দুই মেরুতে দুই দল
দূর থেকে দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। সাইটস্ক্রিনের সামনে ম্যাচের মতো করে ব্যাটিং অনুশীলন করছে নিউজিল্যান্ড। বোলিং করছেন একগাদা স্পিনার। কিন্তু ড্যানিয়েল ভেট্টোরি ও নাথান ম্যাককালাম ছাড়া নিউজিল্যান্ড দলে তো স্পিনার বলতে আর কেবল স্পিনিং অলরাউন্ডার কেন উইলিয়ামসন! এত স্পিনার তাহলে এলেন কোত্থেকে? রাতারাতি নিউজিল্যান্ড থেকে ডজনখানেক স্পিনার উড়িয়ে আনা হলো নাকি!
কাছে যেতেই ভুল ভাঙল। স্পিন করা যাঁদের কাজ, তাঁরা তো বটেই, দলের ফিল্ডিং কোচ-ম্যানেজারসহ সাপোর্ট স্টাফের সবাই স্পিন বল করছেন। স্পিন-বিষে কিউইরা যেভাবে নীল হচ্ছে, স্পিনারদের এ রকম মেলা খুব একটা অবাক করল না। অবাক করল না ম্যাচের পরদিন গোটা স্কোয়াডের অনুশীলনে চলে আসাও। সাধারণত ম্যাচের পরদিন থাকে ঐচ্ছিক অনুশীলন, একাদশের বাইরে থাকা তিন-চারজন এসে খানিকটা ঘাম ঝরিয়ে চলে যান। কিন্তু ২-০-তে পিছিয়ে থাকা দলের সেই বিলাসিতার সুযোগ কোথায়? কাল সকাল নয়টায়ই তাই মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হাজির পুরো নিউজিল্যান্ড দল।
আর বাংলাদেশ? প্রায় প্রতি সিরিজেই দেখা যায় ম্যাচের পরদিন হোটেলে বিশ্রাম নেয় প্রতিপক্ষ, আর অনেক অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে অনুশীলনে ঘাম ঝরায় বাংলাদেশ দল। কিন্তু এই সিরিজের বাংলাদেশ কি আর সেই বাংলাদেশ! বেলা একটার দিকে অনুশীলনে এলেন কেবল মুশফিকুর রহিম ও রকিবুল হাসান। বাকি সবাই হোটেলে বিশ্রামে। এই দুজনও নেটে ঘণ্টাখানেক ব্যাটিং করে চলে গেলেন। নেই কোচিং স্টাফের কেউ। কোচ জেমি সিডন্স অবশ্য আগের দিনই বলে দিয়েছিলেন, কেউ ব্যাটিং করতে চাইলে তিনি আসতে প্রস্তুত। কিন্তু মুশফিক-রকিবুলরাই কোচকে আর টানেননি। দলের সবাই দারুণ খোশমেজাজে, রাতে ছিল টিম ডিনার। কী মধুর সময়ই না যাচ্ছে!
