হোসেনি দালানে আহতদের অবস্থা ভালোর দিকে
ছয়
বছরের হাসানকে দেখা গেল সিরিঞ্জ নিয়ে খেলছে। ওটা দিয়ে কী করবে, জিজ্ঞাসা
করতেই বলল, ‘ওটা দিয়ে দুষ্ট লোকদের শাস্তি দিব।’ তার স্প্লিন্টারবিদ্ধ
হওয়া বাঁ হাতে এখনো ব্যান্ডেজ বাঁধা রয়েছে। তার ক্ষতগুলো শুকিয়ে এসেছে।
অন্য আহতরা প্রায় সুস্থ হয়ে উঠলেও এখন পর্যন্ত হোসেনি দালানে হামলাকারীদের
শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
গত ২৩ অক্টোবর গভীর রাতে পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে গ্রেনেড হামলায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে শিশু হাসান ও তার মা রীনা বেগম (৩৮)। মাকে ছাড়া হাসান থাকতে পারে না বলে দুই বিছানা জোড়া দিয়ে ২০৬ নম্বর ওয়ার্ডে পাশাপাশি বিছানায় মা-ছেলের চিকিৎসা চলছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ১৩ জনের অবস্থা উন্নতির দিকে। আহত দুটি শিশু সোহান ও কয়েসের অবস্থারও উন্নতি হয়েছে। এদের মধ্যে পেটে স্প্লিন্টারবিদ্ধ সোহানের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। গুরুতর আহত আরেকজন রকিবের (২৫) অবস্থারও উন্নতি হয়েছে। তাঁরা এখন আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তবে এখনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না।
এদিকে এখন পর্যন্ত গ্রেনেড হামলায় সরাসরি জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারেননি তদন্তকারীরা। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, গাবতলীতে এএসআই হত্যাকারীরা এ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন।
গত ২৩ অক্টোবর গভীর রাতে পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আয়োজিত তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতি জমায়েতে হাতে তৈরি গ্রেনেড দিয়ে হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় দেড় শ লোক আহত হয়। আহতদের মধ্যে এক কিশোর ঘটনার রাতেই, আরেকজন ছয় দিন পরে মারা যায়। ওই হামলার আগের দিন ২২ অক্টোবর রাতে রাজধানীর গাবতলীতে এক ব্যক্তির ব্যাগ তল্লাশির সময় তার সঙ্গীর ছুরিকাঘাতে নিহত হন দারুস সালাম থানার এএসআই ইব্রাহিম মোল্লা। ঘটনাস্থল থেকেই মাসুদ রানা নামে একজনকে ধরে ফেলে পুলিশ।
পরে মাসুদের দেওয়া তথ্যমতে ২৩ অক্টোবর ভোরে কামরাঙ্গীরচর থেকে পাঁচটি হাতে তৈরি গ্রেনেডসহ তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানিয়েছে, একই রকম গ্রেনেড হোসেনি দালানে হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে। গ্রেনেডের মিল থাকার কারণে শুরু থেকেই পুলিশ ধারণা করছে যে একই চক্র এএসআই হত্যা ও হোসেনি দালানে হামলায় জড়িত। তবে সেই গ্রেনেডগুলো কোথায় তৈরি, কারা এটা তৈরি করেছে, সে বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেনি পুলিশ।
কর্মকর্তারা জানান, এএসআই হত্যায় ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার মাসুদ একজন শিবির কর্মী। এএসআই ইব্রাহিমকে ছুরিকাঘাতকারী এনামুল ওরফে কামাল বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি। ওই ঘটনায় ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তাদের কাছ থেকে হোসেনি দালানে হামলার বিষয়ে কোনো তথ্য মেলেনি।
হোসেনি দালানে হামলা ঘটনার তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম গতকাল বলেন, হোসেনি দালানে হামলার ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে পারেনি। তবে এএসআই হত্যার সঙ্গে জড়িতরা এ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, হোসেনি দালানের ৩২টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। দুজনকে গ্রেনেড ছুড়তেও দেখা গেছে। তবে তাদের চেহারা স্পষ্ট নয়। ওই হামলার সঙ্গে সরাসরি জামায়াত-শিবির জড়িত বা তাদের অর্থায়নে অন্য কোনো গোষ্ঠী হামলাটি চালিয়েছে বলে কর্মকর্তারা মনে করছেন।
