ঐতিহাসিক মুহূর্তের অপেক্ষা
বাংলাদেশ আজ এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে, যেখানে এর আগে কখনোই আমরা দাঁড়াতে পারিনি। হ্যাঁ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলের বিপক্ষেও আমরা সিরিজ জিতেছি। কিন্তু সেই দলের সঙ্গে এই নিউজিল্যান্ডের কোনো তুলনা চলে না। এই প্রথম আমরা সত্যিকারের একটা বড় দলের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে সিরিজ জয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি।
বাংলাদেশ দল যেন খেলছে, সেটা আমার চোখে প্রায় নিখুঁত ক্রিকেট; অন্তত আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে। তাই এ অবস্থায় দলের প্রতি কোনো উপদেশ চলে না। শুধু ঐতিহাসিক এই সময়ের জন্য কিছু টিপস দেওয়া যাক খেলোয়াড়দের—
যা করতে হবে
খেলাটা উপভোগ করো। আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগছে আমাদের দলের শারীরিক ভাষাটা। বোঝাই যাচ্ছে, খেলা খুব উপভোগ করছে ওরা। সিরিজে কী হবে না হবে, ভুলে যাও। যদিও আমি স্বপ্ন দেখছি, আজই সিরিজ জিতে যাব আমরা। কিন্তু দল যেন সেটা ভুলে শুধু ক্রিকেট উপভোগ করতে মাঠে নামে।
ইতিবাচক চিন্তা করতে হবে। এখন আর এই দলটাকে ইতিবাচক চিন্তা করা শেখানোর কিছু নেই। দুই ম্যাচেই এই চিন্তার প্রতিফলন দেখলাম। সেটা ধরে রাখলেই হবে।
ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু ধরে রাখতে হবে। তামিম না থাকায় ওপেনিং নিয়ে অনেকেই একটু চিন্তায় পড়েছিল। কিন্তু শাহরিয়ার নাফীস প্রমাণ করে দিয়েছে, সে আগের চেয়েও বেশি কার্যকর ব্যাটসম্যান। নাফীস ও ইমরুল গত দুই ম্যাচে যেমন শুরু করে দিয়েছে সেটা করতে হবে।
রস টেলর, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও ড্যানিয়েল ভেট্টোরির ওপর চোখ রাখতে হবে। নিউজিল্যান্ড দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে টেলর ও ভেট্টোরি সবচেয়ে ভালো স্পিন খেলে। আইপিএলের কল্যাণে ম্যাককালামও ভালো খেলছে। ভেট্টোরি ও ম্যাককালাম এখনো পর্যন্ত খুব বিপদ হতে পারেনি। টেলর কিন্তু দুই ম্যাচেই রান পেয়েছে। ফলে এই তিন ব্যাটসম্যানকে দ্রুত ফেরাতে হবে। অবশ্য টেলর একা রান করে গেলে অন্য প্রান্তে কেউ না থাকলে ওরা আর কী-ই বা করবে!
গেমপ্ল্যান যেন এমনই থাকে। সিরিজ জয়ের কাছাকাছি বলে পরিকল্পনায় বৈপ্লবিক কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না। এখন পর্যন্ত দুটি ম্যাচেই আমাদের পরিকল্পনা দারুণ মনে হয়েছে। ফলে ওটা থেকে সরে যাওয়ার কোনো কারণ নেই।
যা করা যাবে না
আতঙ্কিত হওয়া চলবে না। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা স্পিন নিয়ে অনেক কাজ করছে। যেকোনো একজন বা দুজন আজ রান পেয়ে যেতেই পারে। তাতে একটুও আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। আমাদের ব্যাটিংও খুব ভালো। ভয় পাওয়ার কারণ নেই।
দ্রুত উইকেট পড়ে গেলেও হাল ছাড়া যাবে না। জুটি গড়তেই হবে। নিজেদের ওপর বিশ্বাস হারানো চলবে না। ব্যাটিং খারাপ হলেও বা ভয়ের কী! বোলাররা ম্যাচে ফেরাতে পারবে।
নিউজিল্যান্ডকে অতিমূল্যায়ন আর কেউ করবে বলে মনে হয় না। তবে অবমূল্যায়ন বা ওদের ছোট করে দেখা যেন না হয়। নিউজিল্যান্ড কিন্তু হেলাফেলা করার দল নয়।
