খুশিতে ভাসছে হরভজনের মুম্বাই
ফাইনালে হারের হ্যাটট্রিক করে বসল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ২০০৯ আইপিএল ফাইনালে ডেকান চার্জার্স, ২০১১-এর ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসের পর পরশু চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে তারা হেরে বসল মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের কাছে। মুম্বাইয়ের ১৩৯ রানের জবাবে ৪ বল বাকি থাকতেই ১০৮ রানে গুটিয়ে ৩১ রানের হার মেনে নেয় তারা। তাও এমন একটা দলের বিপক্ষে যাদের সেরা একাদশের অর্ধেকও খেলতে পারেননি চোটের কারণে। শচীন টেন্ডুলকার, রোহিত শর্মা, মুনাফ প্যাটেলের মতো পারফরমারদের ছাড়া প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে তাই খুশিতে ভাসছে মুম্বাই।
খুশি অধিনায়ক হরভজন সিংও, 'টুর্নামেন্ট শুরুর সময় অনেকে আশাবাদী ছিলেন না আমাদের নিয়ে। কিন্তু আত্মবিশ্বাসী ছিলাম আমরা। টেন্ডুলকারকে ছাড়া চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতাটা অনেক বড় অর্জন। ভেবে দেখুন টেন্ডুলকার, রোহিত, মুনাফকে ছাড়াই যদি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারি তাহলে ওরা ফিরলে আরো কী করতে পারব আমরা!'
চেন্নাইয়ের ধীরগতির টার্নিং উইকেটটা পুরো টুর্নামেন্টে ভুগিয়ে এসেছে ধোনির দলকে। পরশু ভুগিয়েছে মুম্বাই আর বেঙ্গালুরুকেও। তাই স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন না দুই দলের ব্যাটসম্যানরাই। লো স্কোরিং ম্যাচটিতে ফিফটিও হয়নি কোনো। জেমস ফ্রাংকলিনের ২৯ বলে ২ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৪১, যাদবের ১৭ বলে ২৪ আর রাইডুর ২১ বলে ২২-এ ১৩৯ রানে অল আউট হয় মুম্বাই। জবাবে শুরুটা ঝড়ো গতিতেই হয়েছিল বেঙ্গালুরুর। ৪ ওভারে দুই ওপেনার দিলশান ও গেইল করেন ৩৮। কিন্তু পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে মালিঙ্গা দিলশানকে (২০ বলে ২৭) বোল্ড করার পরই ম্যাচে ফেরে মুম্বাই। অধিনায়ক হরভজন সিং দুই বিগ হিটার গেইল (১২ বলে ৫) ও কোহলিকে (১৯ বলে ১১) ফেরানোর পর চাপে পড়ে যায় বেঙ্গালুরু। সেটা আরো বাড়ে যুবেন্দ্র চাহাল ৩ ওভারে ৯ রান দিয়ে আগারওয়াল ও কার্তিকের উইকেট দুটি নিলে। এই চাপটা কাটাতে না পেরে ৪ বল বাকি থাকতে ১০৮ রানে গুটিয়ে যায় বেঙ্গালুরু। হরভজন মনে করেন সম্মিলিত দলীয় শক্তি দিয়েই তাদের এই জয়, 'আমাদের সবার শরীরী ভাষা ছিল আক্রমণাত্মক। জানতাম গেইল, কোহলি আর দিলশানকে তাড়াতাড়ি ফেরাতে পারলে আমরাই জিতব। সেটা পেরেছি বলে কৃতজ্ঞতা জানাই সৃষ্টিকর্তার প্রতি। আর পুরো টুর্নামেন্টেই আমাদের সেরা খেলোয়াড় ছিল মালিঙ্গা।' বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ভেট্টোরি অভিনন্দন জানিয়েছেন কিন্তু তাঁর মতে সর্বনাশ করেছে আসলে উইকেটটাই, '৫ ওভার পর থেকেই টার্ন পাচ্ছিল স্পিনাররা। এখানে ব্যাটিং করাটা সত্যিই কঠিন। তবে অভিনন্দন মুম্বাইকে।' ওয়েবসাইট
চেন্নাইয়ের ধীরগতির টার্নিং উইকেটটা পুরো টুর্নামেন্টে ভুগিয়ে এসেছে ধোনির দলকে। পরশু ভুগিয়েছে মুম্বাই আর বেঙ্গালুরুকেও। তাই স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন না দুই দলের ব্যাটসম্যানরাই। লো স্কোরিং ম্যাচটিতে ফিফটিও হয়নি কোনো। জেমস ফ্রাংকলিনের ২৯ বলে ২ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৪১, যাদবের ১৭ বলে ২৪ আর রাইডুর ২১ বলে ২২-এ ১৩৯ রানে অল আউট হয় মুম্বাই। জবাবে শুরুটা ঝড়ো গতিতেই হয়েছিল বেঙ্গালুরুর। ৪ ওভারে দুই ওপেনার দিলশান ও গেইল করেন ৩৮। কিন্তু পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে মালিঙ্গা দিলশানকে (২০ বলে ২৭) বোল্ড করার পরই ম্যাচে ফেরে মুম্বাই। অধিনায়ক হরভজন সিং দুই বিগ হিটার গেইল (১২ বলে ৫) ও কোহলিকে (১৯ বলে ১১) ফেরানোর পর চাপে পড়ে যায় বেঙ্গালুরু। সেটা আরো বাড়ে যুবেন্দ্র চাহাল ৩ ওভারে ৯ রান দিয়ে আগারওয়াল ও কার্তিকের উইকেট দুটি নিলে। এই চাপটা কাটাতে না পেরে ৪ বল বাকি থাকতে ১০৮ রানে গুটিয়ে যায় বেঙ্গালুরু। হরভজন মনে করেন সম্মিলিত দলীয় শক্তি দিয়েই তাদের এই জয়, 'আমাদের সবার শরীরী ভাষা ছিল আক্রমণাত্মক। জানতাম গেইল, কোহলি আর দিলশানকে তাড়াতাড়ি ফেরাতে পারলে আমরাই জিতব। সেটা পেরেছি বলে কৃতজ্ঞতা জানাই সৃষ্টিকর্তার প্রতি। আর পুরো টুর্নামেন্টেই আমাদের সেরা খেলোয়াড় ছিল মালিঙ্গা।' বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ভেট্টোরি অভিনন্দন জানিয়েছেন কিন্তু তাঁর মতে সর্বনাশ করেছে আসলে উইকেটটাই, '৫ ওভার পর থেকেই টার্ন পাচ্ছিল স্পিনাররা। এখানে ব্যাটিং করাটা সত্যিই কঠিন। তবে অভিনন্দন মুম্বাইকে।' ওয়েবসাইট
No comments