তাই বলে ভাববেন না দুই ম্যাচ জিতে আয়েশি হয়ে গেছে বাংলাদেশ দল। দুটো ম্যাচ জিততে শক্তি তো আর কম ক্ষয় হয়নি। আবার পূর্ণোদ্যমে মাঠে নামতে কালকের বিশ্রামটা জরুরি ছিল, জানালেন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। শুধু দলের খেলায়ই নয়, বাংলাদেশের বদলে যাওয়া মানসিকতা ফুটে উঠল সাবেক সহ-অধিনায়কের কণ্ঠেও, ‘আজ (গতকাল) ঐচ্ছিক অনুশীলন বলেই অন্যরা আসেনি, পর্যাপ্ত বিশ্রাম সবার জন্যই জরুরি। অনুশীলনের জন্য কালকের (আজ) দিনটা তো আছেই। সিরিজে হারছি না, তাই বলে সিরিজ ড্র করার মানসিকতা আমাদের নেই। আগে হয়তো একটা-দুটো জয় পেলেই আমরা খুশি হয়ে যেতাম। এখন জিততে চাই সিরিজ।’ নিউজিল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে টানা দুটো জয়ের পরও উন্নতির জায়গা দেখছে বাংলাদেশ, সেটাও জানালেন মুশফিকুর।
দুটো হার একটু যেন বদলে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড দলকেও। বাংলাদেশ সফরে আসা সবচেয়ে মিশুক বিদেশি দল কি না, সিরিজের শুরু থেকেই এই নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে ছিল এমন আলোচনা। রাতারাতি তাদের ব্যবহার আমূল বদলে যায়নি, তবে পরাজয়ের ছাপ কিছুটা হলেও পড়েছে আচরণে। কাল মাঠে গিয়েই দলের ম্যানেজার মাইকেল শার্প নিরাপত্তাকর্মীদের বলে দেন, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন না তাঁর দলের কেউ। অনেক অনুরোধের পর রাজি হলেন, তবে কোনো ক্রিকেটার নয়, কথা বললেন দলের ফিল্ডিং কোচ ট্রেন্ট উডহিল।
সিরিজের আগে তারা ছিল নিরঙ্কুশ ফেবারিট, আর এখন লড়াই করছে সিরিজ বাঁচাতে। ফিল্ডিং কোচ জানালেন, স্বাভাবিকভাবেই দলের সবাই খুব হতাশ। পরশু ম্যাচে হারার পর ড্রেসিংরুমেই জরুরি টিম মিটিং সেরে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড দল। সেখানে কী কথা হয়েছে, বলতে চাইলেন না ম্যানেজার শার্প। তবে খোশগল্প যে হয়নি, এটা অনুমান করতে জ্যোতিষী হওয়ার প্রয়োজন নেই। কাল অনুশীলনের সিরিয়াসনেস, সবার প্রত্যয়ী কথাবার্তাই বলে দিচ্ছে, সিরিজ হারের লজ্জা বাঁচাতে পরের দুটো ম্যাচ কিউইরা নিয়েছে ‘জীবন-মরণ বাজি’ হিসেবে।
সাকিবদের চূড়ান্ত পরীক্ষা হয়তো সামনের ম্যাচ দুটোই।
কাছে যেতেই ভুল ভাঙল। স্পিন করা যাঁদের কাজ, তাঁরা তো বটেই, দলের ফিল্ডিং কোচ-ম্যানেজারসহ সাপোর্ট স্টাফের সবাই স্পিন বল করছেন। স্পিন-বিষে কিউইরা যেভাবে নীল হচ্ছে, স্পিনারদের এ রকম মেলা খুব একটা অবাক করল না। অবাক করল না ম্যাচের পরদিন গোটা স্কোয়াডের অনুশীলনে চলে আসাও। সাধারণত ম্যাচের পরদিন থাকে ঐচ্ছিক অনুশীলন, একাদশের বাইরে থাকা তিন-চারজন এসে খানিকটা ঘাম ঝরিয়ে চলে যান। কিন্তু ২-০-তে পিছিয়ে থাকা দলের সেই বিলাসিতার সুযোগ কোথায়? কাল সকাল নয়টায়ই তাই মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হাজির পুরো নিউজিল্যান্ড দল।
আর বাংলাদেশ? প্রায় প্রতি সিরিজেই দেখা যায় ম্যাচের পরদিন হোটেলে বিশ্রাম নেয় প্রতিপক্ষ, আর অনেক অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে অনুশীলনে ঘাম ঝরায় বাংলাদেশ দল। কিন্তু এই সিরিজের বাংলাদেশ কি আর সেই বাংলাদেশ! বেলা একটার দিকে অনুশীলনে এলেন কেবল মুশফিকুর রহিম ও রকিবুল হাসান। বাকি সবাই হোটেলে বিশ্রামে। এই দুজনও নেটে ঘণ্টাখানেক ব্যাটিং করে চলে গেলেন। নেই কোচিং স্টাফের কেউ। কোচ জেমি সিডন্স অবশ্য আগের দিনই বলে দিয়েছিলেন, কেউ ব্যাটিং করতে চাইলে তিনি আসতে প্রস্তুত। কিন্তু মুশফিক-রকিবুলরাই কোচকে আর টানেননি। দলের সবাই দারুণ খোশমেজাজে, রাতে ছিল টিম ডিনার। কী মধুর সময়ই না যাচ্ছে!
