মিসরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে খ্রিস্টানদের সংঘর্ষ নিহত ২৪
আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কায়রো। রবিবার রাতে সংখ্যালঘু কপটিক খ্রিস্টানদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে হোসনি মুবারক সরকারের পতনের পর একেই সবচেয়ে বড় ধরনের সহিংসতা বলে মনে করা হচ্ছে। এ থেকে সাম্প্রদায়িক অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে নিরাপত্তা বাহিনী।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রবিবার রাতভর সহিংসতায় নিরাপত্তা বাহিনীর ৮৬ সদস্যসহ ২০০ জন আহত হয়েছে। জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪০ জনকে।
সহিংসতার ঘটনায় রাজাধানী কায়রোর তাহরির স্কয়ারসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় রবিবার রাতেই কারফিউ জারি করা হয়। রাতেই মিসরীয় নেতারা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় জরুরি বৈঠক করেন। গতকাল সোমবার বিকেলে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে বসার কথা ছিল। গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মিসরের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী এসাম শারাফ। সহিংসতাকে 'দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি' হিসেবে অভিহিত করে তিনি সবার প্রতি শান্ত থাকার আহ্বান জানান। এ ঘটনা জনতার সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্পর্ক সাংঘর্ষিক করে তুলতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মিসরের জনসংখ্যার ১০ শতাংশ কপটিক খ্রিস্টান। মূলত মিসরে বসবাসকারী খ্রিস্টানরাই কপটিক নামে পরিচিত।
জানা গেছে, মিসরের দক্ষিণাঞ্চলীয় আসওয়ান প্রদেশে গত সপ্তাহে স্থানীয় গভর্নরের নির্দেশে একটি গির্জা ভেঙে ফেলা হয়। প্রতিবাদে রবিবার কায়রোর সরকারি টেলিভিশন দপ্তরের সামনে মিসরের সর্ববৃহৎ সংখ্যালঘু গোষ্ঠী কপটিকরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল বের করে। তারা ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তী সামরিক পরিষদের প্রতি আসওয়ান প্রদেশের গর্ভনরকে বরখাস্ত করার আহ্বান জানায়। অনুমোদন নেই_এমন অভিযোগে তিনি ওই গির্জা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে সরকারি টেলিভিশন খ্রিস্টানবিরোধী অনুভূতিকে উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে কপটিকরা। মিছিল শেষে টেলিভিশন দপ্তরের সামনে তাদের অবস্থান ধর্মঘটেরও পরিকল্পনা ছিল।
কপটিকদের অভিযোগ, তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে প্রথমে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। মিছিলে রাস্তার পাশের একটি ভবনের ব্যালকনি থেকে দুর্বৃত্তরা ঢিল ছুড়লে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ টেলিভিশন ভবনসংলগ্ন এলাকা থেকে তাহরির স্কয়ার ও পাশের এলাকাগুলোয় ছড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষই ফুটপাত ভেঙে ইটপাটকেল নিয়ে পরস্পরের দিকে ছুড়তে থাকে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করে। এ সময় তাদের সঙ্গে কপটিকদের সংঘর্ষ বাধে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, সেনাবাহিনীর দ্রুতগামী গাড়ির নিচে চাপা পড়ে অন্তত পাঁচ বিক্ষোভকারী নিহত হয়। নিহত কয়েকজনের শরীরে গুলির আঘাত দেখা গেলেও সেনাবাহনী দাবি করেছে, তারা বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে শুধু কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে।
নিরাপত্তা বাহিনী জানায়, কপটিকরা দুটি সাঁজোয় যান, ছয়টি প্রাইভেট কার ও একটি সরকারি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। রাতেই কারফিউ জারি করা হয়। গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় তা প্রত্যাহার করা হয়।
