ইসরায়েলকে ইহুদি রাষ্ট্রের স্বীকৃতির দাবি ফিলিস্তিনের প্রত্যাখ্যান
পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের ওপর স্থগিতাদেশ নিয়ে ইসরায়েলের দেওয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিনিরা। ইসরায়েল বলেছে, ফিলিস্তিন ইসরায়েলকে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলে তারা স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়াতে রাজি আছে। কিন্তু তাদের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ফিলিস্তিনিরা বলেছে, এই স্বীকৃতির সঙ্গে বসতি স্থাপন বা শান্তি আলোচনার কোনো সম্পর্ক নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত মাসে ওয়াশিংটনে শুরু হওয়া ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সরাসরি শান্তি আলোচনা টিকিয়ে রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে পশ্চিম তীরের ইসরায়েলি বসতি স্থাপন। আলোচনা শুরুর সময় পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের কাজ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিল ইসরায়েল। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ওই স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হয়। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ দাবি করে আসছে, ইসরায়েল বসতি স্থাপনের স্থগিতাদেশ না বাড়ালে তারা শান্তি আলোচনা থেকে বেরিয়ে যাবে। কিন্তু ইসরায়েল তা করতে নারাজ।
ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে গত সোমবার শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশনে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘ফিলিস্তিনি নেতারা তাঁদের জনগণকে যদি দ্ব্যর্থহীনভাবে জানান তাঁরা ইসরায়েলকে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন, তাহলে আমি আমার মন্ত্রিপরিষদের কাছে বসতি স্থাপনের ওপর আরেকটি স্থগিতাদেশের প্রস্তাব করতে রাজি আছি।’
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত ওই ভাষণে নেতানিয়াহু আরও বলেন, ‘এ প্রস্তাব আমি আগে অন্যভাবে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, এখন সরাসরি বলছি।’
তবে নেতানিয়াহুর এই বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিনিরা। তারা বলেছে, ইসরায়েলকে তারা ইতিমধ্যে স্বীকৃতি দিয়েছে, কাজেই নতুন করে স্বীকৃতি দেওয়ার কিছু নেই।
শান্তি আলোচনায় ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রধান আলোচক সায়েব এরাকাত বলেছেন, মার্কিন মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনা নিয়ে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তার সঙ্গে ইসরায়েলের এই দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।
সায়েব এরাকাত বলেন, ‘আমি আশা করি তিনি (নেতানিয়াহু) এই খেলা বন্ধ করবেন। বসতি স্থাপন বন্ধ করে শান্তি আলোচনা আবার শুরু করবেন।’
১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তির আগে ইসরায়েলকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয় ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাঁদের ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চাইবে না ফিলিস্তিনিরা, কেননা এতে ১৯৮৪ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় শরণার্থী হয়ে পড়া মানুষজনের নিজেদের দেশে ফেরার বিষয়টি কঠিন হয়ে যাবে।
ইসরায়েলকে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি কখনোই মধ্যপ্রাচ্য-সংকট সমাধানের জন্য একান্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেনি। কিন্তু গত বছর নেতানিয়াহু ক্ষমতায় আসার পর থেকে ফিলিস্তিনের সঙ্গে যেকোনো শান্তিচুক্তির জন্য এটাকে অন্যতম শর্ত হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তবে এর মানে এই নয় যে আমি শান্তি আলোচনার জন্য এই বিষয়টিকে শর্ত হিসেবে বেঁধে দিচ্ছি। কিন্ত এতে কোনো সন্দেহ নেই যে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের দিক দিয়ে এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হলে শান্তি আলোচনার বিষয়ে ইসরায়েলি জনগণের মধ্যে আস্থা তৈরি হবে। এতে আশা এবং বিশ্বাসের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে।’
তবে ইসরায়েলের এই প্রস্তাবের বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা আগের অবস্থানেই আছি, আমরা চাই বসতি স্থাপনের ওপর স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হোক।’
