মিথ্যা, ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করলে মামলার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সংবাদ পরিবেশন করলে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা এই নির্দেশনা দিয়েছেন বলে বৈঠক সূত্র নিশ্চিত করেছে।মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে মিডিয়ায় রিপোর্ট করা হচ্ছে বলে বৈঠকে মন্ত্রীদের কয়েকজন অভিযোগ তোলেন। নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়াসহ কয়েকজন বিভিন্ন অভিযোগ তুলে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়ে বলেন, 'মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট হলে আপনারা মামলা করে দেবেন।'
সূত্র জানায়, গতকালের বৈঠকে মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, 'মিডিয়ায় এসেছে, আমি নাকি ১৪ বার বিদেশ সফর করেছি। আসলে আমি বিদেশে গেছি মাত্র ছয়বার।' তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ব্যাপারটা নিয়ে তদন্ত করার দাবি জানিয়ে বলেন, 'মিডিয়ার তথ্য ঠিক হলে যে শাস্তি হয়, আমি মাথা পেতে নেব।' বৈঠকে শাজাহান খান বলেন, মিথ্যা রিপোর্টের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করে যাচ্ছেন এবং ভবিষ্যতেও এ লড়াই অব্যাহত থাকবে।
বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান মিয়া বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে রিপোর্ট হয়েছে, ঢাকায় আমার তিনটি ফ্ল্যাট আছে। আসলে ঢাকায় আমার কোনো ফ্ল্যাট নেই।' তিনিও বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে তদন্ত করার অনুরোধ জানান।
বৈঠক সূত্র জানায়, এ সময় স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, 'কোথাও বৈঠক করলে সেখানে কী কথা হয়, কতজন উপস্থিত থাকেন, এর সবই সাংবাদিকরা জেনে যান।'
সূত্র জানায়, মন্ত্রিসভার বৈঠকে পদ্মা সেতুর প্রসঙ্গও উত্থাপন করা হয়। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড আটকে দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তবে এসব ষড়যন্ত্র বন্ধে এগুলো নিয়ে তদন্ত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন স্থগিত করা সম্পর্কর্িত রিপোর্ট প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত পদ্মা সেতুর শুধু পরামর্শক নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি বিশ্বব্যাংককে তাদের অভিযোগ সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরার জন্য অথবা তাদের এ দুর্নীতির ব্যাপারে তদন্ত করার অনুরোধ জানান।
সূত্র জানায়, বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাংক যদি স্পষ্ট করে অভিযোগ তুলত কোন সেক্টরে দুর্নীতি হয়েছে তবে সরকার তা তদন্ত করত। বিশ্বব্যাংক নিজে তদন্ত করলে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সরকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে বলেও ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
এ ছাড়াও গতকালের বৈঠকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দ্রুত মোকাবিলায় সার্ক সদস্যভুক্ত দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা গ্রহণের লক্ষ্যে সার্ক চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোর অবস্থান প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় হওয়ায় বাংলাদেশসহ অন্যান্য সদস্য দেশ প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে সার্কভুক্ত এক দেশ যেন অন্য দেশকে সহযোগিতা করতে পারে সে জন্য 'প্রাকৃতিক দুর্যোগ দ্রুত মোকাবিলায় সার্ক চুক্তি' স্বাক্ষর করা জরুরি হওয়ায় মন্ত্রিসভা এ প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে বলে জানান প্রেসসচিব।
এ ছাড়া মন্ত্রিসভা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০০৩-এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন প্রণীত হওয়ার পর কমিশনের কর্মকাণ্ডে সমস্যা দেখা দেওয়ায় ২০০৫ ও ২০১০ সালে দুই বার আইনটি সংশোধন করা হয়।
বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান মিয়া বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে রিপোর্ট হয়েছে, ঢাকায় আমার তিনটি ফ্ল্যাট আছে। আসলে ঢাকায় আমার কোনো ফ্ল্যাট নেই।' তিনিও বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে তদন্ত করার অনুরোধ জানান।
বৈঠক সূত্র জানায়, এ সময় স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, 'কোথাও বৈঠক করলে সেখানে কী কথা হয়, কতজন উপস্থিত থাকেন, এর সবই সাংবাদিকরা জেনে যান।'
সূত্র জানায়, মন্ত্রিসভার বৈঠকে পদ্মা সেতুর প্রসঙ্গও উত্থাপন করা হয়। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড আটকে দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তবে এসব ষড়যন্ত্র বন্ধে এগুলো নিয়ে তদন্ত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন স্থগিত করা সম্পর্কর্িত রিপোর্ট প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত পদ্মা সেতুর শুধু পরামর্শক নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি বিশ্বব্যাংককে তাদের অভিযোগ সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরার জন্য অথবা তাদের এ দুর্নীতির ব্যাপারে তদন্ত করার অনুরোধ জানান।
সূত্র জানায়, বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাংক যদি স্পষ্ট করে অভিযোগ তুলত কোন সেক্টরে দুর্নীতি হয়েছে তবে সরকার তা তদন্ত করত। বিশ্বব্যাংক নিজে তদন্ত করলে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সরকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে বলেও ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
এ ছাড়াও গতকালের বৈঠকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দ্রুত মোকাবিলায় সার্ক সদস্যভুক্ত দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা গ্রহণের লক্ষ্যে সার্ক চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোর অবস্থান প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় হওয়ায় বাংলাদেশসহ অন্যান্য সদস্য দেশ প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে সার্কভুক্ত এক দেশ যেন অন্য দেশকে সহযোগিতা করতে পারে সে জন্য 'প্রাকৃতিক দুর্যোগ দ্রুত মোকাবিলায় সার্ক চুক্তি' স্বাক্ষর করা জরুরি হওয়ায় মন্ত্রিসভা এ প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে বলে জানান প্রেসসচিব।
এ ছাড়া মন্ত্রিসভা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০০৩-এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন প্রণীত হওয়ার পর কমিশনের কর্মকাণ্ডে সমস্যা দেখা দেওয়ায় ২০০৫ ও ২০১০ সালে দুই বার আইনটি সংশোধন করা হয়।
No comments