সারতের নিয়ন্ত্রণ নিতে অভিযান জোরদার করেছে এনটিসি
লিবিয়ার সারতে শহরে গতকাল রোববার ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের (এনটিসি) অনুগত বাহিনী অভিযান আরও জোরদার করেছে। এদিন এনটিসির অনুগত যোদ্ধারা সারতের একটি বিশ্ববিদ্যালয় দখল করে নিয়েছেন এবং ওয়াগাদোগোউ কনফারেন্স সেন্টারের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন।
গাদ্দাফির নিজ শহর সারতের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার উদ্দেশ্যে গত শুক্রবার এনটিসি অভিযান শুরুর পর গতকাল ওই বিশ্ববিদ্যালয় ও নিকটবর্তী ওয়াগাদোগোউ কনফারেন্স সেন্টারের চারপাশে গাদ্দাফির অনুগত যোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের তুমুল লড়াই হয়। এ কনফারেন্স সেন্টারে লুকিয়ে থেকে গাদ্দাফির অনুগত যোদ্ধারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
এনটিসির কমান্ডার নাসের জামুদ বলেন, ‘আমরা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের দখল নিয়েছি এবং গাদ্দাফির যোদ্ধাদের কাছ থেকে এলাকাটিকে মুক্ত করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমাদের শত শত যোদ্ধা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।’
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদক জানিয়েছেন, ওয়াগাদোগোউ কনফারেন্স সেন্টারের সুবিশাল ভবন এবং এর কংক্রিটের তৈরি বাংকার থেকে গাদ্দাফির অনুগত যোদ্ধারা এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এখানেই গাদ্দাফি বাহিনীর প্রধান ঘাঁটি অবস্থিত।
এনটিসির চেয়ারম্যান মুস্তাফা আবদেল জলিল বলেছেন, শুক্রবার অভিযান শুরুর পর থেকে এনটিসির যোদ্ধারা ক্রমান্বয়ে গাদ্দাফির অনুগত যোদ্ধাদের পিছু হটতে বাধ্য করেছেন। তিনি আরও বলেন, এনটিসির যোদ্ধারা এগিয়ে যাচ্ছেন এবং গাদ্দাফির অনুগত বাহিনীকে কোণঠাসা করে ফেলেছেন।
গত শনিবার রাতে ত্রিপোলিতে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিয়াম ফক্স ও ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইগনাজিও লা রুসার সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মুস্তাফা আবদেল জলিল বলেন, ‘আমাদের যোদ্ধারা আড়ালে থাকা গাদ্দাফির অনুগত বন্দুকধারীদের বেশ ভালোভাবেই মোকাবিলা করছেন।’
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, এনটিসির ছয়জন যোদ্ধা নিহত এবং ৯৯ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে সারতে শহরে এনটিসির অভিযান শুরুর পর থেকে ২৩ জন নিহত এবং ৩৩০ জন আহত হয়েছেন।
এনটিসির কমান্ডাররা জানিয়েছেন, সারতে শহরে এখনো হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ আটকে আছে। যারা এখনো শহরটি ছেড়ে যায়নি, তাদের সরাতে এবং ভুলবশত নিজেদের লোকের ওপর হামলা এড়াতে এনটিসির যোদ্ধারা সেখানে অগ্রসর হচ্ছেন।
সারতের বাসিন্দা নাসের হামিদ জানান, গতকাল ভোরে তিনি গাড়িতে করে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে কোনোমতে পালাতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মেশিনগানের গুলিতে আমাদের ফ্ল্যাট ঝাঁজরা হয়ে গেছে। এ সময় আমরা ভবনের ভূগর্ভস্থ কক্ষে অবস্থান করেছি।’
এনটিসি বলছে, লিবিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্ত ঘোষণা করা এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে সারতের পতন হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গাদ্দাফির নিজ শহর সারতের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার উদ্দেশ্যে গত শুক্রবার এনটিসি অভিযান শুরুর পর গতকাল ওই বিশ্ববিদ্যালয় ও নিকটবর্তী ওয়াগাদোগোউ কনফারেন্স সেন্টারের চারপাশে গাদ্দাফির অনুগত যোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের তুমুল লড়াই হয়। এ কনফারেন্স সেন্টারে লুকিয়ে থেকে গাদ্দাফির অনুগত যোদ্ধারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
এনটিসির কমান্ডার নাসের জামুদ বলেন, ‘আমরা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের দখল নিয়েছি এবং গাদ্দাফির যোদ্ধাদের কাছ থেকে এলাকাটিকে মুক্ত করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমাদের শত শত যোদ্ধা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।’
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদক জানিয়েছেন, ওয়াগাদোগোউ কনফারেন্স সেন্টারের সুবিশাল ভবন এবং এর কংক্রিটের তৈরি বাংকার থেকে গাদ্দাফির অনুগত যোদ্ধারা এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এখানেই গাদ্দাফি বাহিনীর প্রধান ঘাঁটি অবস্থিত।
এনটিসির চেয়ারম্যান মুস্তাফা আবদেল জলিল বলেছেন, শুক্রবার অভিযান শুরুর পর থেকে এনটিসির যোদ্ধারা ক্রমান্বয়ে গাদ্দাফির অনুগত যোদ্ধাদের পিছু হটতে বাধ্য করেছেন। তিনি আরও বলেন, এনটিসির যোদ্ধারা এগিয়ে যাচ্ছেন এবং গাদ্দাফির অনুগত বাহিনীকে কোণঠাসা করে ফেলেছেন।
গত শনিবার রাতে ত্রিপোলিতে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিয়াম ফক্স ও ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইগনাজিও লা রুসার সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মুস্তাফা আবদেল জলিল বলেন, ‘আমাদের যোদ্ধারা আড়ালে থাকা গাদ্দাফির অনুগত বন্দুকধারীদের বেশ ভালোভাবেই মোকাবিলা করছেন।’
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, এনটিসির ছয়জন যোদ্ধা নিহত এবং ৯৯ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে সারতে শহরে এনটিসির অভিযান শুরুর পর থেকে ২৩ জন নিহত এবং ৩৩০ জন আহত হয়েছেন।
এনটিসির কমান্ডাররা জানিয়েছেন, সারতে শহরে এখনো হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ আটকে আছে। যারা এখনো শহরটি ছেড়ে যায়নি, তাদের সরাতে এবং ভুলবশত নিজেদের লোকের ওপর হামলা এড়াতে এনটিসির যোদ্ধারা সেখানে অগ্রসর হচ্ছেন।
সারতের বাসিন্দা নাসের হামিদ জানান, গতকাল ভোরে তিনি গাড়িতে করে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে কোনোমতে পালাতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মেশিনগানের গুলিতে আমাদের ফ্ল্যাট ঝাঁজরা হয়ে গেছে। এ সময় আমরা ভবনের ভূগর্ভস্থ কক্ষে অবস্থান করেছি।’
এনটিসি বলছে, লিবিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্ত ঘোষণা করা এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে সারতের পতন হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
No comments