শেষ হলো আদ্-দ্বীন হাসপাতালের বিনামূল্যে প্রস্টেট সেবা মাস
সেবা পেলো ৩০০ রোগী, অপারেশন হয়েছে ৫০ জনের:
৫০টি
সফল অপারেশনের মাধ্যমে শেষ হলো আদ্-দ্বীন হাসপাতালের বিনামূল্যে প্রস্টেট
সংক্রান্ত সেবা মাস। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার মেডিকেল কলেজের ব্যারিস্টার
রফিক-উল হক অডিটোরিয়ামে এক সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে চিকিৎসা
নেয়া রোগীরা ছাড়াও বক্তব্য দেন কলেজের অধ্যক্ষ ও বিশিষ্ট ইউরোলজিস্ট ডা.
আফিকুর রহমান, পরিচালক মেডিকেল এডুকেশন ডা. আনোয়ার হোসেন মুন্সি,
আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজসমূহের পরিচালক ডা. তরিকুল ইসলাম। সফল অপারেশন
হয়েছে এমন রোগী কেরানীগঞ্জের আব্দুর রহিম বলেন, প্রথমে আমি এসে যখন
ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলি ডাক্তার আমাকে বলে অপারেশন করতে হবে। এ কথা শুনে
আমার কলিজা শুকিয়ে যায়। হাত-পা অবশ হয়ে আসে। কিন্তু ডাক্তারের কথা শুনে
আমার সব ভয় দূর হয়ে যায়। আমি অপারেশনে রাজি হই। ডাক্তারদের ব্যবহার যে এত
ভালো হয় আমি আগে জানতাম না। উনার চেহারা দেখে আর ব্যবহারে আমার অর্ধেক রোগ
ভালো হয়ে যায়।
কথাগুলো বলতে বলতে আব্দুর রহিমের দুই চোখ বেয়ে পানি নামতে থাকে। আবেগাপ্লুত আব্দুর রহিম মাইক্রোফোন হাতে নীরবভাবে দাঁড়িয়ে থাকেন মঞ্চে। কয়েক সেকেন্ডের জন্য যেন তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। হঠাৎ নিজেকে ফিরে পেয়ে আব্দুর রহিম মাইকে চিৎকার দিয়ে ওঠেন, ‘স্যার আমি আপনার একটা ফটো নেবো স্যার!’ আপনার চেহারা দেখলে আমার সব রোগ ভুলে যাই।
অনুষ্ঠানে আব্দুর রহিম কান্নাজড়িত কণ্ঠে আদ্-দ্বীন হাসপাতালের সেবা সম্পর্কে বলেন, আমি ঢাকার বহু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি কিন্তু এতো সুন্দর পরিষ্কারপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, প্রত্যেকের সুন্দর ব্যবহার কোথাও পাইনি। তাছাড়া আমাদের চিকিৎসা চলাকালে তারা বিনামূল্যে আমাদের উন্নতমানের খাবার দিয়েছে, যা বিরল ঘটনা। আবেগাপ্লুতো আব্দুর রহিম এসময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবার মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রস্টেট পুরুষদের ইন্টারনাল অর্গানের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটা না থাকলে মানুষের জীবন শুধু ঝুঁকিপূর্ণ হয় তা-ই নয়, পুরুষের সুখময় দাম্পত্য জীবনেও নানা জটিলতা দেখা দেয়। এছাড়া প্রস্টেটের নানা সমস্যা, নানা রোগের কারণে পুরুষেরা অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করেন। বিশেষ করে প্রশ্রাব বন্ধ হলে তারা যন্ত্রণায় দিশেহারা হয়ে যান। এ অবস্থায় যিনি চিকিৎসা দিয়ে তাদের সুস্থ্য করেন তার প্রতি রোগীদের এক অন্যরকম ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। আজকের অনুষ্ঠানে অর্ধশত রোগীর প্রত্যেকের অনুভূতিতে তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
দেশের গরীব রোগীদের কথা চিন্তা করে বছরজুড়ে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকে আদ্-দ্বীন হাসপাতাল। এরই অংশ হিসেবে ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে এই মহৎ সেবাটিও বিনামূল্যে দিয়ে থাকেন তারা। এ বছরও এ চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমে ৩০০ জনের বেশি রোগী প্রস্টেট জনিত সব ধরণের চিকিৎসা সেবা পেয়েছেন। এর মধ্যে অধ্যাপক ডা. আফিকুর রহমান নিজের তত্ত্বাবধানে ৫০ জন রোগীর অপারেশন করেছেন।
অনুষ্ঠানে হাসপাতালের পরিচালক ডা. নাহিদ ইয়াসমিন বলেন, আমাদের হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক ডা. শেখ মহিউদ্দিন স্যারের স্বপ্ন দেশের মানুষের দোরগোড়ায় সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। সে লক্ষ্যেই আমরা দেশের গরিব রোগীদের জন্য যেকোনো চিকিৎসা সেবা অন্যান্য হাসপাতালের চেয়ে অনেক কম খরচে দিয়ে থাকি। আর সারা বছরই বিনামূল্যে চিকিৎসা পান অসংখ্য রোগী। প্রস্টেট গ্রন্থির সমস্যায় ভোগা রোগীর জন্যও পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বিনামূল্যে সেবা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে নিজের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করতে গিয়ে আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ও ইউরোলোজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আফিকুর রহমানও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, আমার জীবনে যদি কোনো আননন্দের দিন থাকে সেটা হলো আজকের দিনটি। আমি আজকে কী বলবো বুঝতে পারছি না। তবে আমি যখন প্রস্টেট রোগীদের দেখি তখন আমার বাবার চেহারা আমার সামনে ফুঁটে ওঠে। কারণ, তিনিও এই রোগে ভুগেছেন। এ রোগের কষ্ট আমি বুঝি। এজন্য আমি আলাদা শক্তি পাই, অনুপ্রেরণা পাই। আমি তার অনুপ্রেরণায় ইউরোলোজি নিয়ে পড়েছি।
