফগান নাগরিকদের বেশিরভাগ মৌলিক চাহিদা পূরণ হয়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি হলেও দুর্বল শাসন ব্যবস্থা, আইন-শৃঙ্খলার অবনতিসহ নানা কারণে নারী অধিকারসহ আফগানদের মৌলিক মানবাধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
বন সম্মেলনের সাফল্য নিয়ে সংশয় : আজ সোমবার থেকে শুরু হওয়া তালেবানের অংশগ্রহণ ছাড়া আফগানিস্তান বিষয়ে জার্মানের বন সম্মেলন সফল হবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তালেবান নেতারা আলোচিত এ সম্মেলনে যোগ দেবেন না। তারা বলেছেন, এ সম্মেলন 'আফগানিস্তানকে আরও দখলদারিত্বের ফাঁদে ফেলবে।' পাকিস্তানও এই সম্মেলন বর্জন করছে। ঐতিহাসিক সম্পর্কের কারণে তালেবানকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসার জন্য ইসলামাবাদকে মূল শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দুই প্রধান পক্ষের অনুপস্থিতি সাধারণ আফগান তথা কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয়ের অগ্রগতির প্রত্যাশাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বিশ্লেষক জাভেদ আহমাদ তার ব্লগে বলেছেন, অনেক আফগান মনে করেন, তালেবানের অনুপস্থিতির অর্থ হলো 'কোনো রাজনৈতিক সমাধানের জন্য নয় বরং সম্মেলন হবে শুধু লোক দেখানো'। তালেবানের সঙ্গে সব ধরনের আলোচনায় বাধা দিচ্ছে পাকিস্তান। এমন অভিযোগ করেছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই।
কারজাই জার্মানির দার স্পাইজেল ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'তারা এখন পর্যন্ত তালেবানের সঙ্গে আলোচনার প্রচেষ্টায় সমর্থন দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। যা দুঃখজনক।' সাক্ষাৎকারটি আজ প্রকাশিত হওয়ার কথা।
আফগানিস্তান থেকে ২০১৪ সালে ন্যাটোর সেনা প্রত্যাহারের পর দেশটির স্বাভাবিক গতিধারা অব্যাহত রাখার উপায় নিয়ে বন বৈঠকে আলোচনা হবে। তবে পাকিস্তানের বৈঠক বর্জনের ঘোষণার ফলে আফগানিস্তানের জন্য একটি রোডম্যাপের যে ক্ষীণ আশা তৈরি হয়েছিল তাও হোঁচট খেল।
আফগান প্রেসিডেন্ট অকপটে স্বীকার করেছেন, 'দুঃখজনক হলেও সত্য, আফগানিস্তানের সব নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার ক্ষমতা আমাদের নেই এটাই আমাদের চরম ব্যর্থতা।'
আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জালমা রসুল ন্যাটোর সেনা প্রত্যাহারের পর তার দেশকে সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
এশিয়ায় গ্রুপটির পরিচালক ব্রাড এডামস বলেন, এখনও আফগান নাগরিকদের বেশিরভাগ মৌলিক চাহিদা পূরণ হয়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি হলেও দুর্বল শাসন ব্যবস্থা, আইন-শৃঙ্খলার অবনতিসহ নানা কারণে নারী অধিকারসহ আফগানদের মৌলিক মানবাধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
বন সম্মেলনের সাফল্য নিয়ে সংশয় : আজ সোমবার থেকে শুরু হওয়া তালেবানের অংশগ্রহণ ছাড়া আফগানিস্তান বিষয়ে জার্মানের বন সম্মেলন সফল হবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তালেবান নেতারা আলোচিত এ সম্মেলনে যোগ দেবেন না। তারা বলেছেন, এ সম্মেলন 'আফগানিস্তানকে আরও দখলদারিত্বের ফাঁদে ফেলবে।' পাকিস্তানও এই সম্মেলন বর্জন করছে। ঐতিহাসিক সম্পর্কের কারণে তালেবানকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসার জন্য ইসলামাবাদকে মূল শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দুই প্রধান পক্ষের অনুপস্থিতি সাধারণ আফগান তথা কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয়ের অগ্রগতির প্রত্যাশাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বিশ্লেষক জাভেদ আহমাদ তার ব্লগে বলেছেন, অনেক আফগান মনে করেন, তালেবানের অনুপস্থিতির অর্থ হলো 'কোনো রাজনৈতিক সমাধানের জন্য নয় বরং সম্মেলন হবে শুধু লোক দেখানো'। তালেবানের সঙ্গে সব ধরনের আলোচনায় বাধা দিচ্ছে পাকিস্তান। এমন অভিযোগ করেছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই।
কারজাই জার্মানির দার স্পাইজেল ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'তারা এখন পর্যন্ত তালেবানের সঙ্গে আলোচনার প্রচেষ্টায় সমর্থন দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। যা দুঃখজনক।' সাক্ষাৎকারটি আজ প্রকাশিত হওয়ার কথা।
আফগানিস্তান থেকে ২০১৪ সালে ন্যাটোর সেনা প্রত্যাহারের পর দেশটির স্বাভাবিক গতিধারা অব্যাহত রাখার উপায় নিয়ে বন বৈঠকে আলোচনা হবে। তবে পাকিস্তানের বৈঠক বর্জনের ঘোষণার ফলে আফগানিস্তানের জন্য একটি রোডম্যাপের যে ক্ষীণ আশা তৈরি হয়েছিল তাও হোঁচট খেল।
আফগান প্রেসিডেন্ট অকপটে স্বীকার করেছেন, 'দুঃখজনক হলেও সত্য, আফগানিস্তানের সব নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার ক্ষমতা আমাদের নেই এটাই আমাদের চরম ব্যর্থতা।'
আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জালমা রসুল ন্যাটোর সেনা প্রত্যাহারের পর তার দেশকে সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
No comments