ইসরায়েলের হারেৎজ পত্রিকা লিখেছে, ‘তিনি (নেতানিয়াহু) যখন দাবি করেন যে আব্বাস ইসরায়েলকে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিন, তখন তিনি আব্বাসকে রাজনৈতিক আত্মহত্যার প্রস্তাবই দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত মাসে ওয়াশিংটনে শুরু হওয়া ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সরাসরি শান্তি আলোচনা টিকিয়ে রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে পশ্চিম তীরের ইসরায়েলি বসতি স্থাপন। আলোচনা শুরুর সময় পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের কাজ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিল ইসরায়েল। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ওই স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হয়। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ দাবি করে আসছে, ইসরায়েল বসতি স্থাপনের স্থগিতাদেশ না বাড়ালে তারা শান্তি আলোচনা থেকে বেরিয়ে যাবে। কিন্তু ইসরায়েল তা করতে নারাজ।
ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে গত সোমবার শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশনে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘ফিলিস্তিনি নেতারা তাঁদের জনগণকে যদি দ্ব্যর্থহীনভাবে জানান তাঁরা ইসরায়েলকে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন, তাহলে আমি আমার মন্ত্রিপরিষদের কাছে বসতি স্থাপনের ওপর আরেকটি স্থগিতাদেশের প্রস্তাব করতে রাজি আছি।’
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত ওই ভাষণে নেতানিয়াহু আরও বলেন, ‘এ প্রস্তাব আমি আগে অন্যভাবে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, এখন সরাসরি বলছি।’
তবে নেতানিয়াহুর এই বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিনিরা। তারা বলেছে, ইসরায়েলকে তারা ইতিমধ্যে স্বীকৃতি দিয়েছে, কাজেই নতুন করে স্বীকৃতি দেওয়ার কিছু নেই।
শান্তি আলোচনায় ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রধান আলোচক সায়েব এরাকাত বলেছেন, মার্কিন মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনা নিয়ে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তার সঙ্গে ইসরায়েলের এই দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।
সায়েব এরাকাত বলেন, ‘আমি আশা করি তিনি (নেতানিয়াহু) এই খেলা বন্ধ করবেন। বসতি স্থাপন বন্ধ করে শান্তি আলোচনা আবার শুরু করবেন।’
১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তির আগে ইসরায়েলকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয় ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাঁদের ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চাইবে না ফিলিস্তিনিরা, কেননা এতে ১৯৮৪ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় শরণার্থী হয়ে পড়া মানুষজনের নিজেদের দেশে ফেরার বিষয়টি কঠিন হয়ে যাবে।
ইসরায়েলকে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি কখনোই মধ্যপ্রাচ্য-সংকট সমাধানের জন্য একান্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেনি। কিন্তু গত বছর নেতানিয়াহু ক্ষমতায় আসার পর থেকে ফিলিস্তিনের সঙ্গে যেকোনো শান্তিচুক্তির জন্য এটাকে অন্যতম শর্ত হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তবে এর মানে এই নয় যে আমি শান্তি আলোচনার জন্য এই বিষয়টিকে শর্ত হিসেবে বেঁধে দিচ্ছি। কিন্ত এতে কোনো সন্দেহ নেই যে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের দিক দিয়ে এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হলে শান্তি আলোচনার বিষয়ে ইসরায়েলি জনগণের মধ্যে আস্থা তৈরি হবে। এতে আশা এবং বিশ্বাসের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে।’
তবে ইসরায়েলের এই প্রস্তাবের বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা আগের অবস্থানেই আছি, আমরা চাই বসতি স্থাপনের ওপর স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হোক।’
ইসরায়েলের হারেৎজ পত্রিকা লিখেছে, ‘তিনি (নেতানিয়াহু) যখন দাবি করেন যে আব্বাস ইসরায়েলকে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিন, তখন তিনি আব্বাসকে রাজনৈতিক আত্মহত্যার প্রস্তাবই দেন।
No comments