তুরস্কে পার্লামেন্ট নির্বাচনে একে পার্টির জয়: স্থিতিশীলতা ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ
রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান |
তুরস্কে
নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই ক্ষমতা ধরে রাখলেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ
তাইয়েপ এরদোয়ান। গত রোববার অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে তাঁর জাস্টিস
অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (একে) পার্টি ৪৯ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এরদোয়ান
তাঁর দলের বিজয়কে ‘ঐক্য ও সততার’ জয় বলে অভিহিত করেছেন। খবর বিবিসি ও
আল-জাজিরার।
একে পার্টি গত জুনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোয় রোববারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। এই নির্বাচন দেওয়াকে অনেকেই এরদোয়ানের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় জুয়া বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় এখন এরদোয়ানের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে তুরস্কের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।
একে পার্টির জয়লাভের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর গণমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে এরদোয়ান বলেন, নির্বাচনের ফলাফল কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতি ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা’। ওই বার্তা হলো, ‘নিষ্ঠুরতা ও রক্তপাত’ আর গণতন্ত্র একসঙ্গে চলতে পারে না।
রোববারের নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি ছিল অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে সরকারের কুর্দিবিরোধী অভিযান আর রাজধানী আঙ্কারায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১০২ জন নিহত হওয়ার পর নির্বাচনে নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় ছিল। নিরাপত্তা নিয়ে সেই চ্যালেঞ্জে পাস করেছে এরদোয়ান সরকার।
২০০২-০৩ সালে পার্লামেন্ট নির্বাচনে একে পার্টি জয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী হন এরদোয়ান। ২০১৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে প্রথমবারের মতো সরাসরি ভোটে ওই আগস্টেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
একে পার্টি ক্ষমতায় আসার আগে কয়েক দশকের মধ্যে তুর্কি সেনাবাহিনী চারবার দেশটির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে। আর এরদোয়ান ক্ষমতায় আসার পর ২০১৩ সালে একে পার্টিকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রের দায়ে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের ১৭ জন কর্মকর্তার যাবজ্জীবন সাজা হয়। ২০১১ সালে ‘অপারেশন স্লেজহ্যামার’ নামের এমন আর একটি ষড়যন্ত্রের ঘটনায় ২০০ জনেরও বেশি কর্মকর্তাকে আটক করা হয়। ওই ষড়যন্ত্র অনুসন্ধানের সময় এর প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন দেশটির সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর প্রধানেরা। সেটাও ছিল ওই সময়ে এরদোয়ান সরকারের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ।
এরদোয়ানের আরেকটি চ্যালেঞ্জ ছিল ২০১৩ সালের জুনে ইস্তাম্বুলে গেজি পার্ককে কেন্দ্র করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়া। ওই বিক্ষোভে ধর্মনিরপেক্ষ অনেকেই যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, একে পার্টি ইসলামি লাইনে চলে যাচ্ছে। সেই বিক্ষোভকারীরা পরে বিভিন্ন শহরেও ছড়িয়ে পড়েন।
২০১৩ সালের ডিসেম্বরেই এরদোয়ান সরকার বেশ বড় একটা ধাক্কা খায় দুর্নীতি কেলেঙ্কারির ঘটনায়। তিনজন মন্ত্রীর ছেলেসহ বহু ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ওই ঘটনায়।
সমালোচকেরা অভিযোগ করেন, এরদোয়ান তাঁর রাজনৈতিক বিরোধীদের নিশ্চুপ রাখতে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করেন। বিরোধীদের বিরুদ্ধে অনেক বানোয়াট অভিযোগও আনা হয়েছে। তবে সমর্থকদের কাছে নায়কের মর্যাদা পান এরদোয়ান।
একে পার্টি গত জুনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোয় রোববারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। এই নির্বাচন দেওয়াকে অনেকেই এরদোয়ানের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় জুয়া বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় এখন এরদোয়ানের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে তুরস্কের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।
একে পার্টির জয়লাভের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর গণমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে এরদোয়ান বলেন, নির্বাচনের ফলাফল কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতি ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা’। ওই বার্তা হলো, ‘নিষ্ঠুরতা ও রক্তপাত’ আর গণতন্ত্র একসঙ্গে চলতে পারে না।
রোববারের নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি ছিল অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে সরকারের কুর্দিবিরোধী অভিযান আর রাজধানী আঙ্কারায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১০২ জন নিহত হওয়ার পর নির্বাচনে নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় ছিল। নিরাপত্তা নিয়ে সেই চ্যালেঞ্জে পাস করেছে এরদোয়ান সরকার।
২০০২-০৩ সালে পার্লামেন্ট নির্বাচনে একে পার্টি জয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী হন এরদোয়ান। ২০১৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে প্রথমবারের মতো সরাসরি ভোটে ওই আগস্টেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
একে পার্টি ক্ষমতায় আসার আগে কয়েক দশকের মধ্যে তুর্কি সেনাবাহিনী চারবার দেশটির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে। আর এরদোয়ান ক্ষমতায় আসার পর ২০১৩ সালে একে পার্টিকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রের দায়ে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের ১৭ জন কর্মকর্তার যাবজ্জীবন সাজা হয়। ২০১১ সালে ‘অপারেশন স্লেজহ্যামার’ নামের এমন আর একটি ষড়যন্ত্রের ঘটনায় ২০০ জনেরও বেশি কর্মকর্তাকে আটক করা হয়। ওই ষড়যন্ত্র অনুসন্ধানের সময় এর প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন দেশটির সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর প্রধানেরা। সেটাও ছিল ওই সময়ে এরদোয়ান সরকারের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ।
এরদোয়ানের আরেকটি চ্যালেঞ্জ ছিল ২০১৩ সালের জুনে ইস্তাম্বুলে গেজি পার্ককে কেন্দ্র করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়া। ওই বিক্ষোভে ধর্মনিরপেক্ষ অনেকেই যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, একে পার্টি ইসলামি লাইনে চলে যাচ্ছে। সেই বিক্ষোভকারীরা পরে বিভিন্ন শহরেও ছড়িয়ে পড়েন।
২০১৩ সালের ডিসেম্বরেই এরদোয়ান সরকার বেশ বড় একটা ধাক্কা খায় দুর্নীতি কেলেঙ্কারির ঘটনায়। তিনজন মন্ত্রীর ছেলেসহ বহু ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ওই ঘটনায়।
সমালোচকেরা অভিযোগ করেন, এরদোয়ান তাঁর রাজনৈতিক বিরোধীদের নিশ্চুপ রাখতে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করেন। বিরোধীদের বিরুদ্ধে অনেক বানোয়াট অভিযোগও আনা হয়েছে। তবে সমর্থকদের কাছে নায়কের মর্যাদা পান এরদোয়ান।
No comments