তিন মাসে পুঁজিবাজারে রাজস্ব আদায় কমেছে প্রায় ১২ কোটি টাকা
চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই_সেপ্টেম্বর) পুঁজিবাজার থেকে অর্জিত রাজস্বের পরিমাণ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১২ কোটি টাকা কমেছে। পুঁজিবাজারে চরম মন্দা পরিস্থিতির মধ্যে চলতি বছরে শেয়ার লেনদেনের ওপর আদায় করা উৎসে করের হার বাড়ানোয় রাজস্ব কমে গেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র দাবি করেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-আগস্ট) ডিএসইর সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোয় শেয়ার লেনদেনের কমিশনের ওপর ৯১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। আগের বছর একই সময় এ খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ১০২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-আগস্ট) ডিএসইর সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোয় শেয়ার লেনদেনের কমিশনের ওপর ৯১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। আগের বছর একই সময় এ খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ১০২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
ফলে প্রথম তিন মাসেই এ খাত থেকে আদায় করা রাজস্ব কমেছে ১১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। চলতি (২০১১-১২) অর্থবছরের বাজেটে উৎসে করের হার ০.০৫ থেকে বাড়িয়ে ০.১০ শতাংশ করা হয়েছে। করের হার দ্বিগুণ করার পরও শেয়ারবাজারে লেনদেনের পরিমাণ ব্যাপক মাত্রায় কমে যাওয়ায় এ খাত থেকে অর্জিত রাজস্বের পরিমাণ ব্যাপক কমে গেছে।
২০০৯-১০ অর্থবছরে স্টক এঙ্চেঞ্জের ব্রোকারেজ কমিশনের পর উৎসে করের হার ছিল ০.০২৫ শতাংশ। ২০১০-১১ অর্থবছরে এই হার বাড়িয়ে ০.০৫ শতাংশ করা হয়। তিন বছরের মধ্যে এই করের হার ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধির ফলে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। গত ডিসেম্বর থেকে পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক মন্দা চলছে। ডিএসই থেকে পাওেয়া হিসাবে দেখা গেছে, স্টক এঙ্চেঞ্জে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ তিন হাজার কোটি টাকা থেকে কমতে কমতে ৩০০ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে। আর্থিক লেনদেন ব্যাপক হারে কমে যাওয়ায় এ খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ের পরিমাণও কমেছে।
২০০৯ ও ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ব্যাপক চাঙ্গা পরিস্থিতি বিরাজ করায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ খাত থেকে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি করে। ওই সময় ডিএসইর লেনদেন প্রায় তিন গুণ হওয়ার পাশাপাশি করের হার বৃদ্ধির কারণে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে শেয়ারবাজারে চরম মন্দা তৈরি হওয়ার পরও চলতি অর্থবছরের বাজেটে এ খাত থেকে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় আড়াই গুণ নির্ধারণ করেছে এনবিআর। এ জন্য একদিকে উৎসে করের হার বাড়ানো হয়েছে, অন্যদিকে লেনদেনের পরিমাণও বাড়বে বলে ধরা হয়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, অন্যান্য কারণের পাশাপাশি উৎসে কর হার বৃদ্ধিও শেয়ারবাজারে আর্থিক লেনদেন কমানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। চলতি অর্থবছরে যে হারে কর আরোপ করা হয়েছে, তাতে এক লাখ টাকার লেনদেন করলে বিনিয়োগকারীদের ১০০ টাকা কর দিতে হয়। লেনদেনের সময়ই এই হারে ব্যয় করে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের জন্য পুঁজিবাজার থেকে মুনাফা অর্জন করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
এ কারণে অনেকেই লেনদেনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। ডিএসই সভাপতি শাকিল রিজভী এ প্রসঙ্গে কালের কণ্ঠকে বলেন, ব্রোকারেজ কমিশনের পর উৎসে করের হার দ্বিগুণ করে দেওয়ায় ব্যবসায়িক ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব অনেক বেশি পড়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বর্ধিত কর হার প্রত্যাহার করা জরুরি। লেনদেন বাড়লে সেখান থেকে যে রাজস্ব আসবে, তা বর্ধিত করের তুলনায় বেশি হবে।
২০০৯-১০ অর্থবছরে স্টক এঙ্চেঞ্জের ব্রোকারেজ কমিশনের পর উৎসে করের হার ছিল ০.০২৫ শতাংশ। ২০১০-১১ অর্থবছরে এই হার বাড়িয়ে ০.০৫ শতাংশ করা হয়। তিন বছরের মধ্যে এই করের হার ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধির ফলে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। গত ডিসেম্বর থেকে পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক মন্দা চলছে। ডিএসই থেকে পাওেয়া হিসাবে দেখা গেছে, স্টক এঙ্চেঞ্জে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ তিন হাজার কোটি টাকা থেকে কমতে কমতে ৩০০ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে। আর্থিক লেনদেন ব্যাপক হারে কমে যাওয়ায় এ খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ের পরিমাণও কমেছে।
২০০৯ ও ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ব্যাপক চাঙ্গা পরিস্থিতি বিরাজ করায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ খাত থেকে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি করে। ওই সময় ডিএসইর লেনদেন প্রায় তিন গুণ হওয়ার পাশাপাশি করের হার বৃদ্ধির কারণে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে শেয়ারবাজারে চরম মন্দা তৈরি হওয়ার পরও চলতি অর্থবছরের বাজেটে এ খাত থেকে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় আড়াই গুণ নির্ধারণ করেছে এনবিআর। এ জন্য একদিকে উৎসে করের হার বাড়ানো হয়েছে, অন্যদিকে লেনদেনের পরিমাণও বাড়বে বলে ধরা হয়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, অন্যান্য কারণের পাশাপাশি উৎসে কর হার বৃদ্ধিও শেয়ারবাজারে আর্থিক লেনদেন কমানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। চলতি অর্থবছরে যে হারে কর আরোপ করা হয়েছে, তাতে এক লাখ টাকার লেনদেন করলে বিনিয়োগকারীদের ১০০ টাকা কর দিতে হয়। লেনদেনের সময়ই এই হারে ব্যয় করে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের জন্য পুঁজিবাজার থেকে মুনাফা অর্জন করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
এ কারণে অনেকেই লেনদেনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। ডিএসই সভাপতি শাকিল রিজভী এ প্রসঙ্গে কালের কণ্ঠকে বলেন, ব্রোকারেজ কমিশনের পর উৎসে করের হার দ্বিগুণ করে দেওয়ায় ব্যবসায়িক ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব অনেক বেশি পড়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বর্ধিত কর হার প্রত্যাহার করা জরুরি। লেনদেন বাড়লে সেখান থেকে যে রাজস্ব আসবে, তা বর্ধিত করের তুলনায় বেশি হবে।
No comments