দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর খবর দেওয়া সাংবাদিক শতবর্ষে পা দিলেন
ব্রিটিশ সাংবাদিক ক্লেয়ার হলিংওয়ার্থ গতকাল সোমবার শততম বছরে পা দিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার খবরটি তিনিই প্রথম প্রকাশ করেন। বর্তমানে হংকংয়ে বসবাস করছেন তিনি।শতবর্ষী এ নারীকে শুভেচ্ছা জানাতে গতকাল হংকংয়ের বিদেশি প্রতিনিধিদের ক্লাবে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ১৯৮১ সালে হংকংয়ে যাওয়ার পর থেকেই হলিংওয়ার্থ এ ক্লাবে নিয়মিত আসা-যাওয়া করেন। ১০০ বছরে পা দেওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে দুর্বল শরীরে তিনি বলেন, 'খুবই ভালো লাগছে। তবে কোনো হৈচৈ করতে চাই না আমি।
'ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ হলিংওয়ার্থকে তাঁর 'অসাধারণ ক্যারিয়ারের জন্য' শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, তিনি ব্রিটেনের অন্যতম নেতৃস্থানীয় কূটনৈতিক ও যুদ্ধবিষয়ক প্রতিনিধি।
এ প্রবীণ সাংবাদিক ভিয়েতনাম, আলজেরিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ভারত ও পাকিস্তানের লড়াই প্রত্যক্ষ করেছেন। তবে ১৯৩৯ সালে শুরু হওয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের খবরের জন্যই তিনি অধিক পরিচিত। ওই সময় তিনি একেবারে শিক্ষানবিশ প্রতিবেদক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনিই প্রথম পোল্যান্ডে জার্মানির আক্রমণের বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেন। পোল্যান্ডে কাজ শুরুর প্রথম সপ্তাহেই সংবাদটি তৈরি করেন তিনি। পরে তাঁকে ইউরোপের ক্রম-অবনতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর সংবাদ পরিবেশনের দায়িত্ব দেয় প্রভাবশালী ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ। তাঁকে পোল্যান্ডের ব্রিটিশ দূতাবাসে ডেকে পাঠিয়েও খবরের সত্যতা যাচাই করা হয়।
২০০৯ সালে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রথম খবর প্রকাশকারী হিসেবে তিনি এখনো গর্ববোধ করেন। সূত্র : এএফপি।
এ প্রবীণ সাংবাদিক ভিয়েতনাম, আলজেরিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ভারত ও পাকিস্তানের লড়াই প্রত্যক্ষ করেছেন। তবে ১৯৩৯ সালে শুরু হওয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের খবরের জন্যই তিনি অধিক পরিচিত। ওই সময় তিনি একেবারে শিক্ষানবিশ প্রতিবেদক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনিই প্রথম পোল্যান্ডে জার্মানির আক্রমণের বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেন। পোল্যান্ডে কাজ শুরুর প্রথম সপ্তাহেই সংবাদটি তৈরি করেন তিনি। পরে তাঁকে ইউরোপের ক্রম-অবনতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর সংবাদ পরিবেশনের দায়িত্ব দেয় প্রভাবশালী ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ। তাঁকে পোল্যান্ডের ব্রিটিশ দূতাবাসে ডেকে পাঠিয়েও খবরের সত্যতা যাচাই করা হয়।
২০০৯ সালে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রথম খবর প্রকাশকারী হিসেবে তিনি এখনো গর্ববোধ করেন। সূত্র : এএফপি।
No comments