তাই বলে ভাববেন না দুই ম্যাচ জিতে আয়েশি হয়ে গেছে বাংলাদেশ দল। দুটো ম্যাচ জিততে শক্তি তো আর কম ক্ষয় হয়নি। আবার পূর্ণোদ্যমে মাঠে নামতে কালকের বিশ্রামটা জরুরি ছিল, জানালেন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। শুধু দলের খেলায়ই নয়, বাংলাদেশের বদলে যাওয়া মানসিকতা ফুটে উঠল সাবেক সহ-অধিনায়কের কণ্ঠেও, ‘আজ (গতকাল) ঐচ্ছিক অনুশীলন বলেই অন্যরা আসেনি, পর্যাপ্ত বিশ্রাম সবার জন্যই জরুরি। অনুশীলনের জন্য কালকের (আজ) দিনটা তো আছেই। সিরিজে হারছি না, তাই বলে সিরিজ ড্র করার মানসিকতা আমাদের নেই। আগে হয়তো একটা-দুটো জয় পেলেই আমরা খুশি হয়ে যেতাম। এখন জিততে চাই সিরিজ।’ নিউজিল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে টানা দুটো জয়ের পরও উন্নতির জায়গা দেখছে বাংলাদেশ, সেটাও জানালেন মুশফিকুর।
দুটো হার একটু যেন বদলে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড দলকেও। বাংলাদেশ সফরে আসা সবচেয়ে মিশুক বিদেশি দল কি না, সিরিজের শুরু থেকেই এই নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে ছিল এমন আলোচনা। রাতারাতি তাদের ব্যবহার আমূল বদলে যায়নি, তবে পরাজয়ের ছাপ কিছুটা হলেও পড়েছে আচরণে। কাল মাঠে গিয়েই দলের ম্যানেজার মাইকেল শার্প নিরাপত্তাকর্মীদের বলে দেন, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন না তাঁর দলের কেউ। অনেক অনুরোধের পর রাজি হলেন, তবে কোনো ক্রিকেটার নয়, কথা বললেন দলের ফিল্ডিং কোচ ট্রেন্ট উডহিল।
সিরিজের আগে তারা ছিল নিরঙ্কুশ ফেবারিট, আর এখন লড়াই করছে সিরিজ বাঁচাতে। ফিল্ডিং কোচ জানালেন, স্বাভাবিকভাবেই দলের সবাই খুব হতাশ। পরশু ম্যাচে হারার পর ড্রেসিংরুমেই জরুরি টিম মিটিং সেরে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড দল। সেখানে কী কথা হয়েছে, বলতে চাইলেন না ম্যানেজার শার্প। তবে খোশগল্প যে হয়নি, এটা অনুমান করতে জ্যোতিষী হওয়ার প্রয়োজন নেই। কাল অনুশীলনের সিরিয়াসনেস, সবার প্রত্যয়ী কথাবার্তাই বলে দিচ্ছে, সিরিজ হারের লজ্জা বাঁচাতে পরের দুটো ম্যাচ কিউইরা নিয়েছে ‘জীবন-মরণ বাজি’ হিসেবে।
সাকিবদের চূড়ান্ত পরীক্ষা হয়তো সামনের ম্যাচ দুটোই।
No comments