সিলেটসহ ১৬ জেলায় একযোগে আন্দোলন-টিপাইমুখ ইস্যু by চয়ন চৌধুরী,
টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগের প্রতিবাদে বিজয়ের মাসে সিলেটসহ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১৬ জেলায় প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে উঠছে। বিএনপি-জাপাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি মাসব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে 'টিপাইমুখ বাঁধ প্রতিরোধ আন্দোলন'। এ অঞ্চলের প্রগতিশীল দল ও ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনটি ১৯৯৩ সাল থেকে টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে।
গতকাল রোববার নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতারা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আগামী ১২ ডিসেম্বর সুরমা-কুশিয়ারা
ও মেঘনা অববাহিকার সব জেলা-উপজেলার নদীতীরবর্তী স্থানে একই সঙ্গে মানববন্ধন এবং ১৩ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ও সংগঠনের সঙ্গে গণসংযোগ-মতবিনিময়।
ধারাবাহিক ওই কর্মসূচি শেষে ১ জানুয়ারি সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংহতি দিবসে সুরমা-সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গণসমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। ওই গণসমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা। সিলেট বিভাগের উপজেলা চেয়ারম্যানরাও এবার টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন। ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগের পর ১৩ ডিসেম্বর নগরীর ঐতিহ্যবাহী কোর্ট পয়েন্টে মানববন্ধন করবেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা।
'টিপাইমুখ বাঁধ প্রতিরোধ সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ' নামের ডানপন্থি শিক্ষক, চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর সংগঠনের পক্ষ থেকে গতকাল দুই মাসব্যাপী পৃথক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও জাতিসংঘ, সার্ক, ইইউ, কমনওয়েলথ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও অর্থনৈতিক দাতা সংস্থা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান। পাশাপাশি দেশ-বিদেশে ব্যাপক গণসংযোগ, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, টিপাইমুখ বাঁধ এবং এর সম্ভাব্য পরিবেশ বিপর্যয়ের ওপর তথ্যসমৃদ্ধ বাংলা এবং ইংরেজি ভাষায় বুকলেট ছাপানো ও বিতরণ করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
এর আগে সিলেট বিএনপির পক্ষ থেকে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১০ ডিসেম্বর রোডমার্চ করে সুরমা-কুশিয়ারার উৎসস্থল জকিগঞ্জের অমলসীদে আসছেন। খেলাফত মসলিশ লংমার্চ করবে ৮ ডিসেম্বর।
টিপাইমুখ বাঁধ প্রতিরোধ আন্দোলন
গতকাল সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলনের ঘোষণাপত্র উপস্থাপনকালে 'টিপাইমুখ বাঁধ প্রতিরোধ আন্দোলন' সিলেটের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট বেদানন্দ ভট্টাচার্য বলেন, টিপাইমুখ বাংলাদেশের জাতীয় সমস্যা। এখানে দ্বিধাদ্বন্দ্ব, নির্বাচনী পাটিগণিত কোনো বিষয় নয়। প্রয়োজন দল-মত নির্বিশেষে সব মানুষের সমন্বিত উদ্যোগ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন প্রতিরোধ আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইইউ শহিদুল ইসলাম শাহীন। আরও উপস্থিত ছিলেন জাসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক লোকমান আহমদ, জেলা জাসদ সভাপতি কলন্দর আলী, গণতন্ত্রী পার্টির জেলা সভাপতি ব্যারিস্টার আরশ আলী, সুজনের আহ্বায়ক ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, সাম্যবাদী দলের জেলা সভাপতি ধীরেন সিংহ, সিকান্দর আলী প্রমুখ।
টিপাইমুখ ইস্যুতে সোচ্চার উপজেলা চেয়ারম্যানরা
গত শনিবার রাতে নগরীর সুবিদবাজারে ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান চৌধুরীর বাসায় বিভাগের বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের উপস্থিতিতে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা লোকমান আহমদ, কানাইঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান চৌধুরী, গোয়াইনঘাট চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম চৌধুরী, ফেঞ্চুগঞ্জ চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ আল হোসাইন, দিরাই চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস, তাহিরপুর চেয়ারম্যান আনিসুল হক, জৈন্তাপুর চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, সিলেট সদর ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম প্রমুখ।
সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ
গতকাল নগরীর একটি হোটেলে দুই মাসব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি-জামায়াত ঘরানার সংগঠন টিপাইমুখ বাঁধ প্রতিরোধ সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ। পরিষদের পক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেন আহ্বায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জুবায়ের সিদ্দিকী। সদস্য সচিব অধ্যক্ষ ইউসুফ জুলকারনাইন জায়গিরদারের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাষাসংগ্রামী অধ্যক্ষ মাসউদ খান, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ সিলেটের সভাপতি হারুনুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট পৌর সভার সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আ ফ ম কামাল প্রমুখ।
ও মেঘনা অববাহিকার সব জেলা-উপজেলার নদীতীরবর্তী স্থানে একই সঙ্গে মানববন্ধন এবং ১৩ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ও সংগঠনের সঙ্গে গণসংযোগ-মতবিনিময়।
ধারাবাহিক ওই কর্মসূচি শেষে ১ জানুয়ারি সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংহতি দিবসে সুরমা-সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গণসমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। ওই গণসমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা। সিলেট বিভাগের উপজেলা চেয়ারম্যানরাও এবার টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন। ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগের পর ১৩ ডিসেম্বর নগরীর ঐতিহ্যবাহী কোর্ট পয়েন্টে মানববন্ধন করবেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা।
'টিপাইমুখ বাঁধ প্রতিরোধ সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ' নামের ডানপন্থি শিক্ষক, চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর সংগঠনের পক্ষ থেকে গতকাল দুই মাসব্যাপী পৃথক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও জাতিসংঘ, সার্ক, ইইউ, কমনওয়েলথ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও অর্থনৈতিক দাতা সংস্থা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান। পাশাপাশি দেশ-বিদেশে ব্যাপক গণসংযোগ, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, টিপাইমুখ বাঁধ এবং এর সম্ভাব্য পরিবেশ বিপর্যয়ের ওপর তথ্যসমৃদ্ধ বাংলা এবং ইংরেজি ভাষায় বুকলেট ছাপানো ও বিতরণ করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
এর আগে সিলেট বিএনপির পক্ষ থেকে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১০ ডিসেম্বর রোডমার্চ করে সুরমা-কুশিয়ারার উৎসস্থল জকিগঞ্জের অমলসীদে আসছেন। খেলাফত মসলিশ লংমার্চ করবে ৮ ডিসেম্বর।
টিপাইমুখ বাঁধ প্রতিরোধ আন্দোলন
গতকাল সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলনের ঘোষণাপত্র উপস্থাপনকালে 'টিপাইমুখ বাঁধ প্রতিরোধ আন্দোলন' সিলেটের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট বেদানন্দ ভট্টাচার্য বলেন, টিপাইমুখ বাংলাদেশের জাতীয় সমস্যা। এখানে দ্বিধাদ্বন্দ্ব, নির্বাচনী পাটিগণিত কোনো বিষয় নয়। প্রয়োজন দল-মত নির্বিশেষে সব মানুষের সমন্বিত উদ্যোগ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন প্রতিরোধ আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইইউ শহিদুল ইসলাম শাহীন। আরও উপস্থিত ছিলেন জাসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক লোকমান আহমদ, জেলা জাসদ সভাপতি কলন্দর আলী, গণতন্ত্রী পার্টির জেলা সভাপতি ব্যারিস্টার আরশ আলী, সুজনের আহ্বায়ক ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, সাম্যবাদী দলের জেলা সভাপতি ধীরেন সিংহ, সিকান্দর আলী প্রমুখ।
টিপাইমুখ ইস্যুতে সোচ্চার উপজেলা চেয়ারম্যানরা
গত শনিবার রাতে নগরীর সুবিদবাজারে ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান চৌধুরীর বাসায় বিভাগের বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের উপস্থিতিতে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা লোকমান আহমদ, কানাইঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান চৌধুরী, গোয়াইনঘাট চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম চৌধুরী, ফেঞ্চুগঞ্জ চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ আল হোসাইন, দিরাই চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস, তাহিরপুর চেয়ারম্যান আনিসুল হক, জৈন্তাপুর চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, সিলেট সদর ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম প্রমুখ।
সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ
গতকাল নগরীর একটি হোটেলে দুই মাসব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি-জামায়াত ঘরানার সংগঠন টিপাইমুখ বাঁধ প্রতিরোধ সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ। পরিষদের পক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেন আহ্বায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জুবায়ের সিদ্দিকী। সদস্য সচিব অধ্যক্ষ ইউসুফ জুলকারনাইন জায়গিরদারের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাষাসংগ্রামী অধ্যক্ষ মাসউদ খান, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ সিলেটের সভাপতি হারুনুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট পৌর সভার সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আ ফ ম কামাল প্রমুখ।
No comments