বিএনপির মহাসমাবেশ -পারস্পরিক দোষারোপ কাম্য নয়
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সভা-সমাবেশ করার অধিকার যেকোনো নাগরিক বা সংগঠনের আছে। এসব সভা-সমাবেশ বাধাগ্রস্ত করা যেমন ঠিক নয়, তেমনি এসবের নামে কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হোক, সেটাও কাম্য নয়। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি দেশের ছয়টি বিভাগীয় শহরে যে মহাসমাবেশ করছে, তা তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচির অংশ হিসেবেই আমরা বিবেচনা করছি। ইতিমধ্যে চারটি বিভাগীয় শহরে বিএনপির মহাসমাবেশ মোটামুটি শান্তিপূর্ণ হলেও কয়েকটি স্থানে সমাবেশগামী নেতা-কর্মীদের বাধা দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বিএনপির দাবি, সরকারি দলের ক্যাডাররা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে সরকারি দল বলছে, অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণেই বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বোঝা যায়, বিষয়টিতে পারস্পরিক দোষারোপের পুরোনো সংস্কৃতি কাজ করছে, যা প্রত্যাশিত ছিল না।
১৯ মে ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ নিয়েও সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে চাপান-উতোর চলছে। বিএনপির অভিযোগ, সরকার নানাভাবে তাদের মহাসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে। সমাবেশের অনুমতি দিলেও মাইকিং ও প্রজেক্টরের জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহের অনুমতি দেয়নি। একটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে এ ধরনের পরিস্থিতি কাম্য নয়। সরকারের দায়িত্ব বিএনপিকে সভা করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা। আর বিএনপিরও কর্তব্য হবে আইন মেনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করা। এ নিয়ে অহেতুক উত্তেজনা ছড়ালে জনমনে শঙ্কা বাড়বে, বিঘ্নিত হতে পারে শান্তিশৃঙ্খলাও। আত্মপক্ষ সমর্থনের নামে কারোরই উচিত হবে না উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া।
বিরোধী দলের একটি মহাসমাবেশের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে অকারণ উত্তেজনা সৃষ্টি হোক, তা কেউ চায় না। এ ব্যাপারে সরকারকে যেমন সহনশীল আচরণ করতে হবে, তেমনি বিরোধী দলকেও হতে হবে সংযত। সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না, যা বিরোধী দলের সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। অনেক সময় সমাবেশকে ঘিরে রাস্তাঘাটে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, সৃষ্টি হয় যানজট; এমনকি জবরদস্তিভাবে যানবাহন চলাচল বন্ধ করার ঘটনাও ঘটে। রাজনৈতিক কর্মসূচির ক্ষেত্রে জনগণের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়টি অবশ্যই সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলকে খেয়াল রাখতে হবে। এসব সভা-সমাবেশ সাপ্তাহিক বা কোনো ছুটির দিনে করলে জনদুর্ভোগ কম হয়। জনগণের জন্য যাঁরা রাজনীতি করেন, কর্মসূচি নেওয়ার সময় জনদুর্ভোগের বিষয়টি তাঁদের মাথায় রাখতে হবে।
সবার প্রত্যাশা, বিএনপির ১৯ মের মহাসমাবেশ নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি জানিয়েছে, এই মহাসমাবেশ থেকে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আমাদের সবার প্রত্যাশা, বিরোধী দল এমন কোনো কর্মসূচি দেবে না, যাতে জনজীবন বিপর্যস্ত কিংবা দেশের ভঙ্গুর অবস্থা আরও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।
১৯ মে ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ নিয়েও সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে চাপান-উতোর চলছে। বিএনপির অভিযোগ, সরকার নানাভাবে তাদের মহাসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে। সমাবেশের অনুমতি দিলেও মাইকিং ও প্রজেক্টরের জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহের অনুমতি দেয়নি। একটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে এ ধরনের পরিস্থিতি কাম্য নয়। সরকারের দায়িত্ব বিএনপিকে সভা করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা। আর বিএনপিরও কর্তব্য হবে আইন মেনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করা। এ নিয়ে অহেতুক উত্তেজনা ছড়ালে জনমনে শঙ্কা বাড়বে, বিঘ্নিত হতে পারে শান্তিশৃঙ্খলাও। আত্মপক্ষ সমর্থনের নামে কারোরই উচিত হবে না উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া।
বিরোধী দলের একটি মহাসমাবেশের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে অকারণ উত্তেজনা সৃষ্টি হোক, তা কেউ চায় না। এ ব্যাপারে সরকারকে যেমন সহনশীল আচরণ করতে হবে, তেমনি বিরোধী দলকেও হতে হবে সংযত। সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না, যা বিরোধী দলের সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। অনেক সময় সমাবেশকে ঘিরে রাস্তাঘাটে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, সৃষ্টি হয় যানজট; এমনকি জবরদস্তিভাবে যানবাহন চলাচল বন্ধ করার ঘটনাও ঘটে। রাজনৈতিক কর্মসূচির ক্ষেত্রে জনগণের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়টি অবশ্যই সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলকে খেয়াল রাখতে হবে। এসব সভা-সমাবেশ সাপ্তাহিক বা কোনো ছুটির দিনে করলে জনদুর্ভোগ কম হয়। জনগণের জন্য যাঁরা রাজনীতি করেন, কর্মসূচি নেওয়ার সময় জনদুর্ভোগের বিষয়টি তাঁদের মাথায় রাখতে হবে।
সবার প্রত্যাশা, বিএনপির ১৯ মের মহাসমাবেশ নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি জানিয়েছে, এই মহাসমাবেশ থেকে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আমাদের সবার প্রত্যাশা, বিরোধী দল এমন কোনো কর্মসূচি দেবে না, যাতে জনজীবন বিপর্যস্ত কিংবা দেশের ভঙ্গুর অবস্থা আরও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।
No comments