এডিবির সঙ্গে ১০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষর
ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির সংযোগ লাইন নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ সরকার এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছ থেকে ১০ কোটি ডলার বা ৭০০ কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে। গতকাল বুধবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে এ ঋণের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে ঋণচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোশাররফ হোসেন। এডিবির পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক থিবা কুমার কানদিয়া।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে এই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এডিবির থিবা কানদিয়া বলেন, এই প্রকল্প দক্ষিণ এশিয়ায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সহযোগিতার দুয়ার খুলে দিয়েছে। এতে দক্ষিণ এশিয়ার বিদ্যুতের আরও দক্ষ ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠবে এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা ও বাণিজ্য বাড়বে।
প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ কোটি ৮৬ লাখ ডলার বা এক হাজার ১১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১০ কোটি ডলার বা ৭০০ কোটি টাকা দেবে এডিবি।
আর বাকি পাঁচ কোটি ৮৬ লাখ ডলার বা ৪১০ কোটি টাকা সরকারকেই জোগান দিতে হবে।
এডিবির কাছ থেকে ৩২ বছর মেয়াদে এই ঋণ নেওয়া হচ্ছে। প্রথম আট বছর আসলের কিস্তি পরিশোধ করতে হবে না। তবে এ সময় বছরে ১ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। পরবর্তী ২৪ বছরে দেড় শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে আসলের কিস্তি পরিশোধসহ।
এই প্রকল্পের অধীনে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আনতে গিয়ে ৪০০ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন ৪০ কিলোমিটার ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সাবস্টেশন তৈরি হবে। প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০১৩ সালে।
এ ছাড়া একই অনুষ্ঠানে উচ্চমানের সবজি, মসলা ও ফলমূল চাষাবাদের জন্য সহায়তা হিসেবে এডিবির সঙ্গে চার কোটি ডলারের আরেকটি ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।
শস্য বহুমুখীকরণ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের আওতায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে এসব চাষাবাদে এই ঋণের অর্থ ব্যবহার করা হবে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় গত ১১ জানুয়ারি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার উদ্দেশ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। তারপর দুই দেশের বিদ্যুৎ সচিব পর্যায়ের যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির দুটি এবং যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বাধীন যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের দুটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর মাত্র সাড়ে ছয় মাসের মাথায় ২৬ জুলাই বিদ্যুৎ আমদানির অবকাঠামো নির্মাণের অংশ হিসেবে দুই দেশের মধ্যে ৩৫ বছর মেয়াদি বিদ্যুৎ সঞ্চালনের একটি চুক্তি সই হয়। ওই চুক্তির আওতায় ২০১২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ভেড়ামারা দিয়ে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হবে।
বাংলাদেশের পক্ষে ঋণচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোশাররফ হোসেন। এডিবির পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক থিবা কুমার কানদিয়া।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে এই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এডিবির থিবা কানদিয়া বলেন, এই প্রকল্প দক্ষিণ এশিয়ায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সহযোগিতার দুয়ার খুলে দিয়েছে। এতে দক্ষিণ এশিয়ার বিদ্যুতের আরও দক্ষ ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠবে এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা ও বাণিজ্য বাড়বে।
প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ কোটি ৮৬ লাখ ডলার বা এক হাজার ১১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১০ কোটি ডলার বা ৭০০ কোটি টাকা দেবে এডিবি।
আর বাকি পাঁচ কোটি ৮৬ লাখ ডলার বা ৪১০ কোটি টাকা সরকারকেই জোগান দিতে হবে।
এডিবির কাছ থেকে ৩২ বছর মেয়াদে এই ঋণ নেওয়া হচ্ছে। প্রথম আট বছর আসলের কিস্তি পরিশোধ করতে হবে না। তবে এ সময় বছরে ১ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। পরবর্তী ২৪ বছরে দেড় শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে আসলের কিস্তি পরিশোধসহ।
এই প্রকল্পের অধীনে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আনতে গিয়ে ৪০০ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন ৪০ কিলোমিটার ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সাবস্টেশন তৈরি হবে। প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০১৩ সালে।
এ ছাড়া একই অনুষ্ঠানে উচ্চমানের সবজি, মসলা ও ফলমূল চাষাবাদের জন্য সহায়তা হিসেবে এডিবির সঙ্গে চার কোটি ডলারের আরেকটি ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।
শস্য বহুমুখীকরণ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের আওতায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে এসব চাষাবাদে এই ঋণের অর্থ ব্যবহার করা হবে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় গত ১১ জানুয়ারি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার উদ্দেশ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। তারপর দুই দেশের বিদ্যুৎ সচিব পর্যায়ের যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির দুটি এবং যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বাধীন যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের দুটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর মাত্র সাড়ে ছয় মাসের মাথায় ২৬ জুলাই বিদ্যুৎ আমদানির অবকাঠামো নির্মাণের অংশ হিসেবে দুই দেশের মধ্যে ৩৫ বছর মেয়াদি বিদ্যুৎ সঞ্চালনের একটি চুক্তি সই হয়। ওই চুক্তির আওতায় ২০১২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ভেড়ামারা দিয়ে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হবে।
No comments