তেল ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনায় ওবামা
যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের কাছে মেক্সিকো উপসাগরে তেলক্ষেত্রে বিস্ফোরণে সাগরে তেল ছড়িয়ে পড়া অব্যাহত রয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় এই তেল ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণে গতকাল শুক্রবার উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
এ ব্যাপারে ওবামার বরাত দিয়ে হোয়াইট হাউস বলেছে, বিস্ফোরণের তিন সপ্তাহ পরও তেলক্ষেত্রের ছিদ্র বন্ধ করতে না পারায় প্রেসিডেন্ট খুবই অসন্তুষ্ট। এতে ওই তেলক্ষেত্রের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের (বিপি) ওপর চাপ বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বিপির কাছে জানতে চেয়েছেন, তেলক্ষেত্রটি থেকে ঠিক কী পরিমাণ তেল মেক্সিকো উপসাগরে উপচে পড়ছে।
গত মাসের শেষ দিকে মেক্সিকো উপসাগরে ওই তেলক্ষেত্রে বিস্ফোরণ ঘটে এবং সাগরে তেল ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এতে ওই অঞ্চলের সাগর ও উপকূলীয় এলাকার জীববৈচিত্র্যের ওপর পরিবেশগত হুমকি তৈরি হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, উপচানো তেলের পরিমাণ বাস্তবে মার্কিন কোস্টগার্ড কর্তৃপক্ষের ধারণার চেয়ে ১০ গুণ বেশি হতে পারে। এর আগে কোস্টগার্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, তেলক্ষেত্র থেকে দৈনিক পাঁচ হাজার ব্যারেল অশোধিত তেল সাগরে উপচে পড়ছে।
বিপির কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ভিডিওচিত্র বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা ধারণা করার চেষ্টা করছেন, তেল কত দ্রুত এবং কত দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। পাশাপাশি তাঁরা হিসাব করেছেন, দৈনিক প্রায় ৭০ হাজার ব্যারেল তেল ছিদ্রগুলো থেকে বেরিয়ে আসছে। তাদের হিসাবে ২০ শতাংশ গরমিল থাকতে পারে।
গবেষকদের বিশ্লেষণের এই ফলাফল নিশ্চিত করেছে উপসাগরে এই তেল ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পরিবেশগত বিপর্যয়, যা ১৯৮৯ সালে ‘এক্সন ভালদেজ’ নামের তেল ট্যাংকারের দুর্ঘটনাকে ছাপিয়ে গেছে। তবে বিজ্ঞানীদের গবেষণার ফলের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে বিপি। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, কী পরিমাণ তেল সাগরে ছড়িয়ে পড়েছে, তা পরিমাপের কোনো গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি নেই। প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা সব সময় বলছি, এই সংখ্যাগুলো হিসাব করা হচ্ছে। কারণ, বাস্তবে কী পরিমাণ তেল ছড়িয়ে পড়ছে, তা পরিমাপ করার কোনো উপায় নেই।’ তিনি জানান, মার্কিন কেন্দ্রীয় সংস্থা এনওএএ এই হিসাব জানিয়েছে।
ডেমোক্র্যাট দলীয় কংগ্রেস সদস্য এডওয়ার্ড মার্কে বলেন, সাগরের তলদেশে তেলক্ষেত্রের ওই ছিদ্রগুলো থেকে কী পরিমাণ তেল আসলেই বেরিয়ে আসছে, তা নির্ণয়ের জন্য একটি আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করছেন তিনি। কারণ, এ ব্যাপারে ভুল হিসাব তেল ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে নেওয়া উদ্যোগকে ব্যর্থ করে দিতে পারে। গতকাল ওই তদন্ত শুরু হওয়ার কথা।
এদিকে বিপি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তেল ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে তারা একটি নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। বিপির বরাত দিয়ে প্রভাবশালী মার্কিন পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, মার্কিন কেন্দ্রীয় সংস্থা মিনারেলস ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস বিপিকে তেলক্ষেত্র এলাকায় আরও খননকাজ চালানোর অনুমতি দিয়েছে। দূরনিয়ন্ত্রিত ডুবোজাহাজের মাধ্যমে এই খননকাজ চালানো হবে। ওই ডুবোজাহাজ তেলক্ষেত্রের পাইপে ছিদ্র হওয়া স্থানে টিউব স্থাপনের চেষ্টা করবে। এতে ছিদ্র দিয়ে তেল বেরিয়ে আসা বন্ধ করা সম্ভব হতে পারে।
