চিটাগাং কেমিক্যাল কমপ্লেক্স এ বছরই চালু হতে পারে
চিটাগাং কেমিক্যাল কমপ্লেক্স এ বছরই চালু হতে পারে। শিল্প মন্ত্রণালয়ে গত সপ্তাহে এ নিয়ে বৈঠক হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই কমপ্লেক্স চালু করার বিষয়ে চার সদস্যের যে কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছিল তার প্রতিবেদন প্রস্তুতও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কিছু কারিগরি ও আর্থিক বিষয়ে আলোচনা চলছে। এগুলো চূড়ান্ত হলেই আনুষ্ঠানিকভাবে মিলটি চালুর ঘোষণা দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তবে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘এ বছরই মিলটি চালু হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী যে কমিটি করে দিয়েছেন, তাদের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করি দ্রুত মিলটির কার্যক্রম আবারও শুরু হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ৩ মে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে একটি কমিটি গঠন করা হয়, যেখানে সদস্য হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি রাখা হয়েছে।
সরকারি প্রজ্ঞাপনে কমিটির কার্যপরিধি সম্পর্কে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি চালু করা হলে সার্বিক উৎপাদন, পরিচালনা, লাভ-লোকসান পর্যালোচনা, উৎপাদিত পণ্যের ব্যয় এবং সম্ভাব্য বাজার কী হতে পারে, কমিটি সেসব বিষয় বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন তৈরি করবে।
এ ছাড়া চিটাগাং কেমিক্যাল কমপ্লেক্সের আর্থিক ব্যবস্থাপনার বাণিজ্যিক সংস্কার সাধনের প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবে তারা।
এই কমিটিকে ৯০ দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেশের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন তৈরির কাজ শেষ করা যায়নি। তবে অচিরেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
১৯৬৫ সালে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রায় ৯২ একর জমির ওপর বার্ষিক প্রায় ২২ হাজার টন রাসায়নিক পণ্য উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন চিটাগাং কেমিক্যাল কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়।
এখানে সাত হাজার টন কস্টিক সোডা, চার হাজার ৬০০ টন তরল ক্লোরিন, সাত হাজার টন হাইড্রোলিক অ্যাসিড, ৬০০ টন ব্লিচিং পাউডার এবং দুই হাজার ৪০০ টন ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্লোরাইড উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। দীর্ঘ তিন দশকের ওপরে প্রতিষ্ঠানটি লাভজনকভাবে চালু ছিল।
কিন্তু সরকার বিরাষ্ট্রীকরণ নীতি অনুসরণ করতে গিয়ে ২০০২ সালে কারখানাটির উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। আর ২০০৩ সালে শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয় চিটাগাং কেমিক্যাল কমপ্লেক্স।
এরপর দীর্ঘ সাত বছর প্রতিষ্ঠানটির জায়গাজমি ও যন্ত্রপাতি সম্পূর্ণ অব্যবহূত অবস্থায় পড়েছিল।
বিগত জোট সরকার অবশ্য একাধিকবার কারখানাটি বিক্রির উদ্যোগ নেয়। তবে তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর নতুন করে মিলটি আবারও চালু করার ঘোষণা দেয়। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হওয়ার পর মিলটি এখনো চালু করতে পারেনি সরকার।
এদিকে বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প করপোরেশন (বিসিআইসি) সূত্রে জানা যায়, সংস্থার দেওয়া ২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগের একটি প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে। যন্ত্রপাতি সংস্কার ও কারখানাটি নতুনভাবে চালু করার জন্য বিসিআইসি নিজস্ব তহবিল থেকে এই বিনিয়োগ করার প্রস্তাব দেয়।
প্রস্তাব অনুযায়ী কারখানাটি চালু হলে প্রাথমিক পর্যায়ে ২১ কোটি টাকার পণ্যসামগ্রী উৎপাদন হবে এবং তা থেকে প্রতিবছর এক কোটি টাকা মুনাফা হবে। নতুন করে কর্মসংস্থান হবে ২৫০ জন লোকের।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই কমপ্লেক্স চালু করার বিষয়ে চার সদস্যের যে কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছিল তার প্রতিবেদন প্রস্তুতও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কিছু কারিগরি ও আর্থিক বিষয়ে আলোচনা চলছে। এগুলো চূড়ান্ত হলেই আনুষ্ঠানিকভাবে মিলটি চালুর ঘোষণা দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তবে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘এ বছরই মিলটি চালু হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী যে কমিটি করে দিয়েছেন, তাদের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করি দ্রুত মিলটির কার্যক্রম আবারও শুরু হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ৩ মে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে একটি কমিটি গঠন করা হয়, যেখানে সদস্য হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি রাখা হয়েছে।
সরকারি প্রজ্ঞাপনে কমিটির কার্যপরিধি সম্পর্কে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি চালু করা হলে সার্বিক উৎপাদন, পরিচালনা, লাভ-লোকসান পর্যালোচনা, উৎপাদিত পণ্যের ব্যয় এবং সম্ভাব্য বাজার কী হতে পারে, কমিটি সেসব বিষয় বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন তৈরি করবে।
এ ছাড়া চিটাগাং কেমিক্যাল কমপ্লেক্সের আর্থিক ব্যবস্থাপনার বাণিজ্যিক সংস্কার সাধনের প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবে তারা।
এই কমিটিকে ৯০ দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেশের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন তৈরির কাজ শেষ করা যায়নি। তবে অচিরেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
১৯৬৫ সালে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রায় ৯২ একর জমির ওপর বার্ষিক প্রায় ২২ হাজার টন রাসায়নিক পণ্য উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন চিটাগাং কেমিক্যাল কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়।
এখানে সাত হাজার টন কস্টিক সোডা, চার হাজার ৬০০ টন তরল ক্লোরিন, সাত হাজার টন হাইড্রোলিক অ্যাসিড, ৬০০ টন ব্লিচিং পাউডার এবং দুই হাজার ৪০০ টন ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্লোরাইড উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। দীর্ঘ তিন দশকের ওপরে প্রতিষ্ঠানটি লাভজনকভাবে চালু ছিল।
কিন্তু সরকার বিরাষ্ট্রীকরণ নীতি অনুসরণ করতে গিয়ে ২০০২ সালে কারখানাটির উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। আর ২০০৩ সালে শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয় চিটাগাং কেমিক্যাল কমপ্লেক্স।
এরপর দীর্ঘ সাত বছর প্রতিষ্ঠানটির জায়গাজমি ও যন্ত্রপাতি সম্পূর্ণ অব্যবহূত অবস্থায় পড়েছিল।
বিগত জোট সরকার অবশ্য একাধিকবার কারখানাটি বিক্রির উদ্যোগ নেয়। তবে তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর নতুন করে মিলটি আবারও চালু করার ঘোষণা দেয়। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হওয়ার পর মিলটি এখনো চালু করতে পারেনি সরকার।
এদিকে বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প করপোরেশন (বিসিআইসি) সূত্রে জানা যায়, সংস্থার দেওয়া ২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগের একটি প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে। যন্ত্রপাতি সংস্কার ও কারখানাটি নতুনভাবে চালু করার জন্য বিসিআইসি নিজস্ব তহবিল থেকে এই বিনিয়োগ করার প্রস্তাব দেয়।
প্রস্তাব অনুযায়ী কারখানাটি চালু হলে প্রাথমিক পর্যায়ে ২১ কোটি টাকার পণ্যসামগ্রী উৎপাদন হবে এবং তা থেকে প্রতিবছর এক কোটি টাকা মুনাফা হবে। নতুন করে কর্মসংস্থান হবে ২৫০ জন লোকের।
No comments