দুই প্রজাতির কাঁকড়া রপ্তানি নিষিদ্ধ by শিমুল নজরুল,
কাঁকড়া রপ্তানির ওপর বিধি আরোপ করেছে সরকার। বিশেষ করে দুই ধরনের কাঁকড়া রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কাঁকড়াগুলো হলো_সামুদ্রিক সাঁতারু কাঁকড়া ও তিন দাগবিশিষ্ট সাঁতারু কাঁকড়া। সম্প্রতি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়েছে, 'বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনের শিডিউল-২'-এর অন্তর্ভুর্ক্ত হওয়ায় এই দুই জাতের কাঁকড়া পরিবহন এবং রপ্তানি করার কোনো সুযোগ নেই।বন্য প্রাণী উপদেষ্টা বোর্ডের ২৩তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কাঁকড়া রপ্তানির ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোমেনা বেগম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
রপ্তানিকারকরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করেন, কোনো কোনো জাতের কাঁকড়া বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনের শিডিউল-২-এর অন্তর্ভুক্ত তা না জেনে বিভিন্ন বিমানবন্দরে কাস্টমস কর্মকর্তারা রপ্তানিকারকদের হয়রানি করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে কাঁকড়া রপ্তানির সময় বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়।
রপ্তানিকারকরা আরো জানান, বাংলাদেশ থেকে ১৯৯৫ সালে হংকংয়ে কাঁকড়া রপ্তানি শুরু হয়। বর্তমানে শুধু মালয়েশিয়ায় প্রতিবছর ৮০০ থেকে এক হাজার টন কাঁকড়া রপ্তানি হয়। মালয়েশিয়া ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, জাপান, হংকং, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বাজারে বাংলাদেশের কাঁকড়া রপ্তানি হচ্ছে। এক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ থেকে কাঁকড়া রপ্তানির পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল দুই হাজার ৮১৪ টন। আর গত ২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে কাঁকড়া রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় চার হাজার ২৮৭ টন।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর হিসাব মতে, ২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ৫১ কোটি ৭৪ লাখ টাকার কাঁকড়া রপ্তানি হয়েছে। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০০৯-১০ অর্থবছর কাঁকড়া রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৩৩ কোটি টাকার।
কাঁকড়া নিয়ে দীর্ঘ দুই যুগ ধরে গবেষণা করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাফর। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আশির দশকে বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ সামুদ্রিক সাঁতারু কাঁকড়া ও তিন দাগবিশিষ্ট সাঁতারু কাঁকড়া বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে। এখন নীল কাঁকড়া বেশি রপ্তানি হয়। সামুদ্রিক সাঁতারু কাঁকড়া ও তিন দাগবিশিষ্ট সাঁতারু কাঁকড়াগুলো বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর তালিকায় উঠে আসায় এগুলোর রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।'
রপ্তানিকারকরা আরো জানান, বাংলাদেশ থেকে ১৯৯৫ সালে হংকংয়ে কাঁকড়া রপ্তানি শুরু হয়। বর্তমানে শুধু মালয়েশিয়ায় প্রতিবছর ৮০০ থেকে এক হাজার টন কাঁকড়া রপ্তানি হয়। মালয়েশিয়া ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, জাপান, হংকং, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বাজারে বাংলাদেশের কাঁকড়া রপ্তানি হচ্ছে। এক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ থেকে কাঁকড়া রপ্তানির পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল দুই হাজার ৮১৪ টন। আর গত ২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে কাঁকড়া রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় চার হাজার ২৮৭ টন।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর হিসাব মতে, ২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ৫১ কোটি ৭৪ লাখ টাকার কাঁকড়া রপ্তানি হয়েছে। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০০৯-১০ অর্থবছর কাঁকড়া রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৩৩ কোটি টাকার।
কাঁকড়া নিয়ে দীর্ঘ দুই যুগ ধরে গবেষণা করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাফর। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আশির দশকে বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ সামুদ্রিক সাঁতারু কাঁকড়া ও তিন দাগবিশিষ্ট সাঁতারু কাঁকড়া বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে। এখন নীল কাঁকড়া বেশি রপ্তানি হয়। সামুদ্রিক সাঁতারু কাঁকড়া ও তিন দাগবিশিষ্ট সাঁতারু কাঁকড়াগুলো বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর তালিকায় উঠে আসায় এগুলোর রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।'
No comments