খোলসবন্দী নিউজিল্যান্ড
নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা মাঠে নামতেই হাতে ভীষণদর্শন ওয়াকিটকি নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে ছুটে এলেন এক ভদ্রলোক। তিনি বিসিবির নিরাপত্তা কমিটির কেউ হয়তো। চোখমুখ শক্ত করে ইংরেজিতে যা বললেন, তার সারমর্ম—নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা কোনো সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলবেন না। কোনো সাংবাদিক যেন তাঁদের ‘জেরা’ না করেন!
‘জেরা’ শব্দটা ভদ্রলোক নিজে বললেন, নাকি নিউজিল্যান্ডের কর্তৃপক্ষই বলেছে, বোঝা গেল না। তবে এটা ঠিক, ‘ব্ল্যাক ক্যাপস’দের কাছে সাংবাদিকদের প্রতিটি প্রশ্ন এখন ‘জেরা’র মতো মনে হচ্ছে। এই জিজ্ঞাসাবাদের হাত থেকে মুক্তি পেতে চায় তারা!
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটাররা হঠাত্ এমন মুক্তিপাগল কেন হয়ে উঠলেন, সেটা বুঝতে মোটেও আইনস্টাইন হতে হয় না। সিরিজ জয়টাকে রাডারে নিয়ে বেচারারা বাংলাদেশে এসেছিল উপমহাদেশীয় কন্ডিশনের সঙ্গে পরিচিত হতে, বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে। আহা, কী প্রস্তুতিই না হলো!
যে বাংলাদেশকে এত কাল অবহেলে, গুনে গুনে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড; সেই বাংলাদেশই কি না পর পর দুই ম্যাচে তাদের হারিয়ে সিরিজ জয়ের পথে! নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা কেন ‘জেরা’ থেকে মুক্তি চাইবেন না?
ক্রিকেটাররা তো কথা বললেনই না। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের অমায়িক ম্যানেজার মাইকেল শার্পও কথা বলার সময় কৃপণ। কথা বলতে গেলে যে শার্প একগাল হাসি নিয়ে এগিয়ে আসেন, কাল তাঁর মুখের হাসি থাকল বিষণ্নতায় ভরা।
হেসেই বললেন, ‘আমরা বিসিবিকে তো বলে দিয়েছি, আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা হবে না।’ কেন হবে না? হতাশা, নাকি চাপ! ‘তোমার যেটা খুশি অনুমান করতে পারো। হতাশা তো আছেই’—এবার শার্পের কথাতেই মূর্ত নিউজিল্যান্ডের অবস্থাটা।
আসলে হতাশ হওয়ার বাস্তব কারণও আছে। এই দলটি কখনোই বিশ্বসেরাদের কাতারে ছিল না। কিন্তু একেবারে ‘ফেলনা’ দলও তারা নয়। নিউজিল্যান্ডকে ‘ক্রিকেটের জার্মানি’ বলতে পারেন। জার্মানির মতো বিশ্বকাপ ট্রফি তারা ছুয়ে দেখতে পারেনি। তবে ইউরোপের ফুটবল পরাশক্তির মতোই ধারাবাহিকতা আছে নিউজিল্যান্ডের।
এ পর্যন্ত ৯টি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ৫টিরই সেমিফাইনাল খেলেছে নিউজিল্যান্ড, প্রথম বিশ্বকাপেই তারা সেমিফাইনালে খেলেছে। এ পর্যন্ত খেলা ৫৯০টি ওয়ানডেতে ২৯৮টি পরাজয়ের বিপরীতে ২৫৬টি জয় আছে। মানে, বেশ ধারাবাহিক দল।
কিন্তু সেই দলটিই কিছুদিন ধরে জিততে ভুলে গেছে। গত ১০ ম্যাচে ২টি মাত্র জয় তাদের। কারণ হিসেবে বলতে পারেন, নিউজিল্যান্ড গত বছর কয়েক তাদের সবচেয়ে কার্যকর খেলোয়াড়দের অনেককেই হারিয়ে প্রায় রিক্ত। তার পরও তো ভেট্টোরি, ম্যাককালাম, রস টেলররা আছেন। তাঁরা কী করছেন?
এই প্রশ্নের উত্তর নিশ্চয়ই ভেট্টোরিদের কুরে কুরে খাচ্ছে। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে মিলে সিরিজের ট্রফি উন্মোচন করতে এসেছিলেন। সাকিব ট্রফির নিচে হাত দিয়ে শক্ত করে ধরলেন, পাশে হাত দিয়ে ট্রফিটা যেন ছুঁয়ে রাখলেন ভেট্টোরি।
এই ট্রফিতে নিরঙ্কুশ অধিকার তো এরই মধ্যে হারিয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। এখন ট্রফিটাই হারানোর শঙ্কা!
