চট্টগ্রামে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলিয়ে ছাত্রদল কর্মী খুন
চট্টগ্রামের
হাটহাজারীতে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলিয়ে সোহেল রানা (২৫) নামে এক ছাত্রদল
কর্মীকে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় খোরশেদ (২৪) নামে তার এক বন্ধু আহত
হয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন ফজু তালুকদার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোহেল রানা হাটহাজারী পৌর এলাকার পূর্ব চন্দ্রপুর দুলা মিয়া বাড়ির নুরুল ইসলাম ওরফে মানিক মিস্ত্রির ছেলে। এ ঘটনার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সমপাদক মো. আসাদুজ্জামান আসাদ বিবৃতিতে বলেন, ছাত্রলীগ নেতা তারেক, আরিফ, আবদুল হান্নান, লিটন, তৈয়ব, ছায়েম, আজিম উদ্দিন, শাখাওয়াত, শাকিব, নাঈম, বাবু, শরিফসহ ছাত্রলীগের ২৫-৩০ জন সন্ত্রাসী হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে সোহেল রানাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
সারা দেশে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই বেআইনি গুম, ক্রসফায়ার ও বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে।
ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিয়ে ছাত্রদলসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্মম
হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। সোহেল রানা হত্যাকাণ্ড তারই একটি অংশ। চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহ অবিলম্বে সোহেল রানা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় লোকজন ও আহত খোরশেদ আলমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপি নেতা মীর হেলালের অনুসারী ছাত্রদল কর্মী সোহেল রানার সঙ্গে হাটহাজারী পৌরসভায় আধিপত্য বিস্তারকারী ‘পাওয়ার বয়েজ’ নামক একটি সংগঠনের সদস্য তারেকের বিরোধ চলে আসছিল। সংগঠনটির বেশির ভাগ সদস্য ছাত্রদল সমর্থক হলেও তারেক ছাত্রলীগ সমর্থিত।
স্থানীয়রা জানান, জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন রেলওয়ে কালভার্ট এলাকায় রাতের বেলা সোহেলের পরিচিত একজন থেকে তারেকের অনুসারীরা একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে ফোনটি তারেক সোহেলের মারফতে মালিককে ফিরিয়ে দেয়। এসময় তারেকের সঙ্গে সোহেল ও তার বন্ধু খোরশেদের ধাক্কাধাক্কি হয়। এ নিয়ে সোহেল রানা ও খোরশেদকে পিটুনি দিতে বিভিন্ন সময় চেষ্টা চালিয়ে আসে তারেক অনুসারীরা।
এ অবস্থায় সোমবার বিকালে সোহেল রানা ও খোরশেদ তাদের খুব কাছের বন্ধু ফজু তালুকদার বাড়ির মাসুমের ঘরে দাওয়াত খেতে যায়। সংবাদ পেয়ে বাড়ির সামনের গলিতে তারেকের আনুসারী ৭-৮ জন লোহার রড় ও পাইপ নিয়ে অবস্থান নেয়। দাওয়াত শেষে খোরশেদ ও সোহেল সন্ধ্যা ৬টার দিকে মোটরসাইকেলে বাড়ি যাওয়ার পথে তারেকের সহযোগীরা হামলা চালায়।
মোটরসাইকেল চলন্ত অবস্থায় প্রথমে তারেক ঘুষি মারলে চালক খোরশেদ ও সোহেল রানা মোটরসাইকেলসহ মাটিতে পড়ে যায়। এসময় তাদের সঙ্গে থাকা পৌর এলাকার আরিফ (১৬) ও লিটন (১৭) যোগ দেয়। এদের মধ্য থেকে একজন ইট নিয়ে সোহেল রানার মুখে আঘাত করে। এতে তার নাক ফেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় ও সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ অবস্থায় হামলাকারীরা ইট দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে সোহেল রানার মাথা থেঁতলে দিয়ে সঠকে পড়ে। খোরশেদ ও স্থানীয় কয়েকজন সোহেলকে উদ্ধার করে প্রথমে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে হাটহাজারী মডেল থানার একাধিক পুলিশ টিম সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) শামীম শেখ জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাস্থল থেকে হামলায় ব্যবহৃত ইট জব্দ করেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও অভিযান অব্যাহত রেখেছি।
