অটোরিকশার নতুন ভাড়া কার্যকর- মিটারে চুক্তির কাছাকাছি ভাড়া আসছে, চালকেরা খুশি
রাজধানীতে
নতুন ভাড়া কার্যকরের প্রথম দিনে সিএনজিচালিত অটোরিকশার অধিকাংশই মিটারে
চলেছে। তবে যাত্রীরা বলেছেন, মিটারের ভাড়া আগের তুলনায় অনেক বেশি।
চালকেরাও এটা স্বীকার করেছেন। তাঁরা বলেছেন, আগে কোনো গন্তব্যে চুক্তিতে
যেতে তাঁরা যে ভাড়া চাইতেন, এখন মিটারে গেলে তার কাছাকাছি ভাড়াই উঠছে।
তাই তাঁরা মিটারে যাচ্ছেন।
গতকাল ভ্রাম্যমাণ আদালতের কড়াকড়ির কারণে রাজধানীতে অটোরিকশা ও বাসের স্বল্পতা ছিল। এর ফলে মানুষকে গণপরিবহন পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গতকাল ঢাকায় নয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। এর ফলে অন্তত অর্ধেক অটোরিকশা রাস্তায় নামেনি। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হালনাগাদ না থাকায় এবং লক্কড়ঝক্কড় কাঠামোর (ফিটনেসহীন) কারণে অনেক বাস রাস্তায় নামেনি।
বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনার জন্য ঢাকায় প্রায় সাড়ে ১২ হাজার অটোরিকশার নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। আরও প্রায় আট হাজার অটোরিকশা রয়েছে ব্যক্তিমালিকানার এবং ঢাকা জেলার মধ্যে চলবে—এমন ঘোষণায় নিবন্ধন নেওয়া। এগুলোতে মিটার লাগানোর বিষয়ে বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হাত করে ব্যক্তিমালিকানার ও ঢাকার বাইরের অটোরিকশাগুলোও এত দিন রাজধানীতে যাত্রী বহন করে আসছিল। গতকাল কড়াকড়ির কারণে সেগুলো চলেনি। অবশ্য বিকেলের দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বন্ধ হয়ে গেলে অনেক অটোরিকশা রাস্তায় নেমেছে।
গতকাল সকালে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি অটোরিকশা দাঁড় করিয়ে যাত্রীদের কাছে জানতে চান, মিটারে চলছে কি না। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকার গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে না পারলে সড়ক চার লেন কিংবা মেট্রোরেল করেও ফল আসবে না। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গলাকাটা ভাড়া আদায় করা হচ্ছিল। কিন্তু আজ (গতকাল) প্রায় ৯৫ শতাংশ অটোরিকশা সরকারি ভাড়া মেনে মিটারে চলেছে।
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রায় ২০০ অটোরিকশা থামিয়ে মিটারে চলছে কি না, তা যাচাই করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাশশেরুল ইসলাম বলেন, অটোরিকশায় মিটার আছে কি না,
মালিক ও চালকদের ‘মনঃপূত’ ভাড়া আজ থেকে কার্যকর মিটারে যাচ্ছে কি না, মূলত এ বিষয়গুলো দেখা হয়েছে। বাসের নির্ধারিত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে কি না, তা-ও যাচাই করা হয়েছে। বেশ উন্নতি দেখা গেছে।
অন্তত ১০ জন যাত্রী প্রথম আলোকে বলেছেন, বেশির ভাগ চালক সিদ্ধান্ত মানছেন দেখে তাঁরা খুশি। এই ধারা বজায় রাখতে সরকারের তৎপরতা অব্যাহত থাকুক এই প্রত্যাশা তাঁদের।
গতকাল অটোরিকশার ভাড়া পর্যবেক্ষণ করে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির দুটি দল। তারা রাজধানীর মতিঝিল, গুলিস্তান, পল্টন, প্রেসক্লাব ও এর আশপাশে ১১২ জন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে। ৯৬টি অটোরিকশার মিটার ঠিক আছে কি না, তা যাচাই করে এবং চালকদের সঙ্গে কথা বলে।
যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ৯৬টি অটোরিকশার মধ্যে ৮৩টিতে হালনাগাদ মিটার পাওয়া গেছে। দুটি অটোরিকশায় মিটারই ছিল না। বাকি ১১টি অটোরিকশার মিটার হালনাগাদ ছিল না। তিনি জানান, ১১২ জন যাত্রীর মধ্যে ৮৭ জন জানিয়েছেন নির্ধারিত ভাড়ায় মিটারে অটোরিকশায় চড়েছেন। ১৮ জন অভিযোগ করেছেন, চালকেরা চুক্তিতে যেতে বাধ্য করেছেন। সাতজন যাত্রী ও চালক জানিয়েছেন, যাত্রীর ইচ্ছাতেই চুক্তিতে যাচ্ছেন।
