এডিসন ভিঞ্চি গ্রাহামের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে জবসকে
মৃত্যুর পর স্টিভ জবসকে তুলনা করা হচ্ছে টমাস এডিসন, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি, আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল কিংবা হেনরি ফোর্ডের সঙ্গে; যারা নিজেদের উদ্ভাবন দিয়ে বদলে দিয়েছিলেন প্রযুক্তির মানচিত্র, যারা নিজেদের বুদ্ধিদীপ্ততায় উদ্দীপ্ত করেছিলেন আপামর জনসাধারণকে, যাদের উদ্ভাবনী কর্ম বদলে দিয়েছিল মানুষের দৈনন্দিন জীবনাচার। স্টিভ জবস ছিলেন তেমনই এক ব্যক্তি, যিনি নিজের চিন্তায় আর কর্মে তৈরি করেছিলেন প্রযুক্তি জগতে কিছু মাইলস্টোন। যে মাইলস্টোন আধুনিক মানুষকে দিয়েছে সহজিয়া পথের সন্ধান।
বৃহস্পতিবার জবস পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন। সত্তর দশকের শুরু থেকে অচিন্তনীয় কম্পিউটার প্রযুক্তিকে নিয়ে কাজ শুরু করে তিনি আইপ্যাডে এসে শেষ করেছিলেন। বেঁচে থাকলে বাকি সময়টা আর কত কী করতেন, সেটা তর্কসাপেক্ষ হলেও এই স্টিভ জবসকেই মানুষ ইতোমধ্যেই বসিয়ে দিয়েছে আধুনিক বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় প্রবাদপুরুষের আসনে।
অ্যাপল কম্পিউটার, ম্যাকিন্টোশ, আইপড, আইফোন কিংবা আইপ্যাড—আধুনিক জীবনাচারের এসব দুর্দান্ত অনুষঙ্গ যার বুদ্ধিময়তার উপহার, তিনি মানুষের হিরো হবেনই—এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু স্টিভ জবস কাকে অনুসরণ করে এ পর্যায়ে এসেছিলেন, সেটা কিন্তু রয়ে গেছে নেপথ্যেই। স্টিভ জবস সারা জীবন একজন মানুষকেই অনুসরণ করেছেন, তিনি আর কেউ নন— পোলারয়েড ক্যামেরার জনক রসায়নবিদ এডউইন এইচ ল্যান্ড। স্টিভ জবস মনে-প্রাণে অনুসরণ করতেন এই এডউইন ল্যান্ডকে। কথা-বার্তা, চাল-চলনে তো বটেই, জবসকে এডউইন তার যে গুণটি দিয়ে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করতে পেরেছিলেন, সেটা হলো—কঠিনকে সোজা করে ভাবার ক্ষমতা। বিজ্ঞানের সুকঠিন, জটিল কোনো সমীকরণও এডউইন মানুষকে রূপকথার গল্পের মতো করে বুঝিয়ে দিতে পারতেন। চাল-চলনে কেতাদুরস্ত না হয়েও একজন মানুষ যে কতটা আকর্ষণীয় হতে পারেন—সেটা এডউইন এইচ ল্যান্ডকে না দেখলে বোঝার উপায় নেই। একথা জীবদ্দশায়ও বহুবার উল্লেখ করেছিলেন জবস। অ্যাপল কম্পিউটার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই সত্তরের একেবারে গোড়ার দিকে টাইম সাময়িকীতে প্রচ্ছদ কাহিনীর উপকরণ হয়েছিলেন এডউইন। ১৯৭২ সালে ইন্সট্যান্ট ফটোগ্রাফির জনক হিসেবে তাকে নিয়ে একটি প্রচ্ছদ কাহিনী টাইম সাময়িকীতে ছাপা হয়। বলা হতো, তিনি ফটোগ্রাফি বিষয়ে এত জানতেন যে, পোলারয়েডের ব্যাপারটি তিনি কয়েক ঘণ্টাতেই তৈরি করেছিলেন। কিন্তু আসল ব্যাপারটি হলো, তিনি সবকিছু গুছিয়ে আনার পরেও সর্বশেষ কয়েকটি ব্যাপার নিয়ে তিনি ব্যয় করেছিলেন ৩০টি বছর। এতটাই একাগ্র ও ধৈর্যে নিরবচ্ছিন্ন ছিলেন এই এডউইন।
স্টিভ জবস স্নাতক সম্পন্ন করেননি। কয়েক মাস কলেজে পড়ে তিনি বিদায় জানিয়েছিলেন তার উচ্চশিক্ষাকে। এ ব্যাপারে স্টিভ তার গুরু এডউইনকে অনুসরণ করেছিলেন কি না, তা জানা যায়নি। তবে এডউইন ল্যান্ডও তার স্নাতক সম্পন্ন করেননি। স্টিভ ও এডউইন—দু’জনই পরে নিজেদের কর্ম দিয়ে নিজেদের এমন এক উচ্চতায় তুলে ধরেছিলেন, যা তাদের করে তুলে ধরেছিল অনেক ‘শিক্ষিতে’র চেয়েও অনেক উপরে। তারা দু’জনই পরে বিলিয়নিয়ার হয়েছিলেন। পোলারয়েড করপোরেশনে নিয়োগ করেছিলেন স্মিথ কলেজের সেরা গ্র্যাজুয়েটদের। নিজে রসায়নবিদ ছিলেন। তিনি তৈরি করতে চেয়েছিলেন এমন কিছু রসায়নবিদ, যারা রসায়ন নিয়ে কথা বললে মনে হবে, তারা যেন ক্যানভাসে রসায়নের তুলির আঁচড় দিচ্ছেন।
