আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন থাকবে পাঁচ হাজার কর্মী

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর পাঁচ হাজার সদস্য মোতায়েন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। র‌্যাব, পুলিশ, আনসার ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর এসব সদস্য নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন। বিজিবি এ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করছে না। তবে প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে কাজে লাগানো হতে পারে। গতকাল সোমবার নাসিক নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন এ তথ্য জানান। সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ড. এ টি এম শামসুল হুদা।


বৈঠকে অংশ নেন নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন ও এম সাখাওয়াত হোসেন, নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক, পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এসবি) জাভেদ পাটোয়ারী, র‌্যাবের মহাপরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (ঢাকা রেঞ্জ) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, সহকারী মহাপরিচালক মাহফুজুর রহমান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, আনসারের উপপরিচালক এ কে এম মিজানুর রহমান, বিজিবির উপপরিচালক লে. কর্নেল আবু বক্কর সিদ্দিকী, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারসহ অন্য কর্মকর্তারা।
এম সাখাওয়াত হোসেন বৈঠকের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বলেন, বিজিবি নিয়মিত কাজে ব্যস্ত থাকায় এ নির্বাচনে তাদের নিয়োগ করা যাচ্ছে না। এ জন্য নির্বাচনে র‌্যাবের সংখ্যা বাড়িয়ে ৬০০ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অতিরিক্ত চার হাজার সদস্য নির্বাচনের আগে ও পরে মোট পাঁচ দিন মোতায়েন থাকবে। তাঁদের সঙ্গে জেলা পুলিশের এক হাজারের বেশি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। সিটির প্রতিটি ওয়ার্ডেই একটি করে ভিডিও ক্যামেরা চালু রাখা হবে। আর প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে থাকবে ২৪ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য। এ ছাড়া নির্বাচনের দিন পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় ২৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। ইসি পরিস্থিতি বুঝে যেকোনো ধরনের ব্যবস্থা নেবে।
৫৮ ভোটকেন্দ্রে ইভিএম : এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, মোট ৯টি ওয়ার্ডে ইভিএমের ( ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। ওয়ার্ডগুলো হচ্ছে ৭, ৮, ৯, ১৬, ১৭, ১৮, ২২, ২৩ ও ২৪। এই ৯টি ওয়ার্ডের ৫৮টি ভোটকেন্দ্রের ৪৫০টি বুথে (ভোট কক্ষে) ভোটগ্রহণ করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোর মোট এক লাখ ৪৮ হাজার ৬২৯ ভোটার ইভিএমে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবে। এর মধ্যে পুরুষ ৭৩ হাজার ৭২২ জন এবং মহিলা ৭৪ হাজার ৯০৭ জন। সিটির বাকি ১৮টি ওয়ার্ডে প্রচলিত ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করা হবে।
ঢাকার বিভাগীয় উপনির্বাচন কমিশনার বিশ্বাস লুৎফর রহমান এ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া ৯ জন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ অক্টোবর ভোটগ্রহণ হবে।
নাসিম ওসমানকে আবারও সতর্ক করা হলো : এদিকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠায় নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য এ কে এম নাসিম ওসমানকে আবারও সতর্ক করা হয়েছে। এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, 'আমরা রিটার্নিং অফিসারকে বলেছি, তাঁকে সতর্ক করে দিতে।'

No comments

Powered by Blogger.