দেশে এখন দুঃশাসন চলছে
জাতীয়
পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন,
বাংলাদেশ এখন মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে, দেশে এখন দুঃশাসন চলছে। দেশের মানুষ
এমন গণতন্ত্র চায় না, জনগণের গণতন্ত্র চায়। প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললেই
হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও দুর্নীতি ছাড়া কোন সুসংবাদ পাওয়া যায় না। দেশে চরম
দুঃশাসন চলছে মানুষের কোন নিরাপত্তা নেই। প্রকাশক দীপনের বাবা কেন তার
সন্তানের হত্যার বিচার চান না তা আমাদের সবাইকে বুঝতে হবে। বিচার পাওয়ার
কোন সম্ভাবনা নেই বুঝতে পেরেই সন্তান হত্যার কষ্ট বুকে নিয়েও উনি বিচার
চাননি। সরকারের একের পর এক ব্যর্থতা, দুঃশাসন ও দুর্নীতির কারণেই এমন
হত্যাকাণ্ড বন্ধ হচ্ছে না। নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজ মিলনায়তনে
গতকাল দুপুরে নাটোর জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল
অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এরশাদ আরও বলেন, মানুষ জানতে চায় দেশে এসব কি হচ্ছে? কেন এমন হচ্ছে? আমরা কোন উত্তর দিতে পারি না। আমি ক্ষমতা গ্রহণের সময় দেশে ৭৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ছিল ক্ষমতা ছাড়ার সময় রেখে গিয়েছিলাম চার হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। আমি ২৪টি জেলা, সব উপজেলা, সকল উপজেলায় হাসপাতাল, এলজিইডি স্থাপনের মাধ্যমে সারা দেশে রাস্তা-ঘাটসহ সব ধরনের উন্নয়ন করেছি। এখনও প্রেসিডেন্ট পদ্ধতিতে ভোট দিলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে হারিয়ে তিনি বিজয়ী হবেন বলে দুই নেত্রীর উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহাসচিব জিয়া উদ্দিন বাবলু বলেন, এরশাদ সু-শাসনের প্রতীক আর শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়া দুঃশাসনের প্রতীক।
সাবেক মন্ত্রী জিএম কাদের বলেন, নাটোর, ঢাকা বা পুলিশ স্টেশন কোথাও কোন মানুষ এখন আর নিরাপদ নয়, যে কোন সময় ছাত্রলীগের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুবলীগের সংঘর্ষে আমার আপনার মতো সাধারণ মানুষের মৃত্যু হবে না এর কোন নিশ্চয়তা নেই। যে কোন মানুষকে ডিবি, র্যাব, পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে পরে তার আর কখনও কোন খবর পাওয়া যাবে না এটাই এখন স্বাভাবিক। দেশে কিছু অসাধারণ মানুষও আছে। যাদের হাতে এখন দেশের সব ব্যবসা ও চাকরি। মনে হয় দেশটা তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। তাদের চাঁদা না দিয়ে দেশে কেউ চলতে পারে না। চাঁদার সেই টাকা তারা দেশে রাখতে না পেরে বিদেশে জুয়ার আড্ডায় খরচ করছে।
সম্মেলনে নাটোর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সাবেক এমপি মজিবুর রহমান সেন্টুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী জিএম কাদের ও সুনীল শুভ রায়। পরে সাবেক এমপি মজিবুর রহমান সেন্টুকে নাটোর জেলা জাপার সভাপতি ও আলাউদ্দিন মৃধাকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে আগামী ১০ দিনের মধ্যে জেলা জাতীয় পার্টির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা দেয়ার কথা জানান এরশাদ। সম্মেলন ও এরশাদের আগমন উপলক্ষে নাটোর জেলা শহর ও জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়কে বিপুলসংখ্যক তোরণ নির্মাণ করা হয়।
এরশাদ আরও বলেন, মানুষ জানতে চায় দেশে এসব কি হচ্ছে? কেন এমন হচ্ছে? আমরা কোন উত্তর দিতে পারি না। আমি ক্ষমতা গ্রহণের সময় দেশে ৭৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ছিল ক্ষমতা ছাড়ার সময় রেখে গিয়েছিলাম চার হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। আমি ২৪টি জেলা, সব উপজেলা, সকল উপজেলায় হাসপাতাল, এলজিইডি স্থাপনের মাধ্যমে সারা দেশে রাস্তা-ঘাটসহ সব ধরনের উন্নয়ন করেছি। এখনও প্রেসিডেন্ট পদ্ধতিতে ভোট দিলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে হারিয়ে তিনি বিজয়ী হবেন বলে দুই নেত্রীর উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহাসচিব জিয়া উদ্দিন বাবলু বলেন, এরশাদ সু-শাসনের প্রতীক আর শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়া দুঃশাসনের প্রতীক।
সাবেক মন্ত্রী জিএম কাদের বলেন, নাটোর, ঢাকা বা পুলিশ স্টেশন কোথাও কোন মানুষ এখন আর নিরাপদ নয়, যে কোন সময় ছাত্রলীগের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুবলীগের সংঘর্ষে আমার আপনার মতো সাধারণ মানুষের মৃত্যু হবে না এর কোন নিশ্চয়তা নেই। যে কোন মানুষকে ডিবি, র্যাব, পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে পরে তার আর কখনও কোন খবর পাওয়া যাবে না এটাই এখন স্বাভাবিক। দেশে কিছু অসাধারণ মানুষও আছে। যাদের হাতে এখন দেশের সব ব্যবসা ও চাকরি। মনে হয় দেশটা তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। তাদের চাঁদা না দিয়ে দেশে কেউ চলতে পারে না। চাঁদার সেই টাকা তারা দেশে রাখতে না পেরে বিদেশে জুয়ার আড্ডায় খরচ করছে।
সম্মেলনে নাটোর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সাবেক এমপি মজিবুর রহমান সেন্টুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী জিএম কাদের ও সুনীল শুভ রায়। পরে সাবেক এমপি মজিবুর রহমান সেন্টুকে নাটোর জেলা জাপার সভাপতি ও আলাউদ্দিন মৃধাকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে আগামী ১০ দিনের মধ্যে জেলা জাতীয় পার্টির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা দেয়ার কথা জানান এরশাদ। সম্মেলন ও এরশাদের আগমন উপলক্ষে নাটোর জেলা শহর ও জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়কে বিপুলসংখ্যক তোরণ নির্মাণ করা হয়।
No comments