সুস্থ ত্বক ও সুন্দর হাত-পা
এ
সময়ে ত্বকে ঘাম ও তেল নিংসরণের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর ওপর ধুলো ময়লা নোংরা
জমতে শুরু করে ত্বক নির্জীব ও অনুজ্জ্বল হয়ে পড়ে। মুখের ত্বকের সঙ্গে
হাত-পায়ের ত্বকের নানা সমস্যা শুরু হয়। একটু যত্ন নিলেই এ সমস্যা সমাধান
করা সহজ। এ সময়ে ত্বকের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। এ বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন
আকঙ্খ্যাস গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের কর্ণধার অ্যারোমা থেরাপিস্ট জুলিয়া আজাদ।
ত্বকের যত্নে সর্ব প্রথম ধাপ ক্লিংজিং, প্রতিদিন আমাদের ত্বকে ধুলাবালি ঘাম
ময়লা সেই সঙ্গে ডেড সেল পড়ে এক সময় সান টেন্ট শুরু হয়। কারও কারও ত্বক এত
বেশি স্পর্শকাতর হয়ে যায় যে মুখ চুলকাতে চুলকাতে লাল হয়ে যায়। এর থেকে আবার
শুরু হয় নানাবিধ সমস্যা।
অনেক সময় আমরা অনেক কিছু জানা সত্ত্বেও আলসেমির
জন্য কিছুই করতে চাই না বা পারি না। প্রতিদিন নিয়ম করে আপনি যদি আপনার ত্বক
ঠিকভাবে পরিষ্কার করেন আপনার ত্বক এমনিতেই সুন্দর থাকবে। সেইসঙ্গে দরকার
সঠিক ম্যাসাজ। সঠিক ম্যাসাজ আপনার ত্বকের ব্ল্যাড সার্কুলেশন বাড়িয়ে দিতে
সাহায্য করবে এবং আপনার ছোটখাটো অনেক সমস্যা শুরুতেই সারিয়ে তুলবে কিন্তু
আপনি যদি সঠিক হাতে বা সঠিকভাবে ম্যাসাজ না করেন তবে আপনার ত্বক চর্চা কোনো
কাজে আসে না। ম্যাসাজ সব সময় প্রেসার পয়েন্টে প্রেসার দিয়ে ম্যাসাজ করলে
বেশি উপকার পাবেন। ত্বকের অনেক সমস্যাও সমাধান করবে। কিন্তু না জেনে অনেক
বেশি প্রেসার দিয়ে ম্যাসাজ করলেও আপনার হিতে বিপরীত হবে। মুখের ত্বক যখন
ক্লিন করেন পোর ক্লিনজিং ব্যবহার করা হয় স্কিন টনিকের সঙ্গে রেডি স্কার্ব
মিশিয়ে সার্কুলার মুভমেন্টে ম্যাসাজ করেন। এর পানির ঝাঁপটা দিয়ে মুখ
পরিষ্কার করে নিন। এভাবে আপনার মুখের ত্বক প্রাণবন্ত হবে। ধুলো-বালি
পরিষ্কার হয়ে যাবে। সারাদিন কয়েকবার পানির ঝাঁপটা দিন ত্বক সারাদিন ফ্রেশ
লাগবে।
টোনিং
এই সময়ে ত্বক ফ্রেশ থাকার জন্য টোনার খুবই জরুরি। গোলাপের পাপড়ি ভালো করে ফুটিয়ে তাতে এক চিমটে কর্পূর মিশিয়ে রেখে দিন ফ্রিজে, যখনই মুখ ক্লিন করবেন ওই টোনার মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিন। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা গোলাপের তৈরি টোনারের সঙ্গে সমপরিমাণ এস্ট্রিনজেন্ট মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। মুখ পরিষ্কারের পর এই টোনার লাগিয়ে দিলে ত্বক ফ্রেশ হয়ে ত্বকের তৈলাক্ত ভাবও কমে যাবে।
ময়েশ্চারাইজার
যখনই টোনিং করবেন তারপর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজিং করতে ভুলবেন না। গরমে ভারি ময়েশ্চারাইজার বা ক্রিম ব্যবহার না করে ওয়াটার বেশ ময়েশ্চারাইজার লাগান। ত্বক তৈলাক্ত হলেও ময়েশ্চারাইজার ম্যাসাজ করতে ভুলবেন না। মধু খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার যা সব ধরনের ত্বকের উপযোগী। কিন্তু মধু দিয়ে ময়েশ্চারাইজিং করলে পাঁচ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
বাড়তি যত্ন
ত্বক ঠাণ্ডা রাখার জন্য শসার রস ১ চা চামচ, মিল্ক পাউডার এক চা চামচ, এক চা চামচ গোলাপের পাপড়ি বাটা মিশিয়ে ফেস মাস্ক বানিয়ে মুখে লাগিয়ে পরে ধুয়ে ফেলুন এরপর ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
তৈলাক্ত ত্বকের উপযোগী ফেস মাস্ক