মিসরের পত্রিকাগুলোতে গতকালের সংঘর্ষের তীব্র সমালোচনা করা হয়। দুই দশক মিসরের নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ফুয়াদ আলম বলেন, 'সংঘর্ষের মূল কারণ খুঁজে বের করে তা সমাধানের জন্য নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে। নয়তো গৃহযুদ্ধও বেধে যেতে পারে।' আল-আরাবিয়া টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বৈষম্যমূলক ধর্মীয় আইন সংস্কারের আহ্বান জানান। এ আইনে গির্জা নির্মাণের জন্য প্রেসিডেন্টের অনুমতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া খ্রিস্টান থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারীদের মিসর স্বীকৃতি দিলেও এর বিপরীত বিষয়টি তাদের আইনে বৈধ নয়। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, আল-জাজিরা।
প্রসঙ্গত, মিসরের জনসংখ্যার ১০ শতাংশ কপটিক খ্রিস্টান। মূলত মিসরে বসবাসকারী খ্রিস্টানরাই কপটিক নামে পরিচিত।
জানা গেছে, মিসরের দক্ষিণাঞ্চলীয় আসওয়ান প্রদেশে গত সপ্তাহে স্থানীয় গভর্নরের নির্দেশে একটি গির্জা ভেঙে ফেলা হয়। প্রতিবাদে রবিবার কায়রোর সরকারি টেলিভিশন দপ্তরের সামনে মিসরের সর্ববৃহৎ সংখ্যালঘু গোষ্ঠী কপটিকরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল বের করে। তারা ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তী সামরিক পরিষদের প্রতি আসওয়ান প্রদেশের গর্ভনরকে বরখাস্ত করার আহ্বান জানায়। অনুমোদন নেই_এমন অভিযোগে তিনি ওই গির্জা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে সরকারি টেলিভিশন খ্রিস্টানবিরোধী অনুভূতিকে উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে কপটিকরা। মিছিল শেষে টেলিভিশন দপ্তরের সামনে তাদের অবস্থান ধর্মঘটেরও পরিকল্পনা ছিল।
কপটিকদের অভিযোগ, তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে প্রথমে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। মিছিলে রাস্তার পাশের একটি ভবনের ব্যালকনি থেকে দুর্বৃত্তরা ঢিল ছুড়লে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ টেলিভিশন ভবনসংলগ্ন এলাকা থেকে তাহরির স্কয়ার ও পাশের এলাকাগুলোয় ছড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষই ফুটপাত ভেঙে ইটপাটকেল নিয়ে পরস্পরের দিকে ছুড়তে থাকে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করে। এ সময় তাদের সঙ্গে কপটিকদের সংঘর্ষ বাধে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, সেনাবাহিনীর দ্রুতগামী গাড়ির নিচে চাপা পড়ে অন্তত পাঁচ বিক্ষোভকারী নিহত হয়। নিহত কয়েকজনের শরীরে গুলির আঘাত দেখা গেলেও সেনাবাহনী দাবি করেছে, তারা বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে শুধু কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে।
নিরাপত্তা বাহিনী জানায়, কপটিকরা দুটি সাঁজোয় যান, ছয়টি প্রাইভেট কার ও একটি সরকারি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। রাতেই কারফিউ জারি করা হয়। গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় তা প্রত্যাহার করা হয়।
মিসরের পত্রিকাগুলোতে গতকালের সংঘর্ষের তীব্র সমালোচনা করা হয়। দুই দশক মিসরের নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ফুয়াদ আলম বলেন, 'সংঘর্ষের মূল কারণ খুঁজে বের করে তা সমাধানের জন্য নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে। নয়তো গৃহযুদ্ধও বেধে যেতে পারে।' আল-আরাবিয়া টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বৈষম্যমূলক ধর্মীয় আইন সংস্কারের আহ্বান জানান। এ আইনে গির্জা নির্মাণের জন্য প্রেসিডেন্টের অনুমতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া খ্রিস্টান থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারীদের মিসর স্বীকৃতি দিলেও এর বিপরীত বিষয়টি তাদের আইনে বৈধ নয়। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, আল-জাজিরা।
No comments