পটিয়ার কেলিশহর হত্যাকাণ্ড by আবদুর রাজ্জাক
১৯৭১ সালের ১৬ মে সকাল প্রায় সাড়ে ১০টার দিকে পটিয়া থেকে দ্রুতগতিতে কেলিশহর সড়ক দিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাত-আটটি গাড়ি এসে সোজা চলে যায় কেলিশহর সীমানার শেষ দিকে। গাড়ি থেকে নেমে প্রথমে শুক্লদাশপাড়ার বাড়িঘরে আগুন দিয়ে জ্বালাও-পোড়াওয়ের সূত্রপাত করে। বিকেল চারটা পর্যন্ত চলে তাদের এ তাণ্ডব। ওই দিন এই এলাকায় ২৪ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। এ ছাড়া তাদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অনেক নারী-পুরুষ। একই দিনে উত্তর হাইদগাঁও গ্রামেও চলে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ ও জ্বালাও-পোড়াও। এ ছাড়া স্থানীয় লুটেরারা হিন্দুসম্প্রদায়ের লোকজনের গরু-ছাগলসহ ঘরের মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
১৬ মে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার উত্তর-পূর্ব দিকে হিন্দু-অধ্যুষিত, বীর বিপ্লবীদের চারণভূমি এবং প্রগতিশীল আন্দোলনের পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত কেলিশহর গ্রামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতার কথা মনে হলে এলাকার মানুষের লোম শিহরে ওঠে। স্বজনহারানোর কথা মনে হলে চোখ পানিতে ছলছল করে।
একাত্তর সালে পাকিস্তানি হানাদার ও এ-দেশীয় রাজাকার, আল-বদরদের হাতে এ গ্রামে যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন, তাঁরা হলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর দেহরক্ষী ও কমিউনিস্ট নেতা সুধাংশু কাঞ্জিলাল, ভারতীয় মিত্রসেনা এবং কেলিশহর গ্রামের সন্তান প্রফুল্ল সেন, প্রমোদ বিশ্বাস, গৌরাঙ্গ দে, নিবারণ দে, নগেন্দ্র দে, রঞ্জিত দে, শশাংক চক্রবর্তী, অনিমেষ দে, অন্নদা দে, যামিনী দে, হূদয় আচার্য, নিশি সেন, যতীন্দ্র সেন, মনীন্দ্র দে, মাণিক্য দে, নতুন শুক্লদাশ, ননাই দে, শ্যামলচরণ দে, অন্নদাচরণ দে, মোহনবাঁশি চক্রবর্তী, কানাই দে, কৃষ্ণ শুক্লদাশ, মৃদুল শীল, মহেন্দ্র শীল, প্রফু্ল্ল দে, আলি আহমদ মিস্ত্রি, প্রাণহরী চক্রবর্তী। এ ছাড়া অমল গুহ, হরিপদ বিশ্বাস ও মধু মহাজনকে ১৬ মের আগে পাকিস্তানি হানাদাররা ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁরা আর ফিরে আসেননি।
স্থানীয় পল্লিচিকিৎসক অনিল কুমার বিশ্বাস জানান, ‘সেদিনের হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি যারা লুটপাটে জড়িত ছিল, তাদের অনেকেই ছিল আমাদের পরিচিত ও প্রতিবেশী।’ হাইদগাঁও গ্রামের প্রবীণ কণিকা দে (৬৫) সেদিনের বর্বরতার বর্ণনা দিতে দিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমরা এলাকার নারী-পুরুষ সবাই আত্মরক্ষার্থে পূর্বের পাহাড়ে আশ্রয় নিলেও পরিমল চৌধুরী বাড়ি ছেড়ে যাননি।’ তাঁর মায়ের সামনেই তাঁকে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। মায়ের আকুতিও টলাতে পারেনি হানাদারদের মন। প্রবীণ রাজনীতিবিদ বরুণ কানুনগো বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানি বাহিনীর পিছু নিয়ে দূরে থেকে ভয়ে ভয়ে তাদের ধ্বংসযজ্ঞ অবলোকন করছিলাম। অ্যাডভোকেট ননী দাশগুপ্তের হত্যাকাণ্ড ও বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার পর গিয়ে দেখি, তাদের বাড়ির সামনে মন্দিরে অবস্থান করা অবস্থায় অন্নদা মাঝি ও মাণিক্য দের নিথর লাশ উপুড় হয়ে পড়ে আছে। তাঁদের দেহ থেকে রক্ত ঝরছে। কেলিশহর পূর্বপাড়ার এক খেতের মধ্যে লুকিয়ে ছিলেন ননাই দে ও শ্যামাচরণ দে। এ সময় শ্যামাচরণ মাথা উঁচু করে দেখতে চাইলে পাকিস্তানি বাহিনী তাঁদের ওপর গুলি ছুড়লে তাঁরা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।’ স্থানীয় মিলন দে (৬৬) বলেন, অনেকে পালিয়ে গেলেও কেলিশহর গ্রামের বাসিন্দা নেতাজি সুভাষ বসুর দেহরক্ষী সুধাংশু কাঞ্জিলাল বাড়িতেই ছিলেন। ১৬ মের কিছুদিন পর স্থানীয় রাজাকাররা তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। পল্লিচিকিৎসক তপন দে আবেগজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার মা সে সময় খুবই অসুস্থ ছিলেন, কিন্তু পাকিস্তানি হানাদার ও স্থানীয় দালালদের ভয়ে তাঁকে কোনো চিকিৎসকের কাছে নিতে না পারায় বিনা চিকিৎসায় তিনি মারা যান। ১৫ মে পাকিস্তানি সেনারা গাড়ি নিয়ে এসে পুরো কেলিশহর গ্রাম ঘুরে দেখে এবং ভট্টাচার্যের হাটটি জ্বালিয়ে দেয়। পরদিন তাদের গাড়ির আওয়াজ শুনে আমাদের এলাকার প্রায় সবাই পূর্ব পাহাড়ে পালিয়ে গেলেও আমরা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী পুকুরপাড়ে ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে থাকি। ওই খান থেকে দেখি আমাদের পার্শ্ববর্তী গ্রামের কিছু দালাল পাকিস্তানি হানাদারদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে লুটতরাজ চালাচ্ছে।’ ঢাকা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হরিসাধন দেববর্মণ বলেন, ‘আগের দিন রাতে আমরা খবর পেয়েছি, কেলিশহর এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এসে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেবে। তখন আমাদের গ্রামের লোকজন জায়গাজমির মূল্যবান কাগজপত্র মাটির নিচে এবং থালাবাটি পুকুরে ফেলে দেয় এবং যে যার মতো করে আত্মরক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকে। এই দিন সকাল সাতটার মধ্যে সবাই পাহাড়ে চলে যায়। বাড়িতে ছিলাম আমি এবং আমার ভাইপো অমূল্য; আমরা পুকুরের দুই পাশে দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছি। হঠাৎ আমার ভাইপো অমূল্য “বিহারিরা আসছে” এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পাকিস্তানি হানাদাররা আমাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আমি অল্পের জন্য বেঁচে যাই। পাকিস্তানি হানাদাররা ওই দিন আমাদের এলাকার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিলেও আমার বাবার ঔষধালয় ও মণ্ডপটি রক্ষা পায়। ফলে প্রতিদিন ওই মণ্ডপে এসে এলাকার লোকজন রাত যাপন করতেন। কিন্তু কিছুদিন পর এসে স্থানীয় রাজাকাররা ওই ঔষধালয় ও মণ্ডপঘরটি জ্বালিয়ে দেয়।’
এলাকাবাসী জানান, পাকিস্তানি হানাদাররা প্রতিদিন নারকেলগাছ থেকে এলাকার লোক দিয়ে ডাব পেড়ে খেত এবং চলে যাওয়ার সময় হিন্দু-মুসলমান সবার বাড়ি থেকে ছাগল ধরে নিয়ে যেত।
