যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় খালেদা জিয়া গুপ্তহত্যায় নেমেছেন: প্রধানমন্ত্রী
সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা |
যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিদেশে বসে দেশে গুপ্তহত্যায় নেমেছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এই অভিযোগ করেন।
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে এরপর তিনি গেছেন বিদেশে। বিদেশে গিয়ে ষড়যন্ত্রটা কী? বিদেশিদের হত্যা করতে হবে। তাহলে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। এখন তিনি গুপ্তহত্যায় নেমেছেন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, এমনকি লেখক-প্রকাশক, বিদেশি, সবার ওপর গুপ্তহত্যা। যখনই হত্যায় জড়িতরা ধরা পড়ছে; দেখা যাচ্ছে তারা ছাত্রজীবনে হয় শিবির, নাহয় বিএনপি করত।’
শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় যখন কার্যকর হচ্ছে, তখন খুনিদের রক্ষা করার জন্যই এই গুপ্তহত্যা। কারণ, লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত পতাকা তাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। খুনিদের মন্ত্রিসভায় বসিয়েছিলেন, পুরস্কৃত করেছিলেন। জিয়াউর রহমান একবার করেছিলেন। এরপর করেছেন তাঁর স্ত্রী খালেদা জিয়া।
গুপ্তহত্যাকারীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, এ দেশের মানুষ স্বাধীনচেতা। এই স্বাধীনচেতা মানুষ ষড়যন্ত্র-হত্যাকাণ্ডে মাথা নত করে না। গুপ্তহত্যা, খুন, যাই করুক না কেন, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবে না। হত্যাকারীদের সাবধান করে দিয়ে তিনি বলেন, উন্নয়নের পথে কেউ যদি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, বাংলাদেশের মানুষ ক্ষমা করবে না। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য তাদের শাস্তি পেতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে হত্যা, গুম, খুন ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়, তাহলে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। খেলতে দেওয়া হবে না।
হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গুপ্তহত্যা যারা করছে, তাদের খুঁজে বের করা হয়েছে। আরও হবে। তাদের লিংক কোথায়, বড় ভাই কোথায়, মুরব্বি কে, তা বের করে এই বাংলার মাটিতে শাস্তি দেওয়া হবে। খুনিদের শাস্তি দেবই দেব। আমি শুধু বাংলাদেশের মানুষের সহযোগিতা চাই।’
খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করার মতো বীভৎস ঘটনা সেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঘটিয়েছে। এরপর ঘটালেন জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাঁর এ মানুষ খুন করার রাজনীতি প্রতিহত করেছে। ২৮২ দিন অবরোধ চলেছে। এখনো খালেদা জিয়া তাঁর ঘোষিত অবরোধ প্রত্যাহার করেননি। দেশের মানুষের সাড়া না পেয়ে নিজেই নাকে খত দিয়ে বের হন। মামলায় হাজিরা দিয়ে নিজের ঘরে ফেরেন। দেশবাসী ও নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এ দেশের মানুষকে নিয়ে বারবার ষড়যন্ত্রের খেলা হয়েছে। কোনো কোনো মহল চেষ্টা চালাচ্ছে, এ দেশে আইএস আছে, এ দেশে সন্ত্রাসী আছে। এ দেশে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছিল বিএনপি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সেই সন্ত্রাস কঠোর হস্তে দমন করা হয়েছে। কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে তাকে রেহাই দেওয়া হয় না। তার বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। ভবিষ্যতেও নেওয়া হবে, সে যে দলেরই হোক না কেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলছি, এ দেশে জঙ্গিবাদের স্থান হবে না। সন্ত্রাসীদের স্থান এ দেশে হবে না। জয় জনগণেরই হবে। খুনি-ষড়যন্ত্রকারীদের জয় হতে দেওয়া হবে না। আমরা যা বলি, তা করি।’
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের শুরুতে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যার ঘটনাবলি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘মোশতাক আহমদের পর জিয়াউর রহমান খুনিদের পুনর্বাসিত করেছিলেন। খুনিদের বিচার করা হয়নি, বরং বিভিন্নভাবে খুনিদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল। দায়মুক্তি অধ্যাদেশ জারি করে বিচারের পথ বন্ধ করা হয়েছিল।’
