হোয়াইটওয়াশও হয় অস্ট্রেলিয়া
হাতে সময় ছিল বিস্তর। কিন্তু তর সইছিল না তাঁর। টানা পাঁচ বল ডট হওয়ার পর একটু অস্থিরই যেন দেখাল। ষষ্ঠ বলে প্যাডেল সুইপ করে ছুটলেন চিতার ক্ষিপ্রতায়। জোরে দৌড়ে দুই রান নিয়ে ছুঁয়ে ফেললেন জয়ের ফিনিশিং লাইন। এরপর শূন্যে হাত ছুড়ে যেভাবে জয় উদ্যাপন করলেন, এতটা আবেগমথিত শচীন টেন্ডুলকার আসলেই বিরল। প্রবল প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজের সম্ভাব্য শেষ টেস্ট সিরিজটায় হোয়াইটওয়াশের আনন্দের সঙ্গে যে মিলে গিয়েছিল তাঁর ব্যাটেই জয়ের বন্দরে পৌঁছানোর উচ্ছ্বাস!
ম্যাচ শেষে দুটো স্টাম্প উপড়ে নিলেন জয়ের স্মারক হিসেবে। সবকিছুই টেন্ডুলকার পেলেন আসলে বেশি বেশি। ম্যাচ-সেরার পাশাপাশি সিরিজ-সেরার পুরস্কারও উঠল তাঁরই হাতে। ব্যাঙ্গালোর টেস্টটা ৭ উইকেটে জিতে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ করার গর্ব নিয়ে মাঠ ছাড়ল ধোনির দল। বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ের মতো দুর্বল প্রতিপক্ষ বাদ দিলে মাত্র তৃতীয়বারের মতো সিরিজের সবগুলো ম্যাচ জিতল ভারত।
মোহালি টেস্টের মতো অবশ্য প্রত্যাশিত নাটক জমেনি শেষ দিনে। আগের দিনের সঙ্গে আর ২১ রান যোগ করেই শেষ তিন উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ২২৩ রানে অলআউট হওয়ায় ভারতের সামনে লক্ষ্যস্থির হয় মাত্র ২০৭ রানের। দিনের তখনো ৮০ ওভারের মতো খেলা বাকি।
তার পরও ভারতের জন্য জয়টা সহজ হবে বলে অনুমান করা কষ্টকর ছিল। একে তো ব্যাঙ্গালোরের সঙ্গে ভারতের বৈরী সম্পর্ক, ১৫ বছর ধরে এ মাঠে জিততে না পারার ব্যর্থতা, তার ওপর বল রিভার্স সুইংও করছিল। মূল হুমকি শেবাগকে মাত্র ৭ রান করে ফিরিয়েও দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। অন্য ওপেনার মুরালি বিজয়ও ৩৭ রান করে ফিরে গেলে নাটক সত্যিই জমে ওঠার আভাস দিচ্ছিল চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম।
কিন্তু রাহুল দ্রাবিড়ের একক সম্পত্তি হয়ে যাওয়া তিন নম্বর জায়গাটায় ব্যাট হাতে নেমেছিলেন যে ২২ বছর বয়সী তরুণ, নিজেকে প্রমাণের শেষ সুযোগটা হাতছাড়া করতে রাজি ছিলেন না মোটেই। ৮৯ বলে খেলা ৭২ রানের ইনিংসটায় চেতেশ্বর পূজারা এই ম্যাচের ফলাফলটাই শুধু নির্ধারণ করে দিলেন না, একাদশে স্থায়ী জায়গার দাবিও জানিয়ে রাখলেন।
কিন্তু তখনো ছবিটায় শেষ তুলির আঁচড় বাকি ছিল। যোগ্যতম শিল্পীটাই নেমে পড়লেন তুলি হাতে। প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ডাবল সেঞ্চুরি করা টেন্ডুলকার এবার করলেন অপরাজিত ফিফটি। তাঁর সৌজন্যেই বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিটা আরও একবার হাতে তুললেন ধোনি।
খোদ গাভাস্কারের হাত থেকেই ট্রফিটা বুঝে নিয়েছেন ভারত অধিনায়ক। এর আগে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় টেন্ডুলকারকে প্রশংসার বৃষ্টিতে ভিজিয়েছেন। ব্যাটিং মায়েস্ত্রো নিজে অবশ্য কৃতিত্ব ভাগ করে দিয়েছেন পুরো দলকে। বিশেষ করে তিন নম্বরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নেমে খেলা ইনিংসটার জন্য পিঠ চাপড়ে দিলেন পূজারাকে।