স্বাধীনতার পরপর কেলিশহর গ্রামে ৩২ শহীদ স্মরণে স্থানীয়ভাবে নির্মাণ করা হয় স্মৃতিস্তম্ভ। তাঁদের স্মরণে আজ (রোববার) সকালে আলোচনা, পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের কর্মসূচি নিয়েছেন স্থানীয় প্রগতিশীল লোকজন। এ ছাড়া হাইদগাঁও গ্রামে শহীদ পরিমল চৌধুরী স্মৃতিস্তম্ভের উন্মোচন ও আলোচনা সভার আয়োজন করছে স্থানীয় সামাজিক সংগঠন শান্তিনিকেতন।
১৬ মে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার উত্তর-পূর্ব দিকে হিন্দু-অধ্যুষিত, বীর বিপ্লবীদের চারণভূমি এবং প্রগতিশীল আন্দোলনের পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত কেলিশহর গ্রামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতার কথা মনে হলে এলাকার মানুষের লোম শিহরে ওঠে। স্বজনহারানোর কথা মনে হলে চোখ পানিতে ছলছল করে।
একাত্তর সালে পাকিস্তানি হানাদার ও এ-দেশীয় রাজাকার, আল-বদরদের হাতে এ গ্রামে যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন, তাঁরা হলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর দেহরক্ষী ও কমিউনিস্ট নেতা সুধাংশু কাঞ্জিলাল, ভারতীয় মিত্রসেনা এবং কেলিশহর গ্রামের সন্তান প্রফুল্ল সেন, প্রমোদ বিশ্বাস, গৌরাঙ্গ দে, নিবারণ দে, নগেন্দ্র দে, রঞ্জিত দে, শশাংক চক্রবর্তী, অনিমেষ দে, অন্নদা দে, যামিনী দে, হূদয় আচার্য, নিশি সেন, যতীন্দ্র সেন, মনীন্দ্র দে, মাণিক্য দে, নতুন শুক্লদাশ, ননাই দে, শ্যামলচরণ দে, অন্নদাচরণ দে, মোহনবাঁশি চক্রবর্তী, কানাই দে, কৃষ্ণ শুক্লদাশ, মৃদুল শীল, মহেন্দ্র শীল, প্রফু্ল্ল দে, আলি আহমদ মিস্ত্রি, প্রাণহরী চক্রবর্তী। এ ছাড়া অমল গুহ, হরিপদ বিশ্বাস ও মধু মহাজনকে ১৬ মের আগে পাকিস্তানি হানাদাররা ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁরা আর ফিরে আসেননি।
স্থানীয় পল্লিচিকিৎসক অনিল কুমার বিশ্বাস জানান, ‘সেদিনের হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি যারা লুটপাটে জড়িত ছিল, তাদের অনেকেই ছিল আমাদের পরিচিত ও প্রতিবেশী।’ হাইদগাঁও গ্রামের প্রবীণ কণিকা দে (৬৫) সেদিনের বর্বরতার বর্ণনা দিতে দিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমরা এলাকার নারী-পুরুষ সবাই আত্মরক্ষার্থে পূর্বের পাহাড়ে আশ্রয় নিলেও পরিমল চৌধুরী বাড়ি ছেড়ে যাননি।’ তাঁর মায়ের সামনেই তাঁকে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। মায়ের আকুতিও টলাতে পারেনি হানাদারদের মন। প্রবীণ রাজনীতিবিদ বরুণ কানুনগো বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানি বাহিনীর পিছু নিয়ে দূরে থেকে ভয়ে ভয়ে তাদের ধ্বংসযজ্ঞ অবলোকন করছিলাম। অ্যাডভোকেট ননী দাশগুপ্তের হত্যাকাণ্ড ও বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার পর গিয়ে দেখি, তাদের বাড়ির সামনে মন্দিরে অবস্থান করা অবস্থায় অন্নদা মাঝি ও মাণিক্য দের নিথর লাশ উপুড় হয়ে পড়ে আছে। তাঁদের দেহ থেকে রক্ত ঝরছে। কেলিশহর পূর্বপাড়ার এক খেতের মধ্যে লুকিয়ে ছিলেন ননাই দে ও শ্যামাচরণ দে। এ সময় শ্যামাচরণ মাথা উঁচু করে দেখতে চাইলে পাকিস্তানি বাহিনী তাঁদের ওপর গুলি ছুড়লে তাঁরা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।’ স্থানীয় মিলন দে (৬৬) বলেন, অনেকে পালিয়ে গেলেও কেলিশহর গ্রামের বাসিন্দা নেতাজি সুভাষ বসুর দেহরক্ষী সুধাংশু কাঞ্জিলাল বাড়িতেই ছিলেন। ১৬ মের কিছুদিন পর স্থানীয় রাজাকাররা তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। পল্লিচিকিৎসক তপন দে আবেগজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার মা সে সময় খুবই অসুস্থ ছিলেন, কিন্তু পাকিস্তানি হানাদার ও স্থানীয় দালালদের ভয়ে তাঁকে কোনো চিকিৎসকের কাছে নিতে না পারায় বিনা চিকিৎসায় তিনি মারা যান। ১৫ মে পাকিস্তানি সেনারা গাড়ি নিয়ে এসে পুরো কেলিশহর গ্রাম ঘুরে দেখে এবং ভট্টাচার্যের হাটটি জ্বালিয়ে দেয়। পরদিন তাদের গাড়ির আওয়াজ শুনে আমাদের এলাকার প্রায় সবাই পূর্ব পাহাড়ে পালিয়ে গেলেও আমরা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী পুকুরপাড়ে ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে থাকি। ওই খান থেকে দেখি আমাদের পার্শ্ববর্তী গ্রামের কিছু দালাল পাকিস্তানি হানাদারদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে লুটতরাজ চালাচ্ছে।’ ঢাকা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হরিসাধন দেববর্মণ বলেন, ‘আগের দিন রাতে আমরা খবর পেয়েছি, কেলিশহর এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এসে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেবে। তখন আমাদের গ্রামের লোকজন জায়গাজমির মূল্যবান কাগজপত্র মাটির নিচে এবং থালাবাটি পুকুরে ফেলে দেয় এবং যে যার মতো করে আত্মরক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকে। এই দিন সকাল সাতটার মধ্যে সবাই পাহাড়ে চলে যায়। বাড়িতে ছিলাম আমি এবং আমার ভাইপো অমূল্য; আমরা পুকুরের দুই পাশে দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছি। হঠাৎ আমার ভাইপো অমূল্য “বিহারিরা আসছে” এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পাকিস্তানি হানাদাররা আমাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আমি অল্পের জন্য বেঁচে যাই। পাকিস্তানি হানাদাররা ওই দিন আমাদের এলাকার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিলেও আমার বাবার ঔষধালয় ও মণ্ডপটি রক্ষা পায়। ফলে প্রতিদিন ওই মণ্ডপে এসে এলাকার লোকজন রাত যাপন করতেন। কিন্তু কিছুদিন পর এসে স্থানীয় রাজাকাররা ওই ঔষধালয় ও মণ্ডপঘরটি জ্বালিয়ে দেয়।’
এলাকাবাসী জানান, পাকিস্তানি হানাদাররা প্রতিদিন নারকেলগাছ থেকে এলাকার লোক দিয়ে ডাব পেড়ে খেত এবং চলে যাওয়ার সময় হিন্দু-মুসলমান সবার বাড়ি থেকে ছাগল ধরে নিয়ে যেত।
স্বাধীনতার পরপর কেলিশহর গ্রামে ৩২ শহীদ স্মরণে স্থানীয়ভাবে নির্মাণ করা হয় স্মৃতিস্তম্ভ। তাঁদের স্মরণে আজ (রোববার) সকালে আলোচনা, পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের কর্মসূচি নিয়েছেন স্থানীয় প্রগতিশীল লোকজন। এ ছাড়া হাইদগাঁও গ্রামে শহীদ পরিমল চৌধুরী স্মৃতিস্তম্ভের উন্মোচন ও আলোচনা সভার আয়োজন করছে স্থানীয় সামাজিক সংগঠন শান্তিনিকেতন।
No comments