এর মধ্যে ইকবাল নামে এক যাত্রীর বরাত দিয়ে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ওই যাত্রী সদরঘাট থেকে বিমানবন্দরে যেতে অটোচালকের সঙ্গে ৬০০ টাকায় চুক্তি করেছেন। দূরের পথ, যানজটের ভয়—সব মিলিয়ে কত না-কত ভাড়া আসে, সেই ভাবনায় চুক্তিতে অটোরিকশায় চড়েছেন।
গতকাল পরিচালিত নয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মধ্যে ছয়টি ছিল বিআরটিএর। বাকি তিনটি ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিচালিত হয়। বিআরটিএ জানিয়েছে, তাদের ছয়টি আদালতে ৮৯টি মামলা হয়েছে। জরিমানা আদায় করা হয় ৮৯ হাজার ৪০০ টাকা। ১৪টি যান এবং তিনটি যানের কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
অটোরিকশার প্রথম দুই কিলোমিটারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ টাকা। পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১২ টাকা। প্রতি এক মিনিট ওয়েটিংয়ের (যাত্রাবিরতি, যানজট ও সিগন্যাল) জন্য দুই টাকা। মালিকের জমা দৈনিক ৯০০ টাকা।
অম্লমধুর অভিজ্ঞতা: বিকেলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইকবাল আহমেদ বলেন, যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ কুতুবখালী থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত মিটারে ভাড়া উঠল ১৮৫ টাকা। অন্য সময় চুক্তিতে এলে ২০০ টাকার কাছাকাছি নিত। তারপরও অটোরিকশা মিটারে চলছে দেখে তিনি সন্তুষ্ট।
অনেক যাত্রী বলেছেন, নতুন ভাড়ার হারটা বেশি। তবে চুক্তির বদলে মিটারে যেতে পারায় খুশি। কয়েকজন যাত্রী অভিযোগ করেন, অনেক চালক মিটারে যেতে রাজি হচ্ছেন। তবে আইনে যাত্রীদের চাহিদামতো গন্তব্যে যেতে বাধ্য থাকলেও তা গতকাল মানেননি অনেক চালক।
অটোরিকশা-সংকটের কথা জানিয়ে সকালে কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা ফরিদা পারভীন বলেন, তিনি মহাখালী যাওয়ার জন্য দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও অটোরিকশা পাচ্ছিলেন না। তিনি জানান, প্রতিদিন অটোরিকশায় ১৫০ টাকায় চুক্তিতে মহাখালী যান।
গতকাল ভ্রাম্যমাণ আদালতের কড়াকড়ির কারণে রাজধানীতে অটোরিকশা ও বাসের স্বল্পতা ছিল। এর ফলে মানুষকে গণপরিবহন পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গতকাল ঢাকায় নয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। এর ফলে অন্তত অর্ধেক অটোরিকশা রাস্তায় নামেনি। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হালনাগাদ না থাকায় এবং লক্কড়ঝক্কড় কাঠামোর (ফিটনেসহীন) কারণে অনেক বাস রাস্তায় নামেনি।
বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনার জন্য ঢাকায় প্রায় সাড়ে ১২ হাজার অটোরিকশার নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। আরও প্রায় আট হাজার অটোরিকশা রয়েছে ব্যক্তিমালিকানার এবং ঢাকা জেলার মধ্যে চলবে—এমন ঘোষণায় নিবন্ধন নেওয়া। এগুলোতে মিটার লাগানোর বিষয়ে বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হাত করে ব্যক্তিমালিকানার ও ঢাকার বাইরের অটোরিকশাগুলোও এত দিন রাজধানীতে যাত্রী বহন করে আসছিল। গতকাল কড়াকড়ির কারণে সেগুলো চলেনি। অবশ্য বিকেলের দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বন্ধ হয়ে গেলে অনেক অটোরিকশা রাস্তায় নেমেছে।
গতকাল সকালে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি অটোরিকশা দাঁড় করিয়ে যাত্রীদের কাছে জানতে চান, মিটারে চলছে কি না। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকার গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে না পারলে সড়ক চার লেন কিংবা মেট্রোরেল করেও ফল আসবে না। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গলাকাটা ভাড়া আদায় করা হচ্ছিল। কিন্তু আজ (গতকাল) প্রায় ৯৫ শতাংশ অটোরিকশা সরকারি ভাড়া মেনে মিটারে চলেছে।
