৪৮ ঘণ্টা পর মামলা, ভরসা সিসিসির ফুটেজ
‘দেশের
প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আছে, আস্থা আছে, তবে চলমান বিচারের প্রতি
ভরসা নেই।’ ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর গতকাল সোমবার দুপুরে ছেলের হত্যার এজাহার
লিখতে লিখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কার্যালয়ে বসে এ কথা বললেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।
জাগৃতি প্রকাশনীর কর্ণধার ফয়সল আরেফিনের (দীপন) বাবা তিনি। গত শনিবার আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতির কার্যালয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ফয়সলকে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আছে, তাই মামলা করছেন জানিয়ে অধ্যাপক ফজলুল হক বলেন, ‘দেখেন, গত পাঁচ বছরে কোনো মামলার রায় হয়েছে কি না। আর দু-একটি রায় হলেও সেগুলো কার্যকর হয়েছে কতটুকু।’
মামলা লেখা শেষে শাহবাগ থানায় গিয়ে তা জমা দেওয়া হয়। মামলার বাদী হয়েছেন ফয়সলের স্ত্রী রাজিয়া রহমান। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। একই দিনে লালমাটিয়ায় হামলার ঘটনায় গতকাল মোহাম্মদপুর থানায় আরেকটি মামলা করেছেন প্রকাশনা সংস্থা শুদ্ধস্বরের মালিক আহমেদুর রশীদ চৌধুরী (টুটুল)। আহমেদুরসহ তিনজনকে লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। তিনজন এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানিয়েছে, হাসপাতাল থেকে আহমেদুরের স্বাক্ষর নিয়ে মামলাটি করা হয়েছে। এই মামলায়ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। হামলার দুই দিন পরে এ দুটি মামলা করা হলো।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, ফয়সল আরেফিনকে হত্যার অভিযোগে তাঁর স্ত্রী রাজিয়া রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করেগতকাল দুপুরে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ৩। মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে, লালমাটিয়ায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আহমেদুর বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। তবে এ দুটি মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানিয়েছে দুই থানা পুলিশ।
ঘটনার শুরু থেকেই মামলার ছায়া তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। ডিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা আজিজ সুপার মার্কেটের কয়েকটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করছেন। তবে এখন পর্যন্ত সেসব ফুটেজ থেকে সন্দেহভাজন কাউকেই শনাক্ত করা যায়নি। লালমাটিয়ায় যে বাড়িটিতে শুদ্ধস্বরের কার্যালয়, তার আশপাশের কয়েকটি বাড়ির নিরাপত্তা ক্যামেরা থেকেও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল লালমাটিয়া সি-ব্লকের ওই বাড়িটিতে গিয়ে দেখা গেছে, তিনটি পরিবার ছাড়া বাড়িটির আর সব ফ্ল্যাটে তালা মারা। বাড়িটিতে কোনো নিরাপত্তারক্ষী বা পুলিশ নেই। মূল ফটক দিয়ে ঢুকে বিনা বাধায় ওপরে ওঠা যায়। ওপরে ওঠার সিঁড়িতে রক্তমাখা জুতার ছাপ কিছুটা ঝাপসা হয়ে এসেছে।