এ ব্যাপারে ওবামার বরাত দিয়ে হোয়াইট হাউস বলেছে, বিস্ফোরণের তিন সপ্তাহ পরও তেলক্ষেত্রের ছিদ্র বন্ধ করতে না পারায় প্রেসিডেন্ট খুবই অসন্তুষ্ট। এতে ওই তেলক্ষেত্রের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের (বিপি) ওপর চাপ বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বিপির কাছে জানতে চেয়েছেন, তেলক্ষেত্রটি থেকে ঠিক কী পরিমাণ তেল মেক্সিকো উপসাগরে উপচে পড়ছে।
গত মাসের শেষ দিকে মেক্সিকো উপসাগরে ওই তেলক্ষেত্রে বিস্ফোরণ ঘটে এবং সাগরে তেল ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এতে ওই অঞ্চলের সাগর ও উপকূলীয় এলাকার জীববৈচিত্র্যের ওপর পরিবেশগত হুমকি তৈরি হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, উপচানো তেলের পরিমাণ বাস্তবে মার্কিন কোস্টগার্ড কর্তৃপক্ষের ধারণার চেয়ে ১০ গুণ বেশি হতে পারে। এর আগে কোস্টগার্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, তেলক্ষেত্র থেকে দৈনিক পাঁচ হাজার ব্যারেল অশোধিত তেল সাগরে উপচে পড়ছে।
বিপির কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ভিডিওচিত্র বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা ধারণা করার চেষ্টা করছেন, তেল কত দ্রুত এবং কত দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। পাশাপাশি তাঁরা হিসাব করেছেন, দৈনিক প্রায় ৭০ হাজার ব্যারেল তেল ছিদ্রগুলো থেকে বেরিয়ে আসছে। তাদের হিসাবে ২০ শতাংশ গরমিল থাকতে পারে।
গবেষকদের বিশ্লেষণের এই ফলাফল নিশ্চিত করেছে উপসাগরে এই তেল ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পরিবেশগত বিপর্যয়, যা ১৯৮৯ সালে ‘এক্সন ভালদেজ’ নামের তেল ট্যাংকারের দুর্ঘটনাকে ছাপিয়ে গেছে। তবে বিজ্ঞানীদের গবেষণার ফলের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে বিপি। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, কী পরিমাণ তেল সাগরে ছড়িয়ে পড়েছে, তা পরিমাপের কোনো গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি নেই। প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা সব সময় বলছি, এই সংখ্যাগুলো হিসাব করা হচ্ছে। কারণ, বাস্তবে কী পরিমাণ তেল ছড়িয়ে পড়ছে, তা পরিমাপ করার কোনো উপায় নেই।’ তিনি জানান, মার্কিন কেন্দ্রীয় সংস্থা এনওএএ এই হিসাব জানিয়েছে।
ডেমোক্র্যাট দলীয় কংগ্রেস সদস্য এডওয়ার্ড মার্কে বলেন, সাগরের তলদেশে তেলক্ষেত্রের ওই ছিদ্রগুলো থেকে কী পরিমাণ তেল আসলেই বেরিয়ে আসছে, তা নির্ণয়ের জন্য একটি আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করছেন তিনি। কারণ, এ ব্যাপারে ভুল হিসাব তেল ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে নেওয়া উদ্যোগকে ব্যর্থ করে দিতে পারে। গতকাল ওই তদন্ত শুরু হওয়ার কথা।
এদিকে বিপি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তেল ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে তারা একটি নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। বিপির বরাত দিয়ে প্রভাবশালী মার্কিন পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, মার্কিন কেন্দ্রীয় সংস্থা মিনারেলস ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস বিপিকে তেলক্ষেত্র এলাকায় আরও খননকাজ চালানোর অনুমতি দিয়েছে। দূরনিয়ন্ত্রিত ডুবোজাহাজের মাধ্যমে এই খননকাজ চালানো হবে। ওই ডুবোজাহাজ তেলক্ষেত্রের পাইপে ছিদ্র হওয়া স্থানে টিউব স্থাপনের চেষ্টা করবে। এতে ছিদ্র দিয়ে তেল বেরিয়ে আসা বন্ধ করা সম্ভব হতে পারে।
No comments