অ্যাপলের হয়ে স্টিভ জবস যখন কোনো পণ্য নিয়ে হাজির হতেন, তখন তার পোশাকে থাকত না কোনো ক্রেতাভাব। চাল-চলন হতো খুবই সহজ-স্বাভাবিক। পণ্যটিকে তিনি সবার সামনে উপস্থিত করতেন রূপকথার গল্পের ছলে। এই স্টাইলটি তিনি নিয়েছিলেন তার গুরু এডউইন এইচ ল্যান্ডের কাছ থেকে।
পণ্য উপস্থাপনকে কতটা সহজ করা যায়, সেটা প্রথম দেখিয়েছিলেন এডউইন। স্টিভ জবসের সেই জিনস ও কালো গলাবদ্ধ পুলওভারের স্টাইলটিতে মিশে রয়েছে এডউইন এইচ ল্যান্ডের ছোঁয়া।
অ্যাপল কম্পিউটার, ম্যাকিন্টোশ, আইপড, আইফোন কিংবা আইপ্যাড—আধুনিক জীবনাচারের এসব দুর্দান্ত অনুষঙ্গ যার বুদ্ধিময়তার উপহার, তিনি মানুষের হিরো হবেনই—এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু স্টিভ জবস কাকে অনুসরণ করে এ পর্যায়ে এসেছিলেন, সেটা কিন্তু রয়ে গেছে নেপথ্যেই। স্টিভ জবস সারা জীবন একজন মানুষকেই অনুসরণ করেছেন, তিনি আর কেউ নন— পোলারয়েড ক্যামেরার জনক রসায়নবিদ এডউইন এইচ ল্যান্ড। স্টিভ জবস মনে-প্রাণে অনুসরণ করতেন এই এডউইন ল্যান্ডকে। কথা-বার্তা, চাল-চলনে তো বটেই, জবসকে এডউইন তার যে গুণটি দিয়ে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করতে পেরেছিলেন, সেটা হলো—কঠিনকে সোজা করে ভাবার ক্ষমতা। বিজ্ঞানের সুকঠিন, জটিল কোনো সমীকরণও এডউইন মানুষকে রূপকথার গল্পের মতো করে বুঝিয়ে দিতে পারতেন। চাল-চলনে কেতাদুরস্ত না হয়েও একজন মানুষ যে কতটা আকর্ষণীয় হতে পারেন—সেটা এডউইন এইচ ল্যান্ডকে না দেখলে বোঝার উপায় নেই। একথা জীবদ্দশায়ও বহুবার উল্লেখ করেছিলেন জবস। অ্যাপল কম্পিউটার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই সত্তরের একেবারে গোড়ার দিকে টাইম সাময়িকীতে প্রচ্ছদ কাহিনীর উপকরণ হয়েছিলেন এডউইন। ১৯৭২ সালে ইন্সট্যান্ট ফটোগ্রাফির জনক হিসেবে তাকে নিয়ে একটি প্রচ্ছদ কাহিনী টাইম সাময়িকীতে ছাপা হয়। বলা হতো, তিনি ফটোগ্রাফি বিষয়ে এত জানতেন যে, পোলারয়েডের ব্যাপারটি তিনি কয়েক ঘণ্টাতেই তৈরি করেছিলেন। কিন্তু আসল ব্যাপারটি হলো, তিনি সবকিছু গুছিয়ে আনার পরেও সর্বশেষ কয়েকটি ব্যাপার নিয়ে তিনি ব্যয় করেছিলেন ৩০টি বছর। এতটাই একাগ্র ও ধৈর্যে নিরবচ্ছিন্ন ছিলেন এই এডউইন।
স্টিভ জবস স্নাতক সম্পন্ন করেননি। কয়েক মাস কলেজে পড়ে তিনি বিদায় জানিয়েছিলেন তার উচ্চশিক্ষাকে। এ ব্যাপারে স্টিভ তার গুরু এডউইনকে অনুসরণ করেছিলেন কি না, তা জানা যায়নি। তবে এডউইন ল্যান্ডও তার স্নাতক সম্পন্ন করেননি। স্টিভ ও এডউইন—দু’জনই পরে নিজেদের কর্ম দিয়ে নিজেদের এমন এক উচ্চতায় তুলে ধরেছিলেন, যা তাদের করে তুলে ধরেছিল অনেক ‘শিক্ষিতে’র চেয়েও অনেক উপরে। তারা দু’জনই পরে বিলিয়নিয়ার হয়েছিলেন। পোলারয়েড করপোরেশনে নিয়োগ করেছিলেন স্মিথ কলেজের সেরা গ্র্যাজুয়েটদের। নিজে রসায়নবিদ ছিলেন। তিনি তৈরি করতে চেয়েছিলেন এমন কিছু রসায়নবিদ, যারা রসায়ন নিয়ে কথা বললে মনে হবে, তারা যেন ক্যানভাসে রসায়নের তুলির আঁচড় দিচ্ছেন।
অ্যাপলের হয়ে স্টিভ জবস যখন কোনো পণ্য নিয়ে হাজির হতেন, তখন তার পোশাকে থাকত না কোনো ক্রেতাভাব। চাল-চলন হতো খুবই সহজ-স্বাভাবিক। পণ্যটিকে তিনি সবার সামনে উপস্থিত করতেন রূপকথার গল্পের ছলে। এই স্টাইলটি তিনি নিয়েছিলেন তার গুরু এডউইন এইচ ল্যান্ডের কাছ থেকে।
পণ্য উপস্থাপনকে কতটা সহজ করা যায়, সেটা প্রথম দেখিয়েছিলেন এডউইন। স্টিভ জবসের সেই জিনস ও কালো গলাবদ্ধ পুলওভারের স্টাইলটিতে মিশে রয়েছে এডউইন এইচ ল্যান্ডের ছোঁয়া।
No comments