মালয়েশিয়া ও আবুধাবি দূতাবাসকে সতর্কতা by পিনাকি দাসগুপ্ত ও সাহাদাত হোসেন পরশ

রসিংদী পৌর মেয়র লোকমান হোসেন হত্যা মামলার আসামি বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা মোবারক হোসেন মোবা, বিএনপি নেতা তারেক ও নুরুল ইসলামের ব্যাপারে বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসকে সতর্ক করা হয়েছে। পলাতক তিন আসামি যেন অন্য কোনো দেশে পালিয়ে যেতে না পারে, সে জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোকে সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পলাতক আসামিদের ছবিসহ বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করা হয় দূতাবাসকে।


তিন আসামি যেন বেনামে ভিসা নিয়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে, সে ব্যাপারেও দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে। মোবা ও নুরুল ইসলাম বর্তমানে মালয়েশিয়া এবং তারেক আহমেদ আবুধাবিতে অবস্থান করছেন। তাদের গ্রেফতারে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ
পুলিশ।
লোকমান হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি মাহফুজুর হোসেন ওরফে সবুজকে গতকাল রোববার তৃতীয়বারের মতো একদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে রিমান্ড শেষে নাসিরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে গতকাল পর্যন্ত মামলার কোনো এজাহারভুক্ত আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। বর্তমানে লোকমান হত্যা মামলায় সবুজ ও আওয়ামী লীগ নেতা মামলার পলাতক আসামি মোবারক হোসেন মোবার ভগি্নপতি কাজী আলমকে পুলিশ রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি আছাদুজ্জামান মিয়া সমকালকে জানান, মোবারক হোসেন মোবাসহ বিদেশে পালিয়ে থাকা আসামিদের গ্রেফতারে ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে আসামিরা যেন অন্য কোনো দেশে পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে তাদের ছবিসহ বিস্তারিত সরবরাহ করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত সূত্র জানায়, লোকমান হত্যার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে হত্যা পর্যন্ত মোবারক হোসেন মোবা বড় ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি বিএনপি নেতা তারেক আহমদ ও নুরুল ইসলাম তাকে সহায়তা দিয়েছেন। যুবলীগ নেতা আশরাফসহ যে চারজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন তাতে হত্যার বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। কী কারণে লোকমানকে হত্যা করা হয়েছে, কারা কারা এর সঙ্গে জড়িত_ সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। মোবা, তারেক ও নুরুল ইসলামসহ পলাতক আসামিদের পাওয়া গেলে নেপথ্য গডফাদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।
সূত্র জানায়, পলাতক আসামিদের মধ্যে অন্তত তিনজনকে গ্রেফতার করা গেলেই পুলিশ মামলার চার্জশিটের কাজ শুরু করতে পারবে।
নরসিংদী পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, শিগগিরই হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত বাকি আসামিরা ধরা পড়বে। তদন্ত কাজ যথাযথভাবে এগোচ্ছে। এ মামলায় অহেতুক কেউ হয়রানি হবে না বলে আবারও পুনর্ব্যক্ত করে তিনি।

No comments

Powered by Blogger.