প্রেস ক্লাবে দু’পক্ষের উত্তেজনা-ধাক্কাধাক্কি
জাতীয়
প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটির কার্যক্রমকে অবৈধ ঘোষণা করেছে পুরনো কমিটি।
গতকাল এক অতিরিক্ত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত পাস হয়। একই সঙ্গে আগামী
সেপ্টেম্বরে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটি
গঠনের প্রস্তাব পাস হয়। গতকালের ওই অতিরিক্ত সাধারণ সভাকে কেন্দ্র করে
সাংবাদিকদের দুগ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কির
ঘটনা ঘটে। গতকাল বিকাল ৩টায় প্রেস ক্লাবের বিদায়ী কমিটি বার্ষিক সাধারণ
সভা আহ্বান করে। এ সাধারণ সভাকে কেন্দ্র করে ঘোষিত কমিটির সমর্থক
সাংবাদিকদের একটি অংশ প্রেস ক্লাবের সদস্য পদের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
তারা সকালেই প্রেস ক্লাবের বিদায়ী কমিটির ডাকা বার্ষিক সাধারণ সভার ভেন্যু
প্রেস ক্লাব মিলনায়তন দখল করে নেন। সেখানে তারা দীর্ঘক্ষণ প্রতিবাদ সমাবেশ
করেন। এ সময় তাদের সমর্থনে আরেকটি গ্রুপ প্রেস ক্লাবের দোতলায় উঠার সিঁড়ির
সামনে সমাবেশ করেন। একই সময় একই গ্রুপের দুটি সমাবেশ চলাকালে পুরনো কমিটির
সমর্থকরা প্রেস ক্লাবের কাচের দরজার বাইরে সমাবেশ করেন। এ সময় দুপক্ষের
মধ্যে বেশ উত্তেজনা দেখা যায়।
অনেকটা বাধ্য হয়ে মেম্বারস লাউঞ্জে অতিরিক্ত সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে কয়েকজন এসে টিভি দেখার কথা বলে হট্টগোল সৃষ্টির চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ ফটো জানালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মীর আহাম্মেদ মীরুর দিকে তেড়ে আসেন। এ সময় কুদ্দুস আফ্রাদকে জড়িয়ে ধরে তাকে শান্ত করার চেষ্টা করা হয়। কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তির পর নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে শেষ পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে আগের কমিটির প্রতিবাদ সমাবেশে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী বলেন, যে কোন মূল্যে নির্বাচনের মাধ্যমেই সঠিক কমিটি গঠন করে প্রেস ক্লাবের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে। জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ইউনিয়ন অফিস বন্ধের পাঁয়তারা’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে দখলদারদের সমর্থকরা সদস্যপদের নাম করে প্রেস ক্লাবের নিচে সমাবেশ করছে, যেখানে আমরা সমাবেশ করতাম। কিন্তু কোনভাবেই প্রেস ক্লাবকে দখলমুক্ত করার এ আন্দোলনকে বন্ধ করতে পারবে না।’ তিনি বলেন, যে কোন মূল্যে আমরা প্রেস ক্লাবকে দখলমুক্ত করবো। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, কবি আবদুল হাই শিকদার, প্রেস ক্লাবের বিদায়ী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। বিকাল ৪টার দিকে প্রেস ক্লাব মেম্বার্স লাউঞ্জে অতিরিক্ত সাধারণ সভা শুরু হয়। এতে প্রেস ক্লাবের শতাধিক সদস্য অংশ নেন। প্রেস ক্লাব সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ অসুস্থতার কারণে উপস্থিত হতে পারেননি। সভার প্রথম পর্বে সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র সহসভাপতি বখতিয়ার রানা ও দ্বিতীয় পর্বে সিনিয়র সহসভাপতি কাজী রওনাক হোসেন। সভায় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট পেশ করেন।
সভায় আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় নির্বাচিত কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের আগ পর্যন্ত গঠণতন্ত্র অনুযায়ী বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটিকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমোদন দেয়া হয়। এছাড়া সভায় আগামী নির্বাচন পরিচালনার জন্য গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে একটি নির্বাচন কমিটি গঠন করার প্রস্তাব পাস হয়। ওই কমিটি দ্রুত নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করবে। স্বঘোষিত কমিটির কর্মকর্তা ও সদস্যরা ক্লাব গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তাদের সব কার্যক্রমকে অবৈধ ঘোষণা করেও সভায় প্রস্তাব পাস হয়।
