সিয়াওবোর নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করতে পারেন তাঁর স্ত্রী
এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী চীনের কারাবন্দী মানবাধিকারকর্মী লিউ সিয়াওবোর পক্ষে নরওয়েতে গিয়ে পুরস্কার গ্রহণ করতে পারেন তাঁর স্ত্রী লিউ সিয়া। গতকাল মঙ্গলবার লিউ সিয়ার বরাত দিয়ে হংকংভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইনফরমেশন সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি এ কথা জানিয়েছে। এদিকে লিউয়ের স্ত্রীকে মুক্তভাবে চলাফেরা করতে দেওয়ার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর লিউয়ের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তিয়েনআনমেন স্কয়ারে নিহত ছাত্রদের স্বজনেরা।
মানবাধিকার সংস্থাটি জানায়, স্ত্রীকে নরওয়েতে গিয়ে পুরস্কার গ্রহণ করতে বলেছেন লিউ। গত রোববার চীনের জিনঝু প্রদেশের কারাগারে স্বামী-স্ত্রীর সাক্ষাতের সময় এ ব্যাপারে তাঁদের কথা হয়। এ বছরের ডিসেম্বরে নরওয়ের রাজধানী অসলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। চীনে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয় লিউকে। রাষ্ট্রবিরোধী নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে গত বছর লিউকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
স্ত্রী লিউ সিয়া বলেন, কারাগারে তাঁর স্বামীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে এবং কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লিউ গ্যাস্ট্রিক ও আলসারে ভুগছেন। তবে তিনি হেপাটাইটিস-বিতে আক্রান্ত কি না, তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। গত সোমবার থেকে লিউকে ভালো খাবার দেওয়া হচ্ছে বলে জানান সিয়া।
স্বামীর সঙ্গে দেখা করে আসার পর থেকে লিউ সিয়াকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে বলে সোমবার দাবি করেছে আরেকটি মানবাধিকার সংস্থা। নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টেও গৃহবন্দিত্বের কথা লিখেছেন সিয়া। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সিয়াকে অবাধে চলাফেরা করতে দেওয়ার জন্য গতকাল চীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে বেইজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র রিচার্ড বুয়ানগান বলেন, ‘একাধিক সংবাদ থেকে আমরা জানতে পেরেছি, লিউ সিয়া বেইজিংয়ে গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের প্রতি দায়বদ্ধতা প্রদর্শন করতে এবং সব চীনা নাগরিকের মানবাধিকার ও স্বাধীনতার মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান জানাতে আমরা চীনকে আহ্বান জানাচ্ছি।’ গত সোমবার ইউরোপের ১০টি দেশের কূটনীতিকেরা সিয়ার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে বাধা দেয় চীনা কর্তৃপক্ষ।
এদিকে তিয়েনআনমেন স্কয়ারে নিহতদের স্বজনদের সংগঠন ‘তিয়েনআনমেন মাদার্স’-এর পক্ষ থেকে লিউ সিয়াওবোর মুক্তি দাবি করা হয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থাটি জানায়, স্ত্রীকে নরওয়েতে গিয়ে পুরস্কার গ্রহণ করতে বলেছেন লিউ। গত রোববার চীনের জিনঝু প্রদেশের কারাগারে স্বামী-স্ত্রীর সাক্ষাতের সময় এ ব্যাপারে তাঁদের কথা হয়। এ বছরের ডিসেম্বরে নরওয়ের রাজধানী অসলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। চীনে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয় লিউকে। রাষ্ট্রবিরোধী নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে গত বছর লিউকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
স্ত্রী লিউ সিয়া বলেন, কারাগারে তাঁর স্বামীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে এবং কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লিউ গ্যাস্ট্রিক ও আলসারে ভুগছেন। তবে তিনি হেপাটাইটিস-বিতে আক্রান্ত কি না, তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। গত সোমবার থেকে লিউকে ভালো খাবার দেওয়া হচ্ছে বলে জানান সিয়া।
স্বামীর সঙ্গে দেখা করে আসার পর থেকে লিউ সিয়াকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে বলে সোমবার দাবি করেছে আরেকটি মানবাধিকার সংস্থা। নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টেও গৃহবন্দিত্বের কথা লিখেছেন সিয়া। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সিয়াকে অবাধে চলাফেরা করতে দেওয়ার জন্য গতকাল চীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে বেইজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র রিচার্ড বুয়ানগান বলেন, ‘একাধিক সংবাদ থেকে আমরা জানতে পেরেছি, লিউ সিয়া বেইজিংয়ে গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের প্রতি দায়বদ্ধতা প্রদর্শন করতে এবং সব চীনা নাগরিকের মানবাধিকার ও স্বাধীনতার মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান জানাতে আমরা চীনকে আহ্বান জানাচ্ছি।’ গত সোমবার ইউরোপের ১০টি দেশের কূটনীতিকেরা সিয়ার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে বাধা দেয় চীনা কর্তৃপক্ষ।
এদিকে তিয়েনআনমেন স্কয়ারে নিহতদের স্বজনদের সংগঠন ‘তিয়েনআনমেন মাদার্স’-এর পক্ষ থেকে লিউ সিয়াওবোর মুক্তি দাবি করা হয়েছে।
No comments