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সমালোচনা করে বলেন, ‘কারা এই অ্যামনেস্টি? যারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকে সিভিল ওয়ার বলেছিল? আমি বলে দিতে চাই, তাদের কথায় বাংলাদেশ উঠবে না, বসবেও না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক সময় ক্ষমতায় থাকলে আমরা অলস হয়ে পড়ি। আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে, আমরা যাতে সচেষ্ট থাকি। সব সময় যেন চোখ এবং কান খোলা রাখি। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। শেখ হাসিনার হাতে অনেক কাজ এখনো রয়েছে। শেখ হাসিনাকে আরও বেশি শক্তি প্রদান করতে হবে।’
শিল্পমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি, তারাই বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে। তারা পাকিস্তানের কনফেডারেশন বানাতে চেয়েছিল। তারা এখনো তৎপর। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না।
খালেদা জিয়ার উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘বাংলার মানুষ আপনার আসল চেহারা চিনে ফেলেছে। আপনি একজন খুনি।’
সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ ও উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।
সমাবেশ শুরুর সময় ছিল বেলা আড়াইটা। কিন্তু দুপুরের আগে থেকেই রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে বাস-ট্রাকে করে নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে থাকেন। তাঁদের হাতে ছিল নানা স্লোগান-সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন। প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন বলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারপাশে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়। সমাবেশস্থলের প্রবেশমুখগুলো অপরিসর হওয়ার কারণে মিছিলসহ আসা নেতা-কর্মীদের ঢুকতে বেগ পেতে হয়। বেলা তিনটার দিকে যখন প্রধানমন্ত্রী সমাবেশের মঞ্চে ওঠেন, তখন সমাবেশস্থল ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। পরে আগতদের অনেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে অবস্থান নিয়ে বক্তৃতা শোনেন।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বহনকারী যানবাহনগুলো আশপাশের সড়কে রাখা হয়। এ ছাড়া মিছিলের কারণে শাহবাগ, জাতীয় প্রেসক্লাব, বাংলামোটরসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সমাবেশ শেষেও যান চলাচল পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কয়েক ঘণ্টা লাগে।
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে এরপর তিনি গেছেন বিদেশে। বিদেশে গিয়ে ষড়যন্ত্রটা কী? বিদেশিদের হত্যা করতে হবে। তাহলে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। এখন তিনি গুপ্তহত্যায় নেমেছেন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, এমনকি লেখক-প্রকাশক, বিদেশি, সবার ওপর গুপ্তহত্যা। যখনই হত্যায় জড়িতরা ধরা পড়ছে; দেখা যাচ্ছে তারা ছাত্রজীবনে হয় শিবির, নাহয় বিএনপি করত।’
শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় যখন কার্যকর হচ্ছে, তখন খুনিদের রক্ষা করার জন্যই এই গুপ্তহত্যা। কারণ, লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত পতাকা তাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। খুনিদের মন্ত্রিসভায় বসিয়েছিলেন, পুরস্কৃত করেছিলেন। জিয়াউর রহমান একবার করেছিলেন। এরপর করেছেন তাঁর স্ত্রী খালেদা জিয়া।
গুপ্তহত্যাকারীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, এ দেশের মানুষ স্বাধীনচেতা। এই স্বাধীনচেতা মানুষ ষড়যন্ত্র-হত্যাকাণ্ডে মাথা নত করে না। গুপ্তহত্যা, খুন, যাই করুক না কেন, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবে না। হত্যাকারীদের সাবধান করে দিয়ে তিনি বলেন, উন্নয়নের পথে কেউ যদি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, বাংলাদেশের মানুষ ক্ষমা করবে না। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য তাদের শাস্তি পেতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে হত্যা, গুম, খুন ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়, তাহলে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। খেলতে দেওয়া হবে না।
হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গুপ্তহত্যা যারা করছে, তাদের খুঁজে বের করা হয়েছে। আরও হবে। তাদের লিংক কোথায়, বড় ভাই কোথায়, মুরব্বি কে, তা বের করে এই বাংলার মাটিতে শাস্তি দেওয়া হবে। খুনিদের শাস্তি দেবই দেব। আমি শুধু বাংলাদেশের মানুষের সহযোগিতা চাই।’
খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করার মতো বীভৎস ঘটনা সেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঘটিয়েছে। এরপর ঘটালেন জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাঁর এ মানুষ খুন করার রাজনীতি প্রতিহত করেছে। ২৮২ দিন অবরোধ চলেছে। এখনো খালেদা জিয়া তাঁর ঘোষিত অবরোধ প্রত্যাহার করেননি। দেশের মানুষের সাড়া না পেয়ে নিজেই নাকে খত দিয়ে বের হন। মামলায় হাজিরা দিয়ে নিজের ঘরে ফেরেন। দেশবাসী ও নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এ দেশের মানুষকে নিয়ে বারবার ষড়যন্ত্রের খেলা হয়েছে। কোনো কোনো মহল চেষ্টা চালাচ্ছে, এ দেশে আইএস আছে, এ দেশে সন্ত্রাসী আছে। এ দেশে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছিল বিএনপি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সেই সন্ত্রাস কঠোর হস্তে দমন করা হয়েছে। কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে তাকে রেহাই দেওয়া হয় না। তার বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। ভবিষ্যতেও নেওয়া হবে, সে যে দলেরই হোক না কেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলছি, এ দেশে জঙ্গিবাদের স্থান হবে না। সন্ত্রাসীদের স্থান এ দেশে হবে না। জয় জনগণেরই হবে। খুনি-ষড়যন্ত্রকারীদের জয় হতে দেওয়া হবে না। আমরা যা বলি, তা করি।’
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের শুরুতে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যার ঘটনাবলি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘মোশতাক আহমদের পর জিয়াউর রহমান খুনিদের পুনর্বাসিত করেছিলেন। খুনিদের বিচার করা হয়নি, বরং বিভিন্নভাবে খুনিদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল। দায়মুক্তি অধ্যাদেশ জারি করে বিচারের পথ বন্ধ করা হয়েছিল।’
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সমালোচনা করে বলেন, ‘কারা এই অ্যামনেস্টি? যারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকে সিভিল ওয়ার বলেছিল? আমি বলে দিতে চাই, তাদের কথায় বাংলাদেশ উঠবে না, বসবেও না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক সময় ক্ষমতায় থাকলে আমরা অলস হয়ে পড়ি। আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে, আমরা যাতে সচেষ্ট থাকি। সব সময় যেন চোখ এবং কান খোলা রাখি। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। শেখ হাসিনার হাতে অনেক কাজ এখনো রয়েছে। শেখ হাসিনাকে আরও বেশি শক্তি প্রদান করতে হবে।’
শিল্পমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি, তারাই বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে। তারা পাকিস্তানের কনফেডারেশন বানাতে চেয়েছিল। তারা এখনো তৎপর। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না।
খালেদা জিয়ার উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘বাংলার মানুষ আপনার আসল চেহারা চিনে ফেলেছে। আপনি একজন খুনি।’
সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ ও উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।
সমাবেশ শুরুর সময় ছিল বেলা আড়াইটা। কিন্তু দুপুরের আগে থেকেই রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে বাস-ট্রাকে করে নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে থাকেন। তাঁদের হাতে ছিল নানা স্লোগান-সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন। প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন বলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারপাশে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়। সমাবেশস্থলের প্রবেশমুখগুলো অপরিসর হওয়ার কারণে মিছিলসহ আসা নেতা-কর্মীদের ঢুকতে বেগ পেতে হয়। বেলা তিনটার দিকে যখন প্রধানমন্ত্রী সমাবেশের মঞ্চে ওঠেন, তখন সমাবেশস্থল ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। পরে আগতদের অনেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে অবস্থান নিয়ে বক্তৃতা শোনেন।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বহনকারী যানবাহনগুলো আশপাশের সড়কে রাখা হয়। এ ছাড়া মিছিলের কারণে শাহবাগ, জাতীয় প্রেসক্লাব, বাংলামোটরসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সমাবেশ শেষেও যান চলাচল পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কয়েক ঘণ্টা লাগে।
No comments