বাড়িটির ছাদে দুটি পরিবার থাকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বাসিন্দা বলেন, ঘটনার সময় ধস্তাধস্তির শব্দ শুনেছেন। পরে ‘বাঁচাও’ বলে চিৎকার শুনেছেন। কিন্তু শহরে কে আর কার বিপদে এগিয়ে যাওয়ার সাহস পায়? তাই তিনি ও তাঁর পরিবারের কেউ সাহস করে নিচে নামতে পারেননি। রক্তাক্ত একজনকে পুলিশ যখন হাসপাতালে নিয়ে যায়, তখন ছাদ থেকেই সে দৃশ্য দেখেছেন। বড়দের মুখে বিভিন্ন কথা শুনতে শুনতে তাঁর মেয়েটি (ছয় বছর) অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তবে চাইলেই তো আর বাসা পাল্টানো সম্ভব নয়। ছাদ থেকে নামার পথে ছাদে বসবাসকারী আরেকজনের সঙ্গে দেখা হয়। তিনি স্কুল থেকে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। জানালেন, ঘটনার দিন তিনি বাড়ি ছিলেন না। তবে দিনদুপুরে এ ধরনের ঘটনা ঘটার পর থেকেই ‘গা ছমছম’ করছে।
এদিকে ফয়সল হত্যার পর থেকে শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রোববার থেকে তিন দিন দোকান বন্ধ করে শোক ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন মার্কেটটির ব্যবসায়ীরা। এর অংশ হিসেবে গতকালও মার্কেটের ৫৭০টি দোকান ও কার্যালয় বন্ধ ছিল। প্রতিবাদের কালো কাপড়ে ছেয়ে আছে ভবনটি। গতকাল মার্কেটের এক, দুই আর তিনতলায় দোকানগুলোর নামফলকও কালো কাপড়ে ঢাকা পড়ে আছে। মার্কেটের প্রবেশপথগুলো সব বন্ধ। সেখানে বসে আছেন সশস্ত্র পুলিশ সদস্যরা। পূর্ব প্রান্তের প্রবেশপথ দিয়ে কেবল মার্কেট-সংশ্লিষ্ট লোকজনদের ঢুকতে দিচ্ছেন চারজন পুলিশ সদস্য। তাঁদের সঙ্গে আছেন মার্কেটের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরাও। আর যেখানে ফয়সলকে হত্যা করা হয়েছে, সেই জাগৃতির কার্যালয়ের সামনে হলুদ নিরাপত্তা ফিতা দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। দুজন পুলিশ সদস্য সেই জায়গাটিও পাহারা দিচ্ছেন। শাহবাগ থানার ওসি আবু বকর জানান, এক প্লাটুন পুলিশ আজিজ সুপার মার্কেটের পাহারায় রাখা হয়েছে। এই ব্যবস্থা আরও কয়েক দিন থাকবে।
জাগৃতি প্রকাশনীর কর্ণধার ফয়সল আরেফিনের (দীপন) বাবা তিনি। গত শনিবার আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতির কার্যালয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ফয়সলকে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আছে, তাই মামলা করছেন জানিয়ে অধ্যাপক ফজলুল হক বলেন, ‘দেখেন, গত পাঁচ বছরে কোনো মামলার রায় হয়েছে কি না। আর দু-একটি রায় হলেও সেগুলো কার্যকর হয়েছে কতটুকু।’
মামলা লেখা শেষে শাহবাগ থানায় গিয়ে তা জমা দেওয়া হয়। মামলার বাদী হয়েছেন ফয়সলের স্ত্রী রাজিয়া রহমান। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। একই দিনে লালমাটিয়ায় হামলার ঘটনায় গতকাল মোহাম্মদপুর থানায় আরেকটি মামলা করেছেন প্রকাশনা সংস্থা শুদ্ধস্বরের মালিক আহমেদুর রশীদ চৌধুরী (টুটুল)। আহমেদুরসহ তিনজনকে লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। তিনজন এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানিয়েছে, হাসপাতাল থেকে আহমেদুরের স্বাক্ষর নিয়ে মামলাটি করা হয়েছে। এই মামলায়ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। হামলার দুই দিন পরে এ দুটি মামলা করা হলো।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, ফয়সল আরেফিনকে হত্যার অভিযোগে তাঁর স্ত্রী রাজিয়া রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করেগতকাল দুপুরে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ৩। মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে, লালমাটিয়ায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আহমেদুর বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। তবে এ দুটি মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানিয়েছে দুই থানা পুলিশ।
