ত্রিপুরায় সরকার-বিরোধী দলের সহিংসতায় অচল আখাউড়া স্থলবন্দর
ভারতের
ত্রিপুরা রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় অস্থিতিশীল
পরিস্থিতির কারণে আখাউড়া-আগরতলা স্থলবন্দর সীমান্তপথে আমদানি-রফতানি
অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। শনিবার থেকে আখাউড়া-আগরতলা স্থলবন্দর
দিয়ে সব ধরনের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে আখাউড়া স্থলবন্দরে
অন্তত অর্ধশতাধিক পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকা পড়েছে। তবে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম
বন্ধ থাকলেও দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
অপরদিকে পাচারকারীদের দৌরাত্ম্যে আসল ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে
গত ১০ দিন ধরে ত্রিপুরায় মাছ রফতানি বন্ধ রয়েছে। মাছ রফতানি জটিলতাসহ
বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন রফতানি বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট
ব্যবসায়ী নেতারা, সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে
সোমবার বৈঠক করেছে। জানা যায়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিধানসভার
নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে সেখানকার সরকারপন্থী এবং বিরোধীদের মধ্যে
সহিংসতা চলছে। রাজনৈতিক এমন অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা কোনো
ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়াই বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের পণ্য আমদানি বন্ধ করে
দিয়েছেন।
ফলে শনিবার থেকে আখাউড়া-আগরতলা স্থলবন্দর দিয়ে সব ধরনের
আমদানি-রফতানি বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। আখাউড়া স্থলবন্দরের
ব্যবসায়ী মনির হোসেন বাবুল ও রাজীব ভূঁইয়া যুগান্তরকে জানান, ভারতীয়
ব্যবসায়ীরা পূর্বঘোষণা ছাড়াই পণ্য আমদানি বন্ধ রাখায় স্থলবন্দরে অচলাবস্থার
সৃষ্টি হয়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তারা যদি আগে থেকে আমাদের জানাতেন
তাহলে রফতানি কার্যক্রম স্থগিত করা হতো। এতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ক্ষতি
কম হতো। আগরতলা ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মণিষ বিশ্বাস হাবুল
যুগান্তরকে বলেন, রাজ্য সরকার পটপরিবর্তনের কারণে সাময়িকভাবে কিছুদিন
আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে সাময়িক সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি
স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। আখাউড়া স্থলবন্দর ইনচার্জ
মো. আবদুল কাদের জিলানী যুগান্তরকে বলেন, ভারতের ত্রিপুরায় রফতানির
উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাথর, শুঁটকি ও সিমেন্টবোঝাই
অর্ধশতাধিক ট্রাক বন্দরে আটকা পড়েছে। তবে কবে নাগাদ ভারতীয় ব্যবসায়ীরা পণ্য
আমদানি শুরু করবে এ বিষয়ে তিনি স্পষ্ট কোনো ধারণা দিতে পারেননি। আখাউড়া
স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ইনচার্জ (এসআই) মো. পিয়ার আহম্মেদ
যুগান্তরকে বলেন, পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকলেও ত্রিপুরার
চলমান পরিস্থিতির কারণে যাত্রী চলাচল তুলনামূলকভাবে কমে গেছে।
No comments