যেহেতু আমি খুব লম্বা তাই মনে হলো দেখি না চেষ্টা করে

জাতীয় দলের নেটে তারকা ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বোলিং করাটা এত দিন তাঁদের কাছে ছিল স্বপ্ন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বাছাই করে আনা ১৮ জন তরুণ ফাস্ট বোলারের সে স্বপ্ন পূরণ হলো কাল। এঁদেরই অন্যতম সিলেটের ডানহাতি পেসার জয়নুল ইসলাম। ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি উচ্চতার এ তরুণ কালের কণ্ঠ স্পোর্টসের মুখোমুখি হয়ে বললেন তাঁর অতীত এবং ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নিয়েকালের কণ্ঠ স্পোর্টস : কোন পর্যায়ে ক্রিকেট খেলেন?জয়নুল ইসলাম : সিলেটের প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে খেলি ব্রাদার্সের হয়ে। তবে আমি মূলত সাউথ সুরমা ক্রিকেট একাডেমীর ছাত্র, রাজিন ভাই (জাতীয় দলের সাবেক ব্যাটসম্যান রাজিন সালেহ) যেটা চালান।


ওই একাডেমীতে আসার পর থেকেই ভালো ক্রিকেটার হওয়ার জন্য খেলছি। হয়তো নজরে পড়েছি, এ জন্যই বিসিবির ডিভিশনাল কোচ আমাকে এখানে নিয়ে এসেছেন।
প্রশ্ন : কাকে দেখে প্রথম ফাস্ট বোলার হওয়ার ইচ্ছে হলো?
জয়নুল : অস্ট্রেলিয়ার শন টেইট। আর দেশে মাশরাফি ভাই। তা ছাড়া সব সময় শুনতাম যে ফাস্ট বোলার হওয়ার জন্য নাকি উচ্চতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর আমি যেহেতু খুব লম্বা, তাই ভেবে দেখলাম দেখি না চেষ্টা করে। সেই থেকে লেগে আছি। দেখি কত দূর যাওয়া যায়।
প্রশ্ন : সিলেট থেকে একেবারে জাতীয় দলের নেট পর্যন্ত আসাও তো একটা অগ্রগতিই, নাকি?
জয়নুল : অবশ্যই। এটা আমার জন্য দারুণ খুশির ব্যাপার। দেশসেরা ব্যাটসম্যানদের বোলিং করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। ভীষণ উপভোগ করেছি।
প্রশ্ন : কার বিপক্ষে বোলিং করাটা বেশি আনন্দের ছিল?
জয়নুল : আশরাফুল ভাই। মুশফিক ভাইকেও বোলিং করেছি। ওনাকে তো একবার শর্ট বলে বিটও করেছি। মনে হয় শর্ট বলটা আমি ভালোই দিতে পারি। তবে সবার আগে লাইন-লেন্থ ঠিক রাখার চেষ্টা করি।
প্রশ্ন : জাতীয় দলের ব্যাটসম্যানদের কেউ কিছু বলেছেন আপনাকে?
জয়নুল : দুটো বল বোধহয় খুব ভালো হয়েছিল। আশরাফুল ভাই এগিয়ে এসে পিঠ চাপড়ে দিয়েছেন।
প্রশ্ন : এখানে এসে তো জাতীয় দলের নতুন কোচ শেন ইয়ুর্গেনসেনের পরামর্শও পেলেন।
জয়নুল : হ্যাঁ, আমাদের বোলিং দেখে সবাইকেই কিছু না কিছু পরামর্শ উনি দিয়েছেন। এগুলো নিয়ে কাজ করলে আশা করি আরো ভালো বোলার হতে পারব। আমার যেমন একটা সমস্যা ধরেছেন। ডেলিভারি দেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে আমার শরীরটা পেছনের দিকে একটু বেশিই চলে যায়। এটা ঠিক করলে নাকি আমার বোলিংয়ের গতি আরো অনেক বেড়ে যাবে।
প্রশ্ন : আপনার বোলিংয়ের গতি কত এখন?
জয়নুল : কখনো মাপা হয়নি। তবে আমার ধারণা অ্যাভারেজে ৭৫-৮০ হবে।
প্রশ্ন : পড়াশোনার কী অবস্থা? ভাই-বোন কতজন?
জয়নুল : সিলেট এমসি কলেজে বিএসএস প্রথম বর্ষে পড়ছি। আমার বাবা মারা গেছেন অনেক আগেই। মা আছেন আর আমরা পাঁচ বোন ও তিন ভাই। আমি সবার ছোট। আমার মতো অনেকেই তো বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠে এসে জাতীয় দলে খেলেছেন। আমিও তাঁদের মতো একজন হতে চাই।

No comments

Powered by Blogger.