মুলতানি মাটি এক চা চামচ, গাজরের রস ১ চা চামচ, মধু এক চা চামচ, একটি ডিমের সাদা অংশ, এক চা চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে ফেস মাস্ক বানিয়ে পরিষ্কার মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ভেজা হাতে ম্যাসাজ করুন, হাল্কা ভাবে বেশি করে পানির ঝাঁপটা দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো কোনো ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। অবশ্যই ওয়াটার বেস, এ ধরনের ত্বক চর্চা করতে একটু ধৈর্যের প্রয়োজন। কিন্তু একটু ধৈর্য আপনার ত্বকের যতেœ বিশেষ ভূমিকা রাখতে সাহায্য করবে।
আর হাত-পা সমস্যা
শুষ্ক ও খসখসে হাতের জন্য অলিভ অয়েল লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে হাত এবং পা ভালো করে ভিজিয়ে মুছে ভেজা ভাব থাকা অবস্থায় ম্যাসাজ করুন। ম্যাসাজ করে হাল্কা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে একদিন যে কোনো একটা মাস্ক ব্যবহার করলে ত্বক নরম থাকবে। হাত-পায়ের ত্বক ডেডসেল ক্লিন হয়ে যাবে। মাস্ক ওঠানোর পর ময়েশ্চারাইজার করতে ভুলবেন না। এভাবে প্রতিদিনের যত্নে হাত পাও সুন্দর থাকবে। মাসে একবার অন্তত বিউটি পার্লারে গিয়ে সমস্যা অনুযায়ী প্রশেনলাল পেডিকিউর মেনিকিউর করাতে ভুলবেন না।
টোনিং
এই সময়ে ত্বক ফ্রেশ থাকার জন্য টোনার খুবই জরুরি। গোলাপের পাপড়ি ভালো করে ফুটিয়ে তাতে এক চিমটে কর্পূর মিশিয়ে রেখে দিন ফ্রিজে, যখনই মুখ ক্লিন করবেন ওই টোনার মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিন। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা গোলাপের তৈরি টোনারের সঙ্গে সমপরিমাণ এস্ট্রিনজেন্ট মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। মুখ পরিষ্কারের পর এই টোনার লাগিয়ে দিলে ত্বক ফ্রেশ হয়ে ত্বকের তৈলাক্ত ভাবও কমে যাবে।
ময়েশ্চারাইজার
যখনই টোনিং করবেন তারপর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজিং করতে ভুলবেন না। গরমে ভারি ময়েশ্চারাইজার বা ক্রিম ব্যবহার না করে ওয়াটার বেশ ময়েশ্চারাইজার লাগান। ত্বক তৈলাক্ত হলেও ময়েশ্চারাইজার ম্যাসাজ করতে ভুলবেন না। মধু খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার যা সব ধরনের ত্বকের উপযোগী। কিন্তু মধু দিয়ে ময়েশ্চারাইজিং করলে পাঁচ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
বাড়তি যত্ন
ত্বক ঠাণ্ডা রাখার জন্য শসার রস ১ চা চামচ, মিল্ক পাউডার এক চা চামচ, এক চা চামচ গোলাপের পাপড়ি বাটা মিশিয়ে ফেস মাস্ক বানিয়ে মুখে লাগিয়ে পরে ধুয়ে ফেলুন এরপর ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
তৈলাক্ত ত্বকের উপযোগী ফেস মাস্ক
মুলতানি মাটি এক চা চামচ, গাজরের রস ১ চা চামচ, মধু এক চা চামচ, একটি ডিমের সাদা অংশ, এক চা চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে ফেস মাস্ক বানিয়ে পরিষ্কার মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ভেজা হাতে ম্যাসাজ করুন, হাল্কা ভাবে বেশি করে পানির ঝাঁপটা দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো কোনো ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। অবশ্যই ওয়াটার বেস, এ ধরনের ত্বক চর্চা করতে একটু ধৈর্যের প্রয়োজন। কিন্তু একটু ধৈর্য আপনার ত্বকের যতেœ বিশেষ ভূমিকা রাখতে সাহায্য করবে।
আর হাত-পা সমস্যা
শুষ্ক ও খসখসে হাতের জন্য অলিভ অয়েল লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে হাত এবং পা ভালো করে ভিজিয়ে মুছে ভেজা ভাব থাকা অবস্থায় ম্যাসাজ করুন। ম্যাসাজ করে হাল্কা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে একদিন যে কোনো একটা মাস্ক ব্যবহার করলে ত্বক নরম থাকবে। হাত-পায়ের ত্বক ডেডসেল ক্লিন হয়ে যাবে। মাস্ক ওঠানোর পর ময়েশ্চারাইজার করতে ভুলবেন না। এভাবে প্রতিদিনের যত্নে হাত পাও সুন্দর থাকবে। মাসে একবার অন্তত বিউটি পার্লারে গিয়ে সমস্যা অনুযায়ী প্রশেনলাল পেডিকিউর মেনিকিউর করাতে ভুলবেন না।
No comments