ঘটনার শুরু থেকেই মামলার ছায়া তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। ডিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা আজিজ সুপার মার্কেটের কয়েকটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করছেন। তবে এখন পর্যন্ত সেসব ফুটেজ থেকে সন্দেহভাজন কাউকেই শনাক্ত করা যায়নি। লালমাটিয়ায় যে বাড়িটিতে শুদ্ধস্বরের কার্যালয়, তার আশপাশের কয়েকটি বাড়ির নিরাপত্তা ক্যামেরা থেকেও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল লালমাটিয়া সি-ব্লকের ওই বাড়িটিতে গিয়ে দেখা গেছে, তিনটি পরিবার ছাড়া বাড়িটির আর সব ফ্ল্যাটে তালা মারা। বাড়িটিতে কোনো নিরাপত্তারক্ষী বা পুলিশ নেই। মূল ফটক দিয়ে ঢুকে বিনা বাধায় ওপরে ওঠা যায়। ওপরে ওঠার সিঁড়িতে রক্তমাখা জুতার ছাপ কিছুটা ঝাপসা হয়ে এসেছে।
বাড়িটির ছাদে দুটি পরিবার থাকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বাসিন্দা বলেন, ঘটনার সময় ধস্তাধস্তির শব্দ শুনেছেন। পরে ‘বাঁচাও’ বলে চিৎকার শুনেছেন। কিন্তু শহরে কে আর কার বিপদে এগিয়ে যাওয়ার সাহস পায়? তাই তিনি ও তাঁর পরিবারের কেউ সাহস করে নিচে নামতে পারেননি। রক্তাক্ত একজনকে পুলিশ যখন হাসপাতালে নিয়ে যায়, তখন ছাদ থেকেই সে দৃশ্য দেখেছেন। বড়দের মুখে বিভিন্ন কথা শুনতে শুনতে তাঁর মেয়েটি (ছয় বছর) অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তবে চাইলেই তো আর বাসা পাল্টানো সম্ভব নয়। ছাদ থেকে নামার পথে ছাদে বসবাসকারী আরেকজনের সঙ্গে দেখা হয়। তিনি স্কুল থেকে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। জানালেন, ঘটনার দিন তিনি বাড়ি ছিলেন না। তবে দিনদুপুরে এ ধরনের ঘটনা ঘটার পর থেকেই ‘গা ছমছম’ করছে।
এদিকে ফয়সল হত্যার পর থেকে শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রোববার থেকে তিন দিন দোকান বন্ধ করে শোক ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন মার্কেটটির ব্যবসায়ীরা। এর অংশ হিসেবে গতকালও মার্কেটের ৫৭০টি দোকান ও কার্যালয় বন্ধ ছিল। প্রতিবাদের কালো কাপড়ে ছেয়ে আছে ভবনটি। গতকাল মার্কেটের এক, দুই আর তিনতলায় দোকানগুলোর নামফলকও কালো কাপড়ে ঢাকা পড়ে আছে। মার্কেটের প্রবেশপথগুলো সব বন্ধ। সেখানে বসে আছেন সশস্ত্র পুলিশ সদস্যরা। পূর্ব প্রান্তের প্রবেশপথ দিয়ে কেবল মার্কেট-সংশ্লিষ্ট লোকজনদের ঢুকতে দিচ্ছেন চারজন পুলিশ সদস্য। তাঁদের সঙ্গে আছেন মার্কেটের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরাও। আর যেখানে ফয়সলকে হত্যা করা হয়েছে, সেই জাগৃতির কার্যালয়ের সামনে হলুদ নিরাপত্তা ফিতা দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। দুজন পুলিশ সদস্য সেই জায়গাটিও পাহারা দিচ্ছেন। শাহবাগ থানার ওসি আবু বকর জানান, এক প্লাটুন পুলিশ আজিজ সুপার মার্কেটের পাহারায় রাখা হয়েছে। এই ব্যবস্থা আরও কয়েক দিন থাকবে।
No comments