হোয়াইটওয়াশের লজ্জার পর পন্টিংয়ের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। শেন ওয়ার্ন এরই মধ্যে প্রশ্ন তুলেছেনও। যদিও পন্টিং বলছেন, ‘এই সিরিজে আমরাও ভালো খেলেছি। সমস্যা হলো ভারত আমাদের চেয়ে আরও বেশি ভালো খেলেছে।’
ম্যাচ শেষে দুটো স্টাম্প উপড়ে নিলেন জয়ের স্মারক হিসেবে। সবকিছুই টেন্ডুলকার পেলেন আসলে বেশি বেশি। ম্যাচ-সেরার পাশাপাশি সিরিজ-সেরার পুরস্কারও উঠল তাঁরই হাতে। ব্যাঙ্গালোর টেস্টটা ৭ উইকেটে জিতে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ করার গর্ব নিয়ে মাঠ ছাড়ল ধোনির দল। বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ের মতো দুর্বল প্রতিপক্ষ বাদ দিলে মাত্র তৃতীয়বারের মতো সিরিজের সবগুলো ম্যাচ জিতল ভারত।
মোহালি টেস্টের মতো অবশ্য প্রত্যাশিত নাটক জমেনি শেষ দিনে। আগের দিনের সঙ্গে আর ২১ রান যোগ করেই শেষ তিন উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ২২৩ রানে অলআউট হওয়ায় ভারতের সামনে লক্ষ্যস্থির হয় মাত্র ২০৭ রানের। দিনের তখনো ৮০ ওভারের মতো খেলা বাকি।
তার পরও ভারতের জন্য জয়টা সহজ হবে বলে অনুমান করা কষ্টকর ছিল। একে তো ব্যাঙ্গালোরের সঙ্গে ভারতের বৈরী সম্পর্ক, ১৫ বছর ধরে এ মাঠে জিততে না পারার ব্যর্থতা, তার ওপর বল রিভার্স সুইংও করছিল। মূল হুমকি শেবাগকে মাত্র ৭ রান করে ফিরিয়েও দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। অন্য ওপেনার মুরালি বিজয়ও ৩৭ রান করে ফিরে গেলে নাটক সত্যিই জমে ওঠার আভাস দিচ্ছিল চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম।
কিন্তু রাহুল দ্রাবিড়ের একক সম্পত্তি হয়ে যাওয়া তিন নম্বর জায়গাটায় ব্যাট হাতে নেমেছিলেন যে ২২ বছর বয়সী তরুণ, নিজেকে প্রমাণের শেষ সুযোগটা হাতছাড়া করতে রাজি ছিলেন না মোটেই। ৮৯ বলে খেলা ৭২ রানের ইনিংসটায় চেতেশ্বর পূজারা এই ম্যাচের ফলাফলটাই শুধু নির্ধারণ করে দিলেন না, একাদশে স্থায়ী জায়গার দাবিও জানিয়ে রাখলেন।
কিন্তু তখনো ছবিটায় শেষ তুলির আঁচড় বাকি ছিল। যোগ্যতম শিল্পীটাই নেমে পড়লেন তুলি হাতে। প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ডাবল সেঞ্চুরি করা টেন্ডুলকার এবার করলেন অপরাজিত ফিফটি। তাঁর সৌজন্যেই বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিটা আরও একবার হাতে তুললেন ধোনি।
খোদ গাভাস্কারের হাত থেকেই ট্রফিটা বুঝে নিয়েছেন ভারত অধিনায়ক। এর আগে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় টেন্ডুলকারকে প্রশংসার বৃষ্টিতে ভিজিয়েছেন। ব্যাটিং মায়েস্ত্রো নিজে অবশ্য কৃতিত্ব ভাগ করে দিয়েছেন পুরো দলকে। বিশেষ করে তিন নম্বরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নেমে খেলা ইনিংসটার জন্য পিঠ চাপড়ে দিলেন পূজারাকে।
হোয়াইটওয়াশের লজ্জার পর পন্টিংয়ের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। শেন ওয়ার্ন এরই মধ্যে প্রশ্ন তুলেছেনও। যদিও পন্টিং বলছেন, ‘এই সিরিজে আমরাও ভালো খেলেছি। সমস্যা হলো ভারত আমাদের চেয়ে আরও বেশি ভালো খেলেছে।’
No comments