সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশি হতাহত -ভারতের আশ্বাস কি নিছক আশ্বাস হয়ে থাকবে
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আবারও প্রাণ দিতে হলো দুই নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিককে। নিহত ব্যক্তিদের একজন ১০ বছরের শিশু। আর আহত হয়েছেন এক গৃহবধূসহ দুজন। বিএসএফের হাতে নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিকের হতাহতের এ ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রত্নাই সীমান্তে গরুকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য ভুলে সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডে ঢুকে পড়লে তাঁদের ওপর গুলি চালানো হয়। কোনোরূপ উসকানি ছাড়াই নিরীহ বাংলাদেশিদের হত্যার মাধ্যমে বিএসএফ আমাদের কাছে তার পরিচিত রূপেই হাজির হলো।
বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ও ভারতের পারস্পরিক আলোচনায় অনিবার্যভাবে উঠে এসেছে সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশিদের নিহত হওয়ার বিষয়টি। ভারতের পক্ষ থেকে বারবার আশ্বাস দেওয়া হয়, সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা করা হবে না। কিন্তু বিএসএফের আচরণে তার কোনো প্রতিফলন লক্ষ করা যায় না। এই আশ্বাস কি নিছক আশ্বাস হয়েই থাকবে?
গত জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের মধ্য দিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে যে শুভ সূচনা ঘটেছে, তাকে যৌক্তিক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে হলে সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠা, তথা বিএসএফের গোলাগুলি বন্ধ করতেই হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্ব তখন দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের আচরণ সংযত করা এবং জীবনহানি বন্ধ করার আবশ্যকতার কথা বলেছিলেন। কিন্তু ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের এ ধরনের আচরণ তাদের আন্তরিকতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে।
অপরাধ দমনের নামে নিরীহ ব্যক্তিদের হত্যার বিষয়টি মেনে নেওয়া যায় না। সীমান্তরক্ষীদের মনে রাখা দরকার, মানুষ হত্যা করে সীমান্তে চোরাচালান বা কোনো ধরনের বেআইনি কাজ রোধ করা যায় না। একদিকে নিরীহ বাংলাদেশিদের হত্যা করা হয়, অন্যদিকে বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির উপাদানসহ নানা ধরনের পণ্যের চোরাচালানের খবর পত্রিকায় ছাপা হতে দেখা যায়। মানুষ মেরে সীমান্তসংশ্লিষ্ট অপরাধ দমনের ভাবনা থেকে সরে আসা দরকার বলে আমরা মনে করি।
বাংলাদেশ ন্যায়সংগতভাবেই প্রত্যাশা করে, প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ভারত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে, সীমান্তে নিরীহ নাগরিকদের হত্যার ঘটনা শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে সীমান্তে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান জরুরি।
বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ও ভারতের পারস্পরিক আলোচনায় অনিবার্যভাবে উঠে এসেছে সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশিদের নিহত হওয়ার বিষয়টি। ভারতের পক্ষ থেকে বারবার আশ্বাস দেওয়া হয়, সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা করা হবে না। কিন্তু বিএসএফের আচরণে তার কোনো প্রতিফলন লক্ষ করা যায় না। এই আশ্বাস কি নিছক আশ্বাস হয়েই থাকবে?
গত জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের মধ্য দিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে যে শুভ সূচনা ঘটেছে, তাকে যৌক্তিক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে হলে সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠা, তথা বিএসএফের গোলাগুলি বন্ধ করতেই হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্ব তখন দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের আচরণ সংযত করা এবং জীবনহানি বন্ধ করার আবশ্যকতার কথা বলেছিলেন। কিন্তু ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের এ ধরনের আচরণ তাদের আন্তরিকতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে।
অপরাধ দমনের নামে নিরীহ ব্যক্তিদের হত্যার বিষয়টি মেনে নেওয়া যায় না। সীমান্তরক্ষীদের মনে রাখা দরকার, মানুষ হত্যা করে সীমান্তে চোরাচালান বা কোনো ধরনের বেআইনি কাজ রোধ করা যায় না। একদিকে নিরীহ বাংলাদেশিদের হত্যা করা হয়, অন্যদিকে বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির উপাদানসহ নানা ধরনের পণ্যের চোরাচালানের খবর পত্রিকায় ছাপা হতে দেখা যায়। মানুষ মেরে সীমান্তসংশ্লিষ্ট অপরাধ দমনের ভাবনা থেকে সরে আসা দরকার বলে আমরা মনে করি।
বাংলাদেশ ন্যায়সংগতভাবেই প্রত্যাশা করে, প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ভারত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে, সীমান্তে নিরীহ নাগরিকদের হত্যার ঘটনা শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে সীমান্তে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান জরুরি।
No comments