সোমবার সন্ধ্যায় হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন ফজু তালুকদার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোহেল রানা হাটহাজারী পৌর এলাকার পূর্ব চন্দ্রপুর দুলা মিয়া বাড়ির নুরুল ইসলাম ওরফে মানিক মিস্ত্রির ছেলে। এ ঘটনার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সমপাদক মো. আসাদুজ্জামান আসাদ বিবৃতিতে বলেন, ছাত্রলীগ নেতা তারেক, আরিফ, আবদুল হান্নান, লিটন, তৈয়ব, ছায়েম, আজিম উদ্দিন, শাখাওয়াত, শাকিব, নাঈম, বাবু, শরিফসহ ছাত্রলীগের ২৫-৩০ জন সন্ত্রাসী হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে সোহেল রানাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
সারা দেশে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই বেআইনি গুম, ক্রসফায়ার ও বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে।
ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিয়ে ছাত্রদলসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্মম
হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। সোহেল রানা হত্যাকাণ্ড তারই একটি অংশ। চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহ অবিলম্বে সোহেল রানা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় লোকজন ও আহত খোরশেদ আলমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপি নেতা মীর হেলালের অনুসারী ছাত্রদল কর্মী সোহেল রানার সঙ্গে হাটহাজারী পৌরসভায় আধিপত্য বিস্তারকারী ‘পাওয়ার বয়েজ’ নামক একটি সংগঠনের সদস্য তারেকের বিরোধ চলে আসছিল। সংগঠনটির বেশির ভাগ সদস্য ছাত্রদল সমর্থক হলেও তারেক ছাত্রলীগ সমর্থিত।
স্থানীয়রা জানান, জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন রেলওয়ে কালভার্ট এলাকায় রাতের বেলা সোহেলের পরিচিত একজন থেকে তারেকের অনুসারীরা একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে ফোনটি তারেক সোহেলের মারফতে মালিককে ফিরিয়ে দেয়। এসময় তারেকের সঙ্গে সোহেল ও তার বন্ধু খোরশেদের ধাক্কাধাক্কি হয়। এ নিয়ে সোহেল রানা ও খোরশেদকে পিটুনি দিতে বিভিন্ন সময় চেষ্টা চালিয়ে আসে তারেক অনুসারীরা।
এ অবস্থায় সোমবার বিকালে সোহেল রানা ও খোরশেদ তাদের খুব কাছের বন্ধু ফজু তালুকদার বাড়ির মাসুমের ঘরে দাওয়াত খেতে যায়। সংবাদ পেয়ে বাড়ির সামনের গলিতে তারেকের আনুসারী ৭-৮ জন লোহার রড় ও পাইপ নিয়ে অবস্থান নেয়। দাওয়াত শেষে খোরশেদ ও সোহেল সন্ধ্যা ৬টার দিকে মোটরসাইকেলে বাড়ি যাওয়ার পথে তারেকের সহযোগীরা হামলা চালায়।
মোটরসাইকেল চলন্ত অবস্থায় প্রথমে তারেক ঘুষি মারলে চালক খোরশেদ ও সোহেল রানা মোটরসাইকেলসহ মাটিতে পড়ে যায়। এসময় তাদের সঙ্গে থাকা পৌর এলাকার আরিফ (১৬) ও লিটন (১৭) যোগ দেয়। এদের মধ্য থেকে একজন ইট নিয়ে সোহেল রানার মুখে আঘাত করে। এতে তার নাক ফেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় ও সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ অবস্থায় হামলাকারীরা ইট দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে সোহেল রানার মাথা থেঁতলে দিয়ে সঠকে পড়ে। খোরশেদ ও স্থানীয় কয়েকজন সোহেলকে উদ্ধার করে প্রথমে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে হাটহাজারী মডেল থানার একাধিক পুলিশ টিম সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) শামীম শেখ জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাস্থল থেকে হামলায় ব্যবহৃত ইট জব্দ করেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও অভিযান অব্যাহত রেখেছি।
No comments