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রায় ২০০ অটোরিকশা থামিয়ে মিটারে চলছে কি না, তা যাচাই করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাশশেরুল ইসলাম বলেন, অটোরিকশায় মিটার আছে কি না,
মালিক ও চালকদের ‘মনঃপূত’ ভাড়া আজ থেকে কার্যকর মিটারে যাচ্ছে কি না, মূলত এ বিষয়গুলো দেখা হয়েছে। বাসের নির্ধারিত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে কি না, তা-ও যাচাই করা হয়েছে। বেশ উন্নতি দেখা গেছে।
অন্তত ১০ জন যাত্রী প্রথম আলোকে বলেছেন, বেশির ভাগ চালক সিদ্ধান্ত মানছেন দেখে তাঁরা খুশি। এই ধারা বজায় রাখতে সরকারের তৎপরতা অব্যাহত থাকুক এই প্রত্যাশা তাঁদের।
গতকাল অটোরিকশার ভাড়া পর্যবেক্ষণ করে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির দুটি দল। তারা রাজধানীর মতিঝিল, গুলিস্তান, পল্টন, প্রেসক্লাব ও এর আশপাশে ১১২ জন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে। ৯৬টি অটোরিকশার মিটার ঠিক আছে কি না, তা যাচাই করে এবং চালকদের সঙ্গে কথা বলে।
যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ৯৬টি অটোরিকশার মধ্যে ৮৩টিতে হালনাগাদ মিটার পাওয়া গেছে। দুটি অটোরিকশায় মিটারই ছিল না। বাকি ১১টি অটোরিকশার মিটার হালনাগাদ ছিল না। তিনি জানান, ১১২ জন যাত্রীর মধ্যে ৮৭ জন জানিয়েছেন নির্ধারিত ভাড়ায় মিটারে অটোরিকশায় চড়েছেন। ১৮ জন অভিযোগ করেছেন, চালকেরা চুক্তিতে যেতে বাধ্য করেছেন। সাতজন যাত্রী ও চালক জানিয়েছেন, যাত্রীর ইচ্ছাতেই চুক্তিতে যাচ্ছেন।
এর মধ্যে ইকবাল নামে এক যাত্রীর বরাত দিয়ে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ওই যাত্রী সদরঘাট থেকে বিমানবন্দরে যেতে অটোচালকের সঙ্গে ৬০০ টাকায় চুক্তি করেছেন। দূরের পথ, যানজটের ভয়—সব মিলিয়ে কত না-কত ভাড়া আসে, সেই ভাবনায় চুক্তিতে অটোরিকশায় চড়েছেন।
গতকাল পরিচালিত নয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মধ্যে ছয়টি ছিল বিআরটিএর। বাকি তিনটি ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিচালিত হয়। বিআরটিএ জানিয়েছে, তাদের ছয়টি আদালতে ৮৯টি মামলা হয়েছে। জরিমানা আদায় করা হয় ৮৯ হাজার ৪০০ টাকা। ১৪টি যান এবং তিনটি যানের কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
অটোরিকশার প্রথম দুই কিলোমিটারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ টাকা। পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১২ টাকা। প্রতি এক মিনিট ওয়েটিংয়ের (যাত্রাবিরতি, যানজট ও সিগন্যাল) জন্য দুই টাকা। মালিকের জমা দৈনিক ৯০০ টাকা।
অম্লমধুর অভিজ্ঞতা: বিকেলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইকবাল আহমেদ বলেন, যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ কুতুবখালী থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত মিটারে ভাড়া উঠল ১৮৫ টাকা। অন্য সময় চুক্তিতে এলে ২০০ টাকার কাছাকাছি নিত। তারপরও অটোরিকশা মিটারে চলছে দেখে তিনি সন্তুষ্ট।
অনেক যাত্রী বলেছেন, নতুন ভাড়ার হারটা বেশি। তবে চুক্তির বদলে মিটারে যেতে পারায় খুশি। কয়েকজন যাত্রী অভিযোগ করেন, অনেক চালক মিটারে যেতে রাজি হচ্ছেন। তবে আইনে যাত্রীদের চাহিদামতো গন্তব্যে যেতে বাধ্য থাকলেও তা গতকাল মানেননি অনেক চালক।
অটোরিকশা-সংকটের কথা জানিয়ে সকালে কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা ফরিদা পারভীন বলেন, তিনি মহাখালী যাওয়ার জন্য দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও অটোরিকশা পাচ্ছিলেন না। তিনি জানান, প্রতিদিন অটোরিকশায় ১৫০ টাকায় চুক্তিতে মহাখালী যান।
No comments