তিনি আরো বলেন, আজকে আমি আপনাদের যে সেবা করতে পেরেছি তার পুরো কৃতিত্ব হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক ডা. শেখ মহিউদ্দিন সাহেবের। কারণ তিনি আমাকে বিনামূল্যে আপনাদের সেবা দেওয়ার এই সুযোগ করে দিয়েছেন। আমরা সবাই তার প্রতি কৃতজ্ঞ। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন অপারেশন থিয়েটারের ইনচার্জ ডা. লুনিয়া রহমান, পুরুষ ওয়ার্ডের ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম।
কথাগুলো বলতে বলতে আব্দুর রহিমের দুই চোখ বেয়ে পানি নামতে থাকে। আবেগাপ্লুত আব্দুর রহিম মাইক্রোফোন হাতে নীরবভাবে দাঁড়িয়ে থাকেন মঞ্চে। কয়েক সেকেন্ডের জন্য যেন তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। হঠাৎ নিজেকে ফিরে পেয়ে আব্দুর রহিম মাইকে চিৎকার দিয়ে ওঠেন, ‘স্যার আমি আপনার একটা ফটো নেবো স্যার!’ আপনার চেহারা দেখলে আমার সব রোগ ভুলে যাই।
অনুষ্ঠানে আব্দুর রহিম কান্নাজড়িত কণ্ঠে আদ্-দ্বীন হাসপাতালের সেবা সম্পর্কে বলেন, আমি ঢাকার বহু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি কিন্তু এতো সুন্দর পরিষ্কারপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, প্রত্যেকের সুন্দর ব্যবহার কোথাও পাইনি। তাছাড়া আমাদের চিকিৎসা চলাকালে তারা বিনামূল্যে আমাদের উন্নতমানের খাবার দিয়েছে, যা বিরল ঘটনা। আবেগাপ্লুতো আব্দুর রহিম এসময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবার মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রস্টেট পুরুষদের ইন্টারনাল অর্গানের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটা না থাকলে মানুষের জীবন শুধু ঝুঁকিপূর্ণ হয় তা-ই নয়, পুরুষের সুখময় দাম্পত্য জীবনেও নানা জটিলতা দেখা দেয়। এছাড়া প্রস্টেটের নানা সমস্যা, নানা রোগের কারণে পুরুষেরা অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করেন। বিশেষ করে প্রশ্রাব বন্ধ হলে তারা যন্ত্রণায় দিশেহারা হয়ে যান। এ অবস্থায় যিনি চিকিৎসা দিয়ে তাদের সুস্থ্য করেন তার প্রতি রোগীদের এক অন্যরকম ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। আজকের অনুষ্ঠানে অর্ধশত রোগীর প্রত্যেকের অনুভূতিতে তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
দেশের গরীব রোগীদের কথা চিন্তা করে বছরজুড়ে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকে আদ্-দ্বীন হাসপাতাল। এরই অংশ হিসেবে ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে এই মহৎ সেবাটিও বিনামূল্যে দিয়ে থাকেন তারা। এ বছরও এ চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমে ৩০০ জনের বেশি রোগী প্রস্টেট জনিত সব ধরণের চিকিৎসা সেবা পেয়েছেন। এর মধ্যে অধ্যাপক ডা. আফিকুর রহমান নিজের তত্ত্বাবধানে ৫০ জন রোগীর অপারেশন করেছেন।
অনুষ্ঠানে হাসপাতালের পরিচালক ডা. নাহিদ ইয়াসমিন বলেন, আমাদের হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক ডা. শেখ মহিউদ্দিন স্যারের স্বপ্ন দেশের মানুষের দোরগোড়ায় সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। সে লক্ষ্যেই আমরা দেশের গরিব রোগীদের জন্য যেকোনো চিকিৎসা সেবা অন্যান্য হাসপাতালের চেয়ে অনেক কম খরচে দিয়ে থাকি। আর সারা বছরই বিনামূল্যে চিকিৎসা পান অসংখ্য রোগী। প্রস্টেট গ্রন্থির সমস্যায় ভোগা রোগীর জন্যও পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বিনামূল্যে সেবা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে নিজের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করতে গিয়ে আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ও ইউরোলোজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আফিকুর রহমানও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, আমার জীবনে যদি কোনো আননন্দের দিন থাকে সেটা হলো আজকের দিনটি। আমি আজকে কী বলবো বুঝতে পারছি না। তবে আমি যখন প্রস্টেট রোগীদের দেখি তখন আমার বাবার চেহারা আমার সামনে ফুঁটে ওঠে। কারণ, তিনিও এই রোগে ভুগেছেন। এ রোগের কষ্ট আমি বুঝি। এজন্য আমি আলাদা শক্তি পাই, অনুপ্রেরণা পাই। আমি তার অনুপ্রেরণায় ইউরোলোজি নিয়ে পড়েছি।
তিনি আরো বলেন, আজকে আমি আপনাদের যে সেবা করতে পেরেছি তার পুরো কৃতিত্ব হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক ডা. শেখ মহিউদ্দিন সাহেবের। কারণ তিনি আমাকে বিনামূল্যে আপনাদের সেবা দেওয়ার এই সুযোগ করে দিয়েছেন। আমরা সবাই তার প্রতি কৃতজ্ঞ। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন অপারেশন থিয়েটারের ইনচার্জ ডা. লুনিয়া রহমান, পুরুষ ওয়ার্ডের ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম।
No comments