‘জেরা’ শব্দটা ভদ্রলোক নিজে বললেন, নাকি নিউজিল্যান্ডের কর্তৃপক্ষই বলেছে, বোঝা গেল না। তবে এটা ঠিক, ‘ব্ল্যাক ক্যাপস’দের কাছে সাংবাদিকদের প্রতিটি প্রশ্ন এখন ‘জেরা’র মতো মনে হচ্ছে। এই জিজ্ঞাসাবাদের হাত থেকে মুক্তি পেতে চায় তারা!
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটাররা হঠাত্ এমন মুক্তিপাগল কেন হয়ে উঠলেন, সেটা বুঝতে মোটেও আইনস্টাইন হতে হয় না। সিরিজ জয়টাকে রাডারে নিয়ে বেচারারা বাংলাদেশে এসেছিল উপমহাদেশীয় কন্ডিশনের সঙ্গে পরিচিত হতে, বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে। আহা, কী প্রস্তুতিই না হলো!
যে বাংলাদেশকে এত কাল অবহেলে, গুনে গুনে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড; সেই বাংলাদেশই কি না পর পর দুই ম্যাচে তাদের হারিয়ে সিরিজ জয়ের পথে! নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা কেন ‘জেরা’ থেকে মুক্তি চাইবেন না?
ক্রিকেটাররা তো কথা বললেনই না। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের অমায়িক ম্যানেজার মাইকেল শার্পও কথা বলার সময় কৃপণ। কথা বলতে গেলে যে শার্প একগাল হাসি নিয়ে এগিয়ে আসেন, কাল তাঁর মুখের হাসি থাকল বিষণ্নতায় ভরা।
হেসেই বললেন, ‘আমরা বিসিবিকে তো বলে দিয়েছি, আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা হবে না।’ কেন হবে না? হতাশা, নাকি চাপ! ‘তোমার যেটা খুশি অনুমান করতে পারো। হতাশা তো আছেই’—এবার শার্পের কথাতেই মূর্ত নিউজিল্যান্ডের অবস্থাটা।
আসলে হতাশ হওয়ার বাস্তব কারণও আছে। এই দলটি কখনোই বিশ্বসেরাদের কাতারে ছিল না। কিন্তু একেবারে ‘ফেলনা’ দলও তারা নয়। নিউজিল্যান্ডকে ‘ক্রিকেটের জার্মানি’ বলতে পারেন। জার্মানির মতো বিশ্বকাপ ট্রফি তারা ছুয়ে দেখতে পারেনি। তবে ইউরোপের ফুটবল পরাশক্তির মতোই ধারাবাহিকতা আছে নিউজিল্যান্ডের।
এ পর্যন্ত ৯টি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ৫টিরই সেমিফাইনাল খেলেছে নিউজিল্যান্ড, প্রথম বিশ্বকাপেই তারা সেমিফাইনালে খেলেছে। এ পর্যন্ত খেলা ৫৯০টি ওয়ানডেতে ২৯৮টি পরাজয়ের বিপরীতে ২৫৬টি জয় আছে। মানে, বেশ ধারাবাহিক দল।
কিন্তু সেই দলটিই কিছুদিন ধরে জিততে ভুলে গেছে। গত ১০ ম্যাচে ২টি মাত্র জয় তাদের। কারণ হিসেবে বলতে পারেন, নিউজিল্যান্ড গত বছর কয়েক তাদের সবচেয়ে কার্যকর খেলোয়াড়দের অনেককেই হারিয়ে প্রায় রিক্ত। তার পরও তো ভেট্টোরি, ম্যাককালাম, রস টেলররা আছেন। তাঁরা কী করছেন?
এই প্রশ্নের উত্তর নিশ্চয়ই ভেট্টোরিদের কুরে কুরে খাচ্ছে। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে মিলে সিরিজের ট্রফি উন্মোচন করতে এসেছিলেন। সাকিব ট্রফির নিচে হাত দিয়ে শক্ত করে ধরলেন, পাশে হাত দিয়ে ট্রফিটা যেন ছুঁয়ে রাখলেন ভেট্টোরি।
এই ট্রফিতে নিরঙ্কুশ অধিকার তো এরই মধ্যে হারিয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। এখন ট্রফিটাই হারানোর শঙ্কা!
No comments