হাটহাজারী মাদরাসায় পুড়লো শত শত মোবাইল
চট্টগ্রামের
এক মাদরাসার শত শত শিক্ষার্থীর মুঠোফোন বাজেয়াপ্ত করে সেগুলো পুড়িয়ে দেয়া
হয়েছে। মাদরাসা কর্তৃপক্ষের দাবি, মুঠোফোনগুলো শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায়
বিঘ্ন ঘটাচ্ছিল। যার কারণে, সেগুলো বাজেয়াপ্ত করে
পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সমপ্রতি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত হাটহাজারির দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
খবরে বলা হয়, রোববার শিক্ষার্থীদের তাদের মুঠোফোনগুলো মাদরাসা কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়ার আদেশ দেয়া হয়। এরপর পার্শ্ববর্তী এক মাঠে বিশাল আকারে আগুন জ্বালিয়ে তাতে পুড়িয়ে দেয়া হয় শত শত মুঠোফোন। এ বিষয়ে মাদরাসার এক মুখপাত্র আজিজুল হক বলেন, ‘এই যন্ত্রগুলো তাদের চরিত্র নষ্ট করছে। শিক্ষার্থীরা সারা রাত ধরে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। আর সকালে ক্লাসে এসে ঝিমায়। তাদের অভিভাবকরা এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন।’ হক জানান, মাদরাসাটি ১২৩ বছর আগে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এতে বর্তমানে ১৪ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। তার ভাষ্য, এই ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি প্রযুক্তি-বিরোধী নয়। কিন্তু মুঠোফোনের ভালো দিকের চেয়ে এর খারাপ দিক অনেক বেশি। যার কারণেই এই কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে মুঠোফোনের ব্যবহার বন্ধ করা নিয়ে ইসলামিক আইন জানতে চেয়ে মুসলিমরা প্রচুর পরিমাণে চিঠি পাঠায়। অনেকে অভিযোগ করেছেন যে, এই যন্ত্রগুলো প্রায়ই ‘বিবাহ বহির্ভূত সমপর্ক’ করার জন্য ব্যবহার করা হয়।’
এএফপি’র খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হলেও এখানকার মুসলিম নেতারা ব্যাপক প্রভাবশালী। বিশেষ করে সামাজিকভাবে রক্ষণশীল, গ্রাম্য এলাকাগুলোতে তাদের প্রভাব বেশি। চট্টগ্রামের দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদরাসার প্রধান হচ্ছেন আহমাদ শফি। তিনি বর্তমানে কট্টরপন্থি দল হেফাজতে ইসলামের প্রধান। সামপ্রতিক বছরগুলোতে দলটি রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। পুরো দেশে ইসলামিক শাসন কায়েম করার দাবি জানিয়ে আসছে। দলটির এমন আন্দোলনের কারণে বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের সঙ্গে তাদের বেশ কয়েকবার সংঘাত হয়েছে। ২০১৩ সালে দলটির লাখ লাখ সমর্থক রাজধানী ঢাকায় এসে ইসলামিক শাসন কায়েম করার দাবিতে প্রতিবাদ করে। তাদের ওই আন্দোলনে ব্যাপক সহিংসতার সৃষ্টি হয়। তাতে প্রাণ হারান প্রায় ৫০ জন মানুষ।
পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সমপ্রতি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত হাটহাজারির দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
খবরে বলা হয়, রোববার শিক্ষার্থীদের তাদের মুঠোফোনগুলো মাদরাসা কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়ার আদেশ দেয়া হয়। এরপর পার্শ্ববর্তী এক মাঠে বিশাল আকারে আগুন জ্বালিয়ে তাতে পুড়িয়ে দেয়া হয় শত শত মুঠোফোন। এ বিষয়ে মাদরাসার এক মুখপাত্র আজিজুল হক বলেন, ‘এই যন্ত্রগুলো তাদের চরিত্র নষ্ট করছে। শিক্ষার্থীরা সারা রাত ধরে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। আর সকালে ক্লাসে এসে ঝিমায়। তাদের অভিভাবকরা এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন।’ হক জানান, মাদরাসাটি ১২৩ বছর আগে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এতে বর্তমানে ১৪ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। তার ভাষ্য, এই ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি প্রযুক্তি-বিরোধী নয়। কিন্তু মুঠোফোনের ভালো দিকের চেয়ে এর খারাপ দিক অনেক বেশি। যার কারণেই এই কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে মুঠোফোনের ব্যবহার বন্ধ করা নিয়ে ইসলামিক আইন জানতে চেয়ে মুসলিমরা প্রচুর পরিমাণে চিঠি পাঠায়। অনেকে অভিযোগ করেছেন যে, এই যন্ত্রগুলো প্রায়ই ‘বিবাহ বহির্ভূত সমপর্ক’ করার জন্য ব্যবহার করা হয়।’
এএফপি’র খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হলেও এখানকার মুসলিম নেতারা ব্যাপক প্রভাবশালী। বিশেষ করে সামাজিকভাবে রক্ষণশীল, গ্রাম্য এলাকাগুলোতে তাদের প্রভাব বেশি। চট্টগ্রামের দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদরাসার প্রধান হচ্ছেন আহমাদ শফি। তিনি বর্তমানে কট্টরপন্থি দল হেফাজতে ইসলামের প্রধান। সামপ্রতিক বছরগুলোতে দলটি রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। পুরো দেশে ইসলামিক শাসন কায়েম করার দাবি জানিয়ে আসছে। দলটির এমন আন্দোলনের কারণে বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের সঙ্গে তাদের বেশ কয়েকবার সংঘাত হয়েছে। ২০১৩ সালে দলটির লাখ লাখ সমর্থক রাজধানী ঢাকায় এসে ইসলামিক শাসন কায়েম করার দাবিতে প্রতিবাদ করে। তাদের ওই আন্দোলনে ব্যাপক সহিংসতার সৃষ্টি হয়। তাতে প্রাণ হারান প্রায় ৫০ জন মানুষ।
No comments