গত ২৩ অক্টোবর গভীর রাতে পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে গ্রেনেড হামলায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে শিশু হাসান ও তার মা রীনা বেগম (৩৮)। মাকে ছাড়া হাসান থাকতে পারে না বলে দুই বিছানা জোড়া দিয়ে ২০৬ নম্বর ওয়ার্ডে পাশাপাশি বিছানায় মা-ছেলের চিকিৎসা চলছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ১৩ জনের অবস্থা উন্নতির দিকে। আহত দুটি শিশু সোহান ও কয়েসের অবস্থারও উন্নতি হয়েছে। এদের মধ্যে পেটে স্প্লিন্টারবিদ্ধ সোহানের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। গুরুতর আহত আরেকজন রকিবের (২৫) অবস্থারও উন্নতি হয়েছে। তাঁরা এখন আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তবে এখনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না।
এদিকে এখন পর্যন্ত গ্রেনেড হামলায় সরাসরি জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারেননি তদন্তকারীরা। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, গাবতলীতে এএসআই হত্যাকারীরা এ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন।
গত ২৩ অক্টোবর গভীর রাতে পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আয়োজিত তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতি জমায়েতে হাতে তৈরি গ্রেনেড দিয়ে হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় দেড় শ লোক আহত হয়। আহতদের মধ্যে এক কিশোর ঘটনার রাতেই, আরেকজন ছয় দিন পরে মারা যায়। ওই হামলার আগের দিন ২২ অক্টোবর রাতে রাজধানীর গাবতলীতে এক ব্যক্তির ব্যাগ তল্লাশির সময় তার সঙ্গীর ছুরিকাঘাতে নিহত হন দারুস সালাম থানার এএসআই ইব্রাহিম মোল্লা। ঘটনাস্থল থেকেই মাসুদ রানা নামে একজনকে ধরে ফেলে পুলিশ।
পরে মাসুদের দেওয়া তথ্যমতে ২৩ অক্টোবর ভোরে কামরাঙ্গীরচর থেকে পাঁচটি হাতে তৈরি গ্রেনেডসহ তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানিয়েছে, একই রকম গ্রেনেড হোসেনি দালানে হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে। গ্রেনেডের মিল থাকার কারণে শুরু থেকেই পুলিশ ধারণা করছে যে একই চক্র এএসআই হত্যা ও হোসেনি দালানে হামলায় জড়িত। তবে সেই গ্রেনেডগুলো কোথায় তৈরি, কারা এটা তৈরি করেছে, সে বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেনি পুলিশ।
কর্মকর্তারা জানান, এএসআই হত্যায় ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার মাসুদ একজন শিবির কর্মী। এএসআই ইব্রাহিমকে ছুরিকাঘাতকারী এনামুল ওরফে কামাল বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি। ওই ঘটনায় ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তাদের কাছ থেকে হোসেনি দালানে হামলার বিষয়ে কোনো তথ্য মেলেনি।
হোসেনি দালানে হামলা ঘটনার তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম গতকাল বলেন, হোসেনি দালানে হামলার ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে পারেনি। তবে এএসআই হত্যার সঙ্গে জড়িতরা এ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, হোসেনি দালানের ৩২টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। দুজনকে গ্রেনেড ছুড়তেও দেখা গেছে। তবে তাদের চেহারা স্পষ্ট নয়। ওই হামলার সঙ্গে সরাসরি জামায়াত-শিবির জড়িত বা তাদের অর্থায়নে অন্য কোনো গোষ্ঠী হামলাটি চালিয়েছে বলে কর্মকর্তারা মনে করছেন।
তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে হামলায় আহত শিশু হাসান এখন কিছুটা সুস্থ। ছবিটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গতকাল দুপুরে তোলা l আশরাফুল আলম |
No comments