সভায় মিলনায়তনসহ সব কক্ষ জোরপূর্বক বন্ধ রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন কবি আল মুজাহিদী, নয়াদিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, দিনকাল সম্পাদক ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী, ফরিদ হোসেন, রুহুল আমিন গাজী, শওকত মাহমুদ, এম এ আজিজ, ছড়াকার আবু সালেহ, আবদুস শহিদ, মুন্সী আবদুল মান্নান, বাকের হোসাইন, মাসুমুর রহমান খলিলি, এ কে এম মহসীন, খুরশিদ আলম, কাজিম রেজা, রফিক হাসান, আবুল কালাম মানিক, শাহাদাত হোসেন খান, আসাদুজ্জামান, আসাদ, খন্দকার গোলাম আজাদ, হারুন-অর রশিদ প্রমুখ। সভায় ব্যবস্থাপনা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ বদিউল আলম, সদস্য হাসান হাফিজ, নুরুল হুদা, নুরুল হাসান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ঘোষিত কমিটির সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী ইজিএমের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির কিছু সদস্য সমাবেশের নামে ক্লাবে শান্তি বিনষ্টের অপচেষ্টা চালায়। নেতৃবৃন্দ বলেন, কর্তৃপক্ষের ধৈর্যকে দুর্বলতা ভাবলে ভুল করা হবে।
অনেকটা বাধ্য হয়ে মেম্বারস লাউঞ্জে অতিরিক্ত সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে কয়েকজন এসে টিভি দেখার কথা বলে হট্টগোল সৃষ্টির চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ ফটো জানালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মীর আহাম্মেদ মীরুর দিকে তেড়ে আসেন। এ সময় কুদ্দুস আফ্রাদকে জড়িয়ে ধরে তাকে শান্ত করার চেষ্টা করা হয়। কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তির পর নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে শেষ পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে আগের কমিটির প্রতিবাদ সমাবেশে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী বলেন, যে কোন মূল্যে নির্বাচনের মাধ্যমেই সঠিক কমিটি গঠন করে প্রেস ক্লাবের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে। জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ইউনিয়ন অফিস বন্ধের পাঁয়তারা’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে দখলদারদের সমর্থকরা সদস্যপদের নাম করে প্রেস ক্লাবের নিচে সমাবেশ করছে, যেখানে আমরা সমাবেশ করতাম। কিন্তু কোনভাবেই প্রেস ক্লাবকে দখলমুক্ত করার এ আন্দোলনকে বন্ধ করতে পারবে না।’ তিনি বলেন, যে কোন মূল্যে আমরা প্রেস ক্লাবকে দখলমুক্ত করবো। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, কবি আবদুল হাই শিকদার, প্রেস ক্লাবের বিদায়ী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। বিকাল ৪টার দিকে প্রেস ক্লাব মেম্বার্স লাউঞ্জে অতিরিক্ত সাধারণ সভা শুরু হয়। এতে প্রেস ক্লাবের শতাধিক সদস্য অংশ নেন। প্রেস ক্লাব সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ অসুস্থতার কারণে উপস্থিত হতে পারেননি। সভার প্রথম পর্বে সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র সহসভাপতি বখতিয়ার রানা ও দ্বিতীয় পর্বে সিনিয়র সহসভাপতি কাজী রওনাক হোসেন। সভায় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট পেশ করেন।
সভায় আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় নির্বাচিত কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের আগ পর্যন্ত গঠণতন্ত্র অনুযায়ী বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটিকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমোদন দেয়া হয়। এছাড়া সভায় আগামী নির্বাচন পরিচালনার জন্য গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে একটি নির্বাচন কমিটি গঠন করার প্রস্তাব পাস হয়। ওই কমিটি দ্রুত নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করবে। স্বঘোষিত কমিটির কর্মকর্তা ও সদস্যরা ক্লাব গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তাদের সব কার্যক্রমকে অবৈধ ঘোষণা করেও সভায় প্রস্তাব পাস হয়।
সভায় মিলনায়তনসহ সব কক্ষ জোরপূর্বক বন্ধ রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন কবি আল মুজাহিদী, নয়াদিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, দিনকাল সম্পাদক ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী, ফরিদ হোসেন, রুহুল আমিন গাজী, শওকত মাহমুদ, এম এ আজিজ, ছড়াকার আবু সালেহ, আবদুস শহিদ, মুন্সী আবদুল মান্নান, বাকের হোসাইন, মাসুমুর রহমান খলিলি, এ কে এম মহসীন, খুরশিদ আলম, কাজিম রেজা, রফিক হাসান, আবুল কালাম মানিক, শাহাদাত হোসেন খান, আসাদুজ্জামান, আসাদ, খন্দকার গোলাম আজাদ, হারুন-অর রশিদ প্রমুখ। সভায় ব্যবস্থাপনা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ বদিউল আলম, সদস্য হাসান হাফিজ, নুরুল হুদা, নুরুল হাসান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ঘোষিত কমিটির সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী ইজিএমের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির কিছু সদস্য সমাবেশের নামে ক্লাবে শান্তি বিনষ্টের অপচেষ্টা চালায়। নেতৃবৃন্দ বলেন, কর্তৃপক্ষের ধৈর্যকে দুর্বলতা ভাবলে ভুল করা হবে।
No comments