পাওয়ার প্লেতে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা নয়। পাওয়ার প্লে ছাড়া আমাদের বোলাররা দারুণ করছে। এখানে বৈচিত্র্য আনতে গিয়ে ‘লুজ বল’ করা যাবে না।
বাংলাদেশ দল যেন খেলছে, সেটা আমার চোখে প্রায় নিখুঁত ক্রিকেট; অন্তত আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে। তাই এ অবস্থায় দলের প্রতি কোনো উপদেশ চলে না। শুধু ঐতিহাসিক এই সময়ের জন্য কিছু টিপস দেওয়া যাক খেলোয়াড়দের—
যা করতে হবে
খেলাটা উপভোগ করো। আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগছে আমাদের দলের শারীরিক ভাষাটা। বোঝাই যাচ্ছে, খেলা খুব উপভোগ করছে ওরা। সিরিজে কী হবে না হবে, ভুলে যাও। যদিও আমি স্বপ্ন দেখছি, আজই সিরিজ জিতে যাব আমরা। কিন্তু দল যেন সেটা ভুলে শুধু ক্রিকেট উপভোগ করতে মাঠে নামে।
ইতিবাচক চিন্তা করতে হবে। এখন আর এই দলটাকে ইতিবাচক চিন্তা করা শেখানোর কিছু নেই। দুই ম্যাচেই এই চিন্তার প্রতিফলন দেখলাম। সেটা ধরে রাখলেই হবে।
ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু ধরে রাখতে হবে। তামিম না থাকায় ওপেনিং নিয়ে অনেকেই একটু চিন্তায় পড়েছিল। কিন্তু শাহরিয়ার নাফীস প্রমাণ করে দিয়েছে, সে আগের চেয়েও বেশি কার্যকর ব্যাটসম্যান। নাফীস ও ইমরুল গত দুই ম্যাচে যেমন শুরু করে দিয়েছে সেটা করতে হবে।
রস টেলর, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও ড্যানিয়েল ভেট্টোরির ওপর চোখ রাখতে হবে। নিউজিল্যান্ড দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে টেলর ও ভেট্টোরি সবচেয়ে ভালো স্পিন খেলে। আইপিএলের কল্যাণে ম্যাককালামও ভালো খেলছে। ভেট্টোরি ও ম্যাককালাম এখনো পর্যন্ত খুব বিপদ হতে পারেনি। টেলর কিন্তু দুই ম্যাচেই রান পেয়েছে। ফলে এই তিন ব্যাটসম্যানকে দ্রুত ফেরাতে হবে। অবশ্য টেলর একা রান করে গেলে অন্য প্রান্তে কেউ না থাকলে ওরা আর কী-ই বা করবে!
গেমপ্ল্যান যেন এমনই থাকে। সিরিজ জয়ের কাছাকাছি বলে পরিকল্পনায় বৈপ্লবিক কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না। এখন পর্যন্ত দুটি ম্যাচেই আমাদের পরিকল্পনা দারুণ মনে হয়েছে। ফলে ওটা থেকে সরে যাওয়ার কোনো কারণ নেই।
যা করা যাবে না
আতঙ্কিত হওয়া চলবে না। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা স্পিন নিয়ে অনেক কাজ করছে। যেকোনো একজন বা দুজন আজ রান পেয়ে যেতেই পারে। তাতে একটুও আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। আমাদের ব্যাটিংও খুব ভালো। ভয় পাওয়ার কারণ নেই।
দ্রুত উইকেট পড়ে গেলেও হাল ছাড়া যাবে না। জুটি গড়তেই হবে। নিজেদের ওপর বিশ্বাস হারানো চলবে না। ব্যাটিং খারাপ হলেও বা ভয়ের কী! বোলাররা ম্যাচে ফেরাতে পারবে।
নিউজিল্যান্ডকে অতিমূল্যায়ন আর কেউ করবে বলে মনে হয় না। তবে অবমূল্যায়ন বা ওদের ছোট করে দেখা যেন না হয়। নিউজিল্যান্ড কিন্তু হেলাফেলা করার দল নয়।
পাওয়ার প্লেতে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা নয়। পাওয়ার প্লে ছাড়া আমাদের বোলাররা দারুণ করছে। এখানে বৈচিত্র্য আনতে গিয়ে ‘লুজ বল’ করা যাবে না।
No comments