বিআরটিসির নতুন বাস -যাত্রীসেবার মান বাড়ানোর বিকল্প নেই
রাজধানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থায় (বিআরটিসি) নতুন ১০০ বাস যোগ হওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ-দুর্দশা কমবে কি না, তা নির্ভর করছে এসব যানবাহনের স্থায়িত্ব এবং সংস্থাটির সততা ও দক্ষতার ওপর। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাসের নতুন বহর উদ্বোধনকালে সে কথাই স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বিআরটিসির পরিবহন বহরে আরও ৬০০ বাস যোগ করার কথাও বলেছেন। এটি নিশ্চয়ই আশার কথা। সেবা খাত হিসেবে বিআরটিসির গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে এ ধরনের অত্যাবশ্যকীয় একটি খাত পুরোপুরি বেসরকারি মালিকানায় ছেড়ে দেওয়াও ঠিক নয়। যাত্রীসাধারণের সুবিধার্থে স্বাধীনতার পর এ গণপরিবহন সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। রাজধানী থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল এর নেটওয়ার্ক। পরবর্তীকালে পূর্বাপর সরকারের ভুল নীতি ও সংস্থাটির দুর্নীতির কারণে লোকসানের পরিমাণ বাড়তে থাকে। এ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের আশীর্বাদপুষ্ট একশ্রেণীর বেসরকারি পরিবহনমালিকের ভূমিকাও কম নয়। বিভিন্ন সড়কে তাঁরা জবরদস্তি করে বিআরটিসির বাস চলাচলও বন্ধ করে দেন। এঁদের বিরুদ্ধে কোনো সরকারই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে সরকারি পরিবহন সংস্থাটি মুমূর্ষু প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।
দীর্ঘদিন বিআরটিসির নতুন বাস কেনা যেমন বন্ধ ছিল, তেমনি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পুরোনোগুলোও অকেজো হয়ে পড়ে ছিল। কাদের দুর্নীতি ও ঔদাসীন্যের কারণে এমনটি ঘটেছে, তা খুঁজে বের করা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করলে সব প্রতিষ্ঠানকেই লাভবান করা সম্ভব। সে জন্য প্রয়োজন দক্ষ ও সৎ কর্মী বাহিনী, যারা যানবাহন কেনা থেকে রক্ষণাবেক্ষণ পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে। কিন্তু বিআরটিসির পরিবহন বহরে যুক্ত হওয়া ১০০ বাসের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। চালুর আগেই বাসগুলো যদি অকেজো হয়ে পড়ে, তাহলে তারা যাত্রীসাধারণকে কীভাবে সেবা দেবে?
অন্যান্য দেশের তুলনায় চীনের যানবাহনের দাম কম। কিন্তু ‘সস্তার তিন অবস্থা’ বলে যে প্রবাদটি আছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তাও মনে রাখতে হবে। বিদেশ থেকে সব যানবাহন আমদানি না করে দেশেই তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না কেন? যাত্রীসাধারণ বেসরকারি পরিবহনমালিকদের দৌরাত্ম্য থেকে রেহাই পেতে চায়। সে জন্যই সরকারি পরিবহন খাতটির সেবার মান বাড়ানো ও দুর্নীতিমুক্ত রাখার বিকল্প নেই।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে এ ধরনের অত্যাবশ্যকীয় একটি খাত পুরোপুরি বেসরকারি মালিকানায় ছেড়ে দেওয়াও ঠিক নয়। যাত্রীসাধারণের সুবিধার্থে স্বাধীনতার পর এ গণপরিবহন সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। রাজধানী থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল এর নেটওয়ার্ক। পরবর্তীকালে পূর্বাপর সরকারের ভুল নীতি ও সংস্থাটির দুর্নীতির কারণে লোকসানের পরিমাণ বাড়তে থাকে। এ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের আশীর্বাদপুষ্ট একশ্রেণীর বেসরকারি পরিবহনমালিকের ভূমিকাও কম নয়। বিভিন্ন সড়কে তাঁরা জবরদস্তি করে বিআরটিসির বাস চলাচলও বন্ধ করে দেন। এঁদের বিরুদ্ধে কোনো সরকারই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে সরকারি পরিবহন সংস্থাটি মুমূর্ষু প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।
দীর্ঘদিন বিআরটিসির নতুন বাস কেনা যেমন বন্ধ ছিল, তেমনি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পুরোনোগুলোও অকেজো হয়ে পড়ে ছিল। কাদের দুর্নীতি ও ঔদাসীন্যের কারণে এমনটি ঘটেছে, তা খুঁজে বের করা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করলে সব প্রতিষ্ঠানকেই লাভবান করা সম্ভব। সে জন্য প্রয়োজন দক্ষ ও সৎ কর্মী বাহিনী, যারা যানবাহন কেনা থেকে রক্ষণাবেক্ষণ পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে। কিন্তু বিআরটিসির পরিবহন বহরে যুক্ত হওয়া ১০০ বাসের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। চালুর আগেই বাসগুলো যদি অকেজো হয়ে পড়ে, তাহলে তারা যাত্রীসাধারণকে কীভাবে সেবা দেবে?
অন্যান্য দেশের তুলনায় চীনের যানবাহনের দাম কম। কিন্তু ‘সস্তার তিন অবস্থা’ বলে যে প্রবাদটি আছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তাও মনে রাখতে হবে। বিদেশ থেকে সব যানবাহন আমদানি না করে দেশেই তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না কেন? যাত্রীসাধারণ বেসরকারি পরিবহনমালিকদের দৌরাত্ম্য থেকে রেহাই পেতে চায়। সে জন্যই সরকারি পরিবহন খাতটির সেবার মান বাড়ানো ও দুর্নীতিমুক্ত রাখার বিকল্প নেই।
No comments