টিলারসনকে সরাতে আরব আমিরাতের লবিং
যুক্তরাষ্ট্রের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনকে অপসারণ করতে লবিং করেছে সংযুক্ত আরব
আমিরাত। আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সংকট চলার সময় আরব
আমিরাতের (ইউএই) পক্ষে ছিলেন না টিলারসন। এ কারণেই তাকে অপসারণে লবিং করে
দেশটি। ফাঁস হওয়া কিছু ইমেইলের বরাতে এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম প্রধান তহবিল সংগ্রহকারী এলিয়ট ব্রয়ডি ইউএই’র পক্ষে ওই লবিং প্রচেষ্টা চালান। ইউএই’র সঙ্গে ব্যপক ব্যবসায়িক লেনদেনও আছে তার। ফাঁস হওয়া ইমেইল থেকে দেখা গেছে, ২০১৭ সালের অক্টোবরে ইলিয়ট ব্রয়ডি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। ওই সাক্ষাতেই তিনি প্রেসিডেন্টের প্রতি টিলারসনকে অপসারণের আহবান জানান।
এ ব্যাপারে ব্রয়ডির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, কাতারের এজেন্টরা তার ইমেইল হ্যাক করেছে। তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু ইমেইল পরিবর্তিতও হয়ে থাকতে পারে। তবে কাতারের কর্মকর্তারা ব্রয়ডির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এর আগে নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকা জানায়, অর্থ প্রদানের মাধ্যমে মার্কিন প্রশাসনে প্রভাব অর্জন করতে চেয়েছিল কিনা আরব আমিরাত, তা খতিয়ে দেখছেন মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ তদন্তের দায়িত্বে থাকা স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলার। এ তদন্তের আওতায় ব্রয়ডি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্সের উপদেষ্টা জর্জ নাদেরের ব্যাপারে তদন্ত করছে মুলারের দল। পত্রিকাটি আরও জানিয়েছে, ব্রয়ডির প্রতিরক্ষা কোম্পানি সারকিনাসের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোটি কোটি ডলারের চুক্তি রয়েছে। এছাড়া অক্টোবরে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের কয়েকদিন আগে তিনি ইউএই থেকে ঘুরে আসেন।
২০১৭ সালের জুনে সৌদি আরব, ইউএই ও বেশ কয়েকটি আরব রাষ্ট্র কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। দেশগুলোর অভিযোগ, কাতার সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন করছে। তবে কাতার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। নজিরবহীন ওই ঘটনা ক্ষমতাধর উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে তীব্র বিরোধের প্রতিফলন বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
এই বিরোধের এখনও কোনো সুরাহা হয়নি। সংকট যখন তুঙ্গে, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রকাশ্যেই সৌদি ও আমিরাতের পক্ষালম্বন করেন। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে টিলারসন দীর্ঘদিনের মার্কিন নীতির পক্ষেই ছিলেন। দৃশ্যত, তিনি কাতারের পক্ষে অবস্থান নেন। ফাঁস হওয়া ইমেইল থেকে দেখা যাচ্ছে, টিলারসনের ওই ভূমিকা নিয়ে ভীষণ অসন্তুষ্ট ছিল ইউএই।
খবরে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম প্রধান তহবিল সংগ্রহকারী এলিয়ট ব্রয়ডি ইউএই’র পক্ষে ওই লবিং প্রচেষ্টা চালান। ইউএই’র সঙ্গে ব্যপক ব্যবসায়িক লেনদেনও আছে তার। ফাঁস হওয়া ইমেইল থেকে দেখা গেছে, ২০১৭ সালের অক্টোবরে ইলিয়ট ব্রয়ডি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। ওই সাক্ষাতেই তিনি প্রেসিডেন্টের প্রতি টিলারসনকে অপসারণের আহবান জানান।
এ ব্যাপারে ব্রয়ডির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, কাতারের এজেন্টরা তার ইমেইল হ্যাক করেছে। তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু ইমেইল পরিবর্তিতও হয়ে থাকতে পারে। তবে কাতারের কর্মকর্তারা ব্রয়ডির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এর আগে নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকা জানায়, অর্থ প্রদানের মাধ্যমে মার্কিন প্রশাসনে প্রভাব অর্জন করতে চেয়েছিল কিনা আরব আমিরাত, তা খতিয়ে দেখছেন মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ তদন্তের দায়িত্বে থাকা স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলার। এ তদন্তের আওতায় ব্রয়ডি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্সের উপদেষ্টা জর্জ নাদেরের ব্যাপারে তদন্ত করছে মুলারের দল। পত্রিকাটি আরও জানিয়েছে, ব্রয়ডির প্রতিরক্ষা কোম্পানি সারকিনাসের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোটি কোটি ডলারের চুক্তি রয়েছে। এছাড়া অক্টোবরে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের কয়েকদিন আগে তিনি ইউএই থেকে ঘুরে আসেন।
২০১৭ সালের জুনে সৌদি আরব, ইউএই ও বেশ কয়েকটি আরব রাষ্ট্র কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। দেশগুলোর অভিযোগ, কাতার সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন করছে। তবে কাতার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। নজিরবহীন ওই ঘটনা ক্ষমতাধর উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে তীব্র বিরোধের প্রতিফলন বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
এই বিরোধের এখনও কোনো সুরাহা হয়নি। সংকট যখন তুঙ্গে, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রকাশ্যেই সৌদি ও আমিরাতের পক্ষালম্বন করেন। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে টিলারসন দীর্ঘদিনের মার্কিন নীতির পক্ষেই ছিলেন। দৃশ্যত, তিনি কাতারের পক্ষে অবস্থান নেন। ফাঁস হওয়া ইমেইল থেকে দেখা যাচ্ছে, টিলারসনের ওই ভূমিকা নিয়ে ভীষণ অসন্তুষ